
উৎসব: তিন দিনে উত্তর আমেরিকায় ৬৪ লাখ টাকা আয়
উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশের সিনেমার মধ্যে এখন পর্যন্ত সর্বকালের তৃতীয় সর্বোচ্চ ওপেনিং করেছে তানিম নূর পরিচালিত উৎসব। শুক্রবার মুক্তি পেয়ে উইকএন্ড অর্থাৎ প্রথম তিন দিনে ৫৩ হাজার ডলার বা ৬৪ লাখ ডলারের টিকিট বিক্রি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায়। এ গ্রস দিয়ে এ মুহূর্তে ডমেস্টিক টপ চার্টের ২১ নম্বরে অবস্থান করছে সিনেমাটি।

পরিবেশক স্বপ্ন স্কয়ারক্রো জানিয়েছে, উত্তর অ্যামেরিকার বক্স অফিসে বাংলাদেশের সিনেমাগুলির মধ্যে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ টি ওপেনিং হল- হাওয়া ৮৬টি হল থেকে আয় করেছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ডলার ও পরাণ ৬০টির বেশি থিয়েটার থেকে আয় করে ৬৪ হাজার ডলার।
উৎসব প্রসঙ্গে স্বপ্ন স্কয়ারক্রো বলছে, ‘উৎসব’-এর এ সাফল্য দূর্দান্ত রকম অবিশ্বাস্য! কারণ, সিনেমাটি ক্যানাডা ও আমেরিকার মাত্র ৩৬টি থিয়েটারে মুক্তি পেয়েছে যার মধ্যে আমাদের নিয়মিত টপ গ্রসার লোকেশন ভ্যানকুভার, ডেট্রয়েট (মিশিগান), ফিলাডেলফিয়া, ক্যালগেরি, লস এঞ্জেলেস নেই। নেই মানে পাওয়া যায়নি! আবার ২০ জুন রিলিজ হওয়ায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ লোকেশনে হলিউড, ইন্ডিয়ান বিশাল সব সিনেমার প্রেসারে খুবই কম ও ইনকনভেনিয়েন্ট শো-টাইম পেয়েছে। এমন বেশ কিছু থিয়েটার ছিল যেখানে প্রতিদিন একটা করে শো, সেটাও ছিল আবার সকালে/দুপুরে বা রাত ১০টা/১১টায়। এতকিছুর পরও এ আয় প্রমাণ করে কি অধিক পরিমাণ মানুষ ক্যানাডা ও অ্যামেরিকায় ‘উৎসব’ দেখতে আগ্রহী হয়েছে!
.
এখন মন খারাপের বিষয় হল, এমন সাফল্যের পরও ২৭ জুনের সপ্তাহে বেশিরভাগ থিয়েটারে থাকবেনা ‘উৎসব’। এটা আগে থেকেই সিনেমা চেইনগুলি বলে রেখেছে আমাদেরকে। কারণ ২৭ জুন এ বছরের এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে কঠিন ডেইট। ২০ জুনের সুপার হাই গ্রসার ফিল্মগুলাতো রয়েছেই, সাথে এ সপ্তাহে যুক্ত হচ্ছে এফ ওয়সব, মেগান টু ও জুরাসিক ওয়ার্ল্ড এবং ইন্ডিয়া থেকে আরো ২টা বড় ছবি। তবে আশার কথা হল, ১১ জুলাই এর সপ্তাহে (৪ জুলাই ও হতে পারে) আবার বেশ কিছু থিয়েটারে ‘উৎসব’ এর ফেরার ভাল সম্ভাবনা আছে।
এদিকে দেশীয় বাজারে প্রায় আড়াই কোটি টাকার ঘরে পৌঁছে গেছে উৎসব।