পুলিশের চরিত্র দেখাতে পুলিশের অনুমতি
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে পুলিশের ভূমিকা হয় খুবই নগন্য – ‘আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না’ সংলাপে সীমাবদ্ধ কিংবা ওয়ান ম্যান আর্মি ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। নেতিবাচক চরিত্রে পুলিশের চিত্রায়ন তুলনামূলকভাবে বেশ কম। এর পেছনে অবশ্য সেন্সর নীতিমালাই প্রধাণ কারণ। চলচ্চিত্র কিংবা টিভি পর্দায় পুলিশের এই ধরনের উপস্থাপনেও আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। এখন থেকে পুলিশের চরিত্র উপস্থাপনের পূর্বে পুলিশের অনুমতি নিতে হবে।
গত ১ এপ্রিল তারিখে পুলিশের চরিত্রে অভিনয় ও পোশাক ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করে একটি নির্দেশনা সম্বলিত চিঠি বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতিতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার এস এন জাহাঙ্গীর আলম সরকার বাংলামেইলকে জানিয়েছেন, এখন থেকে নাটক কিংবা চলচ্চিত্রে পুলিশের চরিত্র দেখাতে হলে পুলিশ কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমতি নিতে হবে। তিনি আরো জানান, নাটক কিংবা চলচ্চিত্রে সৎ পুলিশ কর্মকর্তার নানা সফলতার অভিযানের গল্প কখনো আবার দেখা যায় অসৎ পুলিশ কর্মকর্তার নানা দূর্নীতির কাহিনী। তাছাড়া ক্ষেত্র বিশেষে পুলিশের পদবীর সঙ্গে পরিহিত পোশাকের মিল দেখা যায় না। আবার নির্মাতারা পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেন না। পুলিশের পদবীর সঙ্গে পোশাক ব্যবহারের বিষয়ে সরকার অনুমোদিত একটি ‘ড্রেস রুল’ রয়েছে। ড্রেস রুল অনুযায়ী পুলিশ সদস্যরা র্যাং ক ব্যাজ ব্যবহার করে। এক্ষেত্রে পুলিশের নেতিবাচক ও হাস্যরসাত্মক উপস্থাপন জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে বলেও মনে করে এই পুলিশ কর্মকর্তা।