ট্রেলার/ শুধু ন্যাশনাল লেভেলেই খেলবে ‘তুফান’?
সিনেমার নায়ক-নায়িকা নয় পরিচালকরাই কি কম নাটক করেন? এই যেমন ‘তুফান’ ট্রেলার নিয়ে করলেন রায়হান রাফী। নিসন্দেহে নিজের সাফল্য উপভোগ্য করছেন তিনি। তাই ট্রেলার ছাড়বেন কি ছাড়বেন না এ নিয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নাটক করতেই পারেন। তো, আজ শনিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় ট্রেলারটি ছাড়লেন বটে!
২ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের ট্রেলারে ‘তুফান’কে ভয়ংকররূপে যেমন হাজির করা হয়েছে, একইসঙ্গে কোমল চেহারায়ও দেখা গেল থাকে। প্রশ্নও উঠেছে দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার অতিচর্চিত ফর্মূলায় দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করলেন শাকিব খান? এছাড়া ট্রেলারে রাফী এমন কোনো সুর হাজির করতে পারেননি রাফী, যা তার নিজস্ব! বরং প্রশ্ন উঠতে পারে তার চরিত্রগুলো এত লাউড কেন!
টিজারের পর ট্রেলারে এসে চঞ্চল চৌধুরীর চরিত্রটি ফাঁস হলো। তিনি সিআইডি কর্মকর্তা হিসেবে হাজির হচ্ছে পর্দায়।
শাকিব খান্ ও চঞ্চল চৌধুরী ছাড়াও মিশা সওদাগরের দেখা মিলেছে। এক সংলাপে ফজলুর রহমান বাবুকে প্রশ্ন করতে দেখা যায়, ‘কী চাও তুমি?’ জবাবে শাকিব বলেন, ‘পুরো দেশ’। অবশ্য শুরুতেই মিশা বলেন, ‘তুফান ডিস্ট্রিক্ট লেভেলে খেলবে’। তুফান শুধরে বলে, ‘ন্যাশনাল লেভেলে’। তবে আমরা রায়হান রাফীর উদ্দেশে বলতে পারি, ‘তুফান’ কেন ন্যাশনালে আটকে রবে, হোক না ইন্টান্যাশনাল। হবে তো? তা বোঝা যাবে বড়পর্দায়।
ছবিতে দুই নায়িকা মিমি চক্রবর্তী ও মাসুমা রহমান নাবিলাকে দেখা গেছে বিপরীত দুটি চরিত্রে। তাদের সঙ্গে দুটো ভিন্ন অবতারে হাজির হয়েছেন শাকিব খান।
বাকি সব গল্পের মতো এখানে বাস্তব কাহিনীর প্রসঙ্গ তুলেছেন রায়হান রাফী। প্রচারণায় বলা হয়েছে, একজন গ্যাংস্টারের গল্পে তৈরি হয়েছে ‘তুফান’। যেখানে উঠে আসবে নব্বই দশকের চিত্র। সে সময়ের এক নামকরা গ্যাংস্টারের কাহিনী নিয়েই এগিয়ে যাবে তুফানের গল্প।
এক সাক্ষাৎকারে এই সিনেমা প্রসঙ্গে নির্মাতা রায়হান রাফী বলেছেন, এ ধরনের সিনেমা আমি, শাকিব ভাই কেউ কখনো করিনি। ‘তুফান’ এর মতো সিনেমা বাংলাদেশে আগে কখনো হয়নি। শুধু বলতে চাই, এটি একটি অ্যাকশন ফিল্ম। একজন গডফাদারের গল্প। সুপারস্টারকে নিয়ে গ্যাংস্টার ছবি বানানোর ইচ্ছা ছিল আমার। যেমন- কেজিএফ, পুষ্পার মতো সিনেমা। বাংলাদেশে গ্যাংস্টার সিনেমা বানানোর মতো একজনই আছে, সে শাকিব খান। আর সে কারণেই তাকে নিয়ে এই সিনেমার কাজ করা।
যৌথ প্রযোজনার ‘তুফান’-এ যুক্ত আছে বাংলাদেশের নামি প্রযোজনা সংস্থা চরকি ও আলফা আই, ভারত থেকে যুক্ত রয়েছে এসভিএফ। যদিও সেন্সর বোর্ডে একক প্রযোজনা হিসেবে দাবি করেছে আলফা আই।