Select Page

‘অশ্লীলতা’র ভয় দেখাচ্ছেন ডিপজল

‘অশ্লীলতা’র ভয় দেখাচ্ছেন ডিপজল

বাংলা সিনেমার ‘অশ্লীলতা’ নিয়ে প্রযোজক-অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ কম নয়। পরে সামাজিক ধারার সিনেমা তৈরি করলেও তার ওই অতীত অতিচর্চিত। এখন তিনি ‘অশ্লীলতা’র ভয় দেখাচ্ছেন। উপলক্ষ্য বলিউড সিনেমার আমদানি।

সম্প্রতি দেশে হিন্দি সিনেমা মুক্তি দেয়ার ব্যাপারে ইতোমধ্যে চলচ্চিত্রের সংগঠনগুলোর প্ল্যাটফর্ম সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে তাদের প্রস্তাব পেশ করেছে। শর্ত সাপেক্ষে পরীক্ষামূলকভাবে দুই বছর বিদেশি (উপমহাদেশীয় ভাষার) সিনেমা আমদানির কথা তারা বলেছেন।

এ সুপারিশ নিয়ে ক্ষোভ করেছেন ডিপজল। রাইজিংবিডি প্রকাশিত এক দীর্ঘ প্রতিবেদনে তার বক্তব্য তুলে ধরা হয়।

তিনি বলেন, বিগত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি সিনেমা বেশ ভালো ব্যবসা করেছে। কোটি টাকার মতো ব্যবসা করেছে। এতে সিনেমার বাজার কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। অনেকে সিনেমা নির্মাণে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। আমার সিনেমাগুলো মুক্তি পেলে সিনেমার বাজার আরও চাঙা হয়ে উঠবে। কারণ, আমাদের দর্শক ফ্যামিলি নিয়ে আমাদের সংস্কৃতির সিনেমা দেখতে চায়। হিন্দি সিনেমার সংস্কৃতি আর আমাদের সিনেমার সংস্কৃতি এক নয়। তাদের সিনেমায় অনেক অশালীন গান ও দৃশ্য থাকে। এগুলো আমাদের সামাজিক সংস্কৃতির সঙ্গে যায় না। আমরা আমাদের চেনাজানা পরিবার ও সমাজের সুসংস্কৃতি তুলে ধরি, যাতে দর্শক বিনোদনও পায়, আবার কিছু শেখার বিষয়ও পায়।

সম্প্রতি মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত বিজ্ঞাপনে মডেল হয়েছিলেন ডিপজল

চলচ্চিত্রের সম্মিলিত পরিষদ যে প্রস্তাব দিয়েছে, তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে ডিপজল প্রশ্ন করেন, এর সঙ্গে যারা জড়িত তারা কয়জন সিনেমা নির্মাণ করছেন? খোঁজ নিয়ে দেখেন, একজনও এখন সিনেমা নির্মাণের সঙ্গে নাই। তারা যদি আমাদের চলচ্চিত্রের এতই ভালো চান এবং এতই দরদ থাকে, তাহলে তারা কেন চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন না? কেন বিনিয়োগ করছেন না? আমি তো করেছি এবং একের পর এক সিনেমা নির্মাণ ও মুক্তি দিচ্ছি। এ কাজ তো তারাও করতে পারেন। আমি মনে করি, তারা বিদেশি সিনেমা আমদানির নামে কিভাবে কমিশন পাওয়া যায়, এ ব্যাপারে বেশি মনোযোগী। এ চিন্তা দিয়ে আমাদের সিনেমার উন্নয়ন করা যাবে না। উন্নয়ন করতে হলে আমাদের দেশের সিনেমার প্রতি দরদী হতে হবে। নিজেদেরকে উদ্যোগী হয়ে সিনেমা বানাতে হবে। অন্য দেশের সিনেমা দিয়ে নিজের দেশের সিনেমার উন্নয়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। বিদেশি সিনেমার বাজার হলে, আমাদের সিনেমার অস্তিত্ব থাকবে না। আমরা সিনেমাবিহীন দেশে পরিণত হবো।

ডিপজল জানান, মুক্তির মিছিলে রয়েছে তার পাঁচটি ছবি। আগামী রোজার ঈদে আসবে ওলিজা মনোয়ার পরিচালিত ‘বাংলার হারকিউলিস’, কোরবানির ঈদে তার পরিচালিত ‘জিম্মি’, রোজার ঈদের এক মাস পর মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘যেমন জামাই তেমন বউ’ এবং তার এক সপ্তাহ পর ‘ঘর ভাঙা সংসার’, কোরবানি ঈদের পর মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘অমানুষ হলো মানুষ’।

এ অভিনেতার দাবি, সিনেমাগুলো ধারাবাহিকভাবে মুক্তি পেলে আমাদের চলচ্চিত্রের মোড় ঘুরে যাবে। কারণ, প্রত্যেকটি সিনেমা আমি দর্শকের চাহিদা ও সময়োপযোগী করে নির্মাণ করেছি। চলচ্চিত্রের এই দুঃসময়ে আমি কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে সিনেমাগুলো নির্মাণ করেছি শুধুমাত্র চলচ্চিত্রে সুবাতাস বইয়ে দেয়ার জন্য। আমি নিশ্চিত, সিনেমাগুলো মুক্তি পেলে আমাদের চলচ্চিত্র আবার ঘুরে দাঁড়াবে।


Leave a reply