ছবি ফ্লপ হওয়ায় দেবাশীষ বিশ্বাসকে প্রাণনাশের হুমকি প্রযোজকের
পরিচালক দেবাশীষ বিশ্বাসকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন কন্টেন্ট প্রোভাইডর ও চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান লাইভ টেকনোলজিসের সিইও তামজীদ-উল-আলম অতুল। এজন্য ৫ ফেব্রুয়ারি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন দেবাশীষ বিশ্বাস। খবর ইত্তেফাক।
জানা গেছে, লাইভ এন্টারটেইনমেন্টের প্রযোজনায় ‘চল পালাই’ নামে একটি ছবি পরিচালনা করেছিলেন দেবাশীষ। ছবিটি গত বছরের ৮ ডিসেম্বর মুক্তি পায়। মুক্তির পর ব্যবসায়িকভাবে সফলতা পায়নি। কিন্তু প্রযোজনা সংস্থা পরিচালকের কাছে তাদের লগ্নিকৃত অর্থ ফেরত চান। ছবি নির্মাণের আগে দুই পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী ছবি নির্মাণের জন্য পরিচালককে ৩০ লাখ টাকা দিয়েছে প্রযোজনা সংস্থা। চুক্তিতে ছবি ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হলে প্রযোজকের লগ্নিকৃত অর্থ ফেরত দেয়ার কোনো কথা উল্লেখ নেই।
এ প্রসঙ্গে দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, ৪ ফেব্রুয়ারি বিকালে ছবির হার্ডডিস্কসহ সব হিসাব-নিকাশ বুঝিয়ে দিতে রাজধানীর পান্থপথে অবস্থিত লাইভ এন্টারটেইনমেন্টের অফিসে গেলে সেখানে আমাকে আটকে রাখেন লাইভ এন্টারটেইনমেন্টের সিইও তামজীদ-উল-আলম অতুল। আমাকে ছবিটি নির্মাণ বাবদ ৩০ লাখ টাকা ফেরত দিতে বলেন। আমি সেটা কেন করব জানতে চাইলে তিনি আমাকে গালিগালাজ মারধর করেন।
দেবাশীষ বলেন, তাদের টাকা ফেরত না দিলে প্রাণনাশেরও হুমকি দেন। আমি চুক্তি অনুযায়ী সবকিছু বুঝিয়ে দেয়ার পরও আমার কাছে ছবি নির্মাণের পুরো টাকা দাবি করেন তিনি। সেখান থেকে আমি কোনোরকমভাবে বের হয়ে আসি। পরে আমি সংশ্লিষ্ট থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করি।
তিনি আরো বলেন, পরিচালক ছবি বানানোর পর সেটা ব্যবসা না করলে প্রযোজককে টাকা ফেরত দিতে হবে, এমন কথা কী কেউ কোনোদিন শুনেছেন? তাদের চুক্তি অনুযায়ী আমি ছবি বানিয়ে দিয়েছি। মুক্তির আগে সেটা তারা দেখেছেনও। তারপর মুক্তি দিয়েছেন। তখন কিছু বলেননি। অথচ মুক্তির পর ব্যবসা না করায় তারা আমার কাছে টাকা ফেরত চান। এটা কোন ধরনের কথা? আমি এর প্রতিবাদ করলে সেদিন আমাকে নাজেহাল করেন তারা। প্রাণনাশের হুমকি দেন।
দেবাশীষ বিশ্বাসকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার বিষয়ে লাইভ টেকনোলজিসের সিইও তামজীদ-উল আলম অতুল বলেন, আমি তাকে কোনো ধরনের হেনস্তা করিনি বা হুমকিও দিইনি। আমাদের কাছে টাকা ফেরত দেয়ার চুক্তি রয়েছে। সে অনুযায়ী তার কাছে টাকা ফেরত চেয়েছি। আমি বা আমরা তাকে আটকে রাখিনি। তিনি টাকা ফেরত দেবেন বলে জানিয়েছেন।