‘আয়নাবাজি’র রেকর্ড
ঢালিউডে বাজার এতটাই খারাপ যে, নেই বক্স অফিস বা কোনো সিনেমা কত আয় করল বা কী রেকর্ড গড়ল তার হিসেব নিকেশ। সে বিবেচনায় উপরিতলার আলোচনা থেকে বলা যায় অমিতাভ রেজার ‘আয়নাবাজি’ বেশ কিছু রেকর্ড গড়েছে মুক্তির দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে।
এর মধ্যে রয়েছে হালের ট্রেন্ড মাল্টিপ্লেক্সে রেকর্ডসংখ্যক প্রদর্শনী ও হাউসফুল যাওয়া। নির্দিষ্ট দর্শকশ্রেনীর জন্য নির্মিত সিনেমা হিসেবেও আয় মন্দ না। এছাড়া অনেকদিন পর দক্ষিণ ভারতীয় কপিপেস্টের বাইরে কোনো সিনেমা ‘সুপারহিট’ হতে যাচ্ছে।
দ্বিতীয় সপ্তাহেও ‘আয়নাবাজি’তে দর্শক আগ্রহে ভাটা পড়েনি। প্রথম সপ্তাহে সর্বোচ্চ ১০টি প্রদর্শনী করার পরও দর্শক সামলাতে পারেনি ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্স। হল কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের এক যুগের ইতিহাসে আর কোনো বাংলা ছবির একদিনে ১০টি প্রদর্শনী হয়নি। গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘মনপুরা’ টানা আট মাস চলেছে, ধারণা করা হচ্ছে এই ছবি সে রেকর্ডও ছাড়িয়ে যাবে।
দ্বিতীয় সপ্তাহে সিনেপ্লেক্সে দিনে আটটি আর যমুনা ব্লকবাস্টারে সাতটি করে প্রদর্শনী চলছে। তবু টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। প্রেক্ষাগৃহে অগ্রিম টিকিট পেতেও সমস্যা হচ্ছে। আগের দিন সকালেই পরদিনের সব টিকিট বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। একই অবস্থা রাজধানীর বলাকা সিনেওয়ার্ল্ড, শ্যামলীতে। চট্টগ্রামে আলমাসে দ্বিতীয় সপ্তাহে মুক্তির পর থেকে টানা হাউজফুল যাচ্ছে।
এদিকে প্রথম সপ্তাহে ‘আয়নাবাজি’র ২৭টি শো হয়েছে বলাকায়। শুক্রবারে তিনটি অন্যান্য দিন চারটি করে প্রতিটি শো’ই হাউসফুল হয়েছে। এ নিয়ে বলাকার ম্যানেজার আকতার হোসেন জানান, এর আগে ‘বিয়ের ফুল’, ‘মনপুরা’, ‘থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার নাম্বার’, ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ ও আরো কিছু ছবি টানা এক মাস থেকে ছয়মাস পর্যন্ত হাউজফুল গেছে। তিনি ধারণা করছেন, ‘আয়নাবাজি’ কমপক্ষে এক-দেড় মাস হাউজফুল যাবে।
বুকিং এজেন্ট সূত্রে জানা যায়, প্রথম সপ্তাহে বলাকায় ‘আয়নাবাজি’র টিকেট থেকে নেট আয় ২০ লাখের চেয়ে কয়েক হাজার কম। অর্ধেক হিসেব করলে ছবিটির প্রযোজক পাবেন প্রায় দশ লাখ টাকা। আরো জানা যায়, স্টার সিনেপ্লেক্স ও ব্লকবাস্টার সিনেমাস থেকে প্রথম মাসে কমপক্ষে ৭০-৮০ লাখ টাকা ও ঢাকার বাইরের হল থেকে ১০-১২ লাখ টাকা শেয়ার মানি আসতে পারে ‘আয়নাবাজি’র ঝুলিতে।
এ হিসেব বিবেচনায় কম প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েও প্রথম মাসে ‘আয়নাবাজি’র দেড় কোটি টাকার মত ব্যবসা করবে। যা ঢালিউডের হিসেব-নিকেশে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
‘আয়নাবাজি’ নিয়ে এমন মাতামাতিতে অভিভূত নির্মাতা অমিতাভ বলেন, ‘ছবি কত আয় করল, সেটা নিয়ে ভাবছি না। দেশের সব অঞ্চলের মানুষকে ছবিটা দেখাতে চাই। চলচ্চিত্রে আমার যাত্রা শুরু হয়েছে মাত্র, আরো এগিয়ে যেতে চাই।’
সিনেমাটির প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী ও নাবিলা। আরো আছেন পার্থ বড়ুয়া, গাউসুল আলম শাওন ও লুৎফর রহমান জর্জ।
সূত্র : কালের কণ্ঠ ও পরিবর্তন ডটকম