‘কাঠগোলাপ’ কোথাও প্রদর্শিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা
সাজ্জাদ খান পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘কাঠগোলাপ’ বাংলাদেশে ‘নিষিদ্ধ’ করা হয়েছে। গত বুধবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “আপিল আবেদন নাকচের কারণে চলচ্চিত্রটি সার্টিফিকেশনবিহীন চলচ্চিত্র হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় সমগ্র বাংলাদেশে চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনী নিষিদ্ধ করা হল।”

এ বিষয়ে বিডি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলচ্চিত্রটি কোথাও প্রদর্শিত হলে তা বাজেয়াপ্তকরাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে প্রজ্ঞাপনে হুঁশিয়ার করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন, ২০২৩ এর ১২(১) উপ-ধারা লংঘন করে ‘কাঠগোলাপ’ চলচ্চিত্রটি আপিল আবেদন দাখিল করায় তা নাকচ করা হয়েছে।
চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম আব্দুর রহমানকে ফোন করা হলে তিনি গ্লিটজকে বলেন, “সিনেমাটিরি প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।”
কী কারণে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, জানাতে চাইলে তিনি পরে বিস্তারিত মন্তব্য করবেন বলে জানান।
ফরমান আলী প্রযোজিত ড্রিমল্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট নির্মিত সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন সাজ্জাদ খান।
‘কাঠগোলাপ’ নির্মাতা বলেন, “এই সিনেমাটি বিদেশের একাধিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসিত হয়েছে। অথচ দেশের দর্শকদের দেখানো যাবে না।
“অদ্ভুত সিদ্ধান্ত! এই সিনেমায় তো এমন কিছুই নেই, যে দর্শককে দেখানো যাবে না।”
‘কাঠগোলাপ’ সিনেমাটির কাহিনী ও চিত্রনাট্য করেছেন অপূর্ণ রুবেল। সিনেমাটির প্রধান চারটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়িকা কেয়া, রাশেদ মামুন অপু, মেঘলা মুক্তা ও দিলরুবা দোয়েল ।

বাংলাদেশে মুক্তি না পেলেও বিদেশের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমাটি প্রদর্শিত হয়েছে। চেন্নাইয়ের ‘শান্তা দেব আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব এবং মালয়েশিয়ার নেভি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভালে পুরস্কারও জিতেছে।
এ সিনেমার নির্মাতা সাজ্জাদ খান প্রশ্ন রেখেছেন, সার্টিফিকেশন বোর্ড ‘সিনেমার ক্যাটাগরি’ নির্ধারণ করে সার্টিফিকেট দেবে, তারা কেন সিনেমা নিষিদ্ধ করছে?
“সেন্সর বোর্ড নিয়ে আন্দোলনের পরই তো সার্টিফিকেশন বোর্ড হল। অথচ সার্টিফিকেশন বোর্ডও পুরনো প্রক্রিয়ায় সিনেমা নিষিদ্ধ করে যাচ্ছে, সিনেমাতে সেন্সরের কাঁচি চালাচ্ছে।”
আওয়ামী লীগ সরকারের সবশেষ মেয়াদে ১৯৬৩ সালের ‘সেন্সরশিপ অব ফিল্মস অ্যাক্ট’ রহিত করে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন ২০২৩’ গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। এর আগে সংসদে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বিল, ২০২৩’ বিল পাস হয়।
গত বছরের ১২ মে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড গঠন করে সরকার। এরপর ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।






