Select Page

মান্না-মৌসুমীর সিনেমা নিয়ে আইনি নোটিশ, ‘বিতর্কিত অংশ’ বাদ

মান্না-মৌসুমীর সিনেমা নিয়ে আইনি নোটিশ, ‘বিতর্কিত অংশ’ বাদ

২০০৩ সালে মুক্তি পাওয়া নায়ক মান্না ও মৌসুমী অভিনীত ‘বীর সৈনিক’ নামের এ ছবিতে ইচ্ছাকৃত ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন মাকসুদুল হক ইমু। তার পক্ষে আজ (৩ সেপ্টেম্বর) আইনি চিঠিটি পাঠিয়েছেন আইনজীবী মোস্তফা কামাল মুরাদ।

নোাটিশ পাঠানো হয়েছে ছবির পরিচালক-রচয়িতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, ছবির ইউটিউব স্বত্বাধিকারী সিস মিডিয়ার এম এন ইস্পাহানী (ইস্পাহানী আরিফ জাহান) ও ইউটিউব স্বত্বাধিকারী মো. জাহাঙ্গীরকে (লাভা মুভিজ)।

সেখানে উল্লেখ করা হয়, ছবিটি ২০০৩ সালে মুক্তি পায়। গত বছর মুজিব জন্মশতবর্ষতে এটি লাভা মুভিজ ও সিস মিডিয়া নামের ইউটিউব চ্যানেলে অবমুক্ত করা হয়।

কিন্তু ছবিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ও ৭ মার্চের ভাষণের বিষয়টি কেটে দেওয়া হয়েছে। এবং তাতে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে মেজর জিয়াউর রহমানের নাম ও ২৬ মার্চে তার ঘোষণার কথা উল্লেখ করা হয়।

এদিকে অভিযোগকারী মাকসুদুল হক ইমু জানান, ছবিটি আগে মুক্তি পেলেও মুজিব জন্মশতবর্ষে এমন বিকৃত কন্টেন্ট ইউটিউবে প্রকাশ করাটা অন্যায় বলে মনে করেন তিনি। এর আগে ছবি সংশ্লিষ্টদের কাছে অভিযোগ করলে এর প্রতিকার পাননি বলেও জানান।

তিনি শুক্রবার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ছবিটির পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। তার সামনে বিষয়টি উত্থাপন করলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। এমনকি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার ছবিতে এ অংশটি রাখাও লজ্জাজনক হিসেবে মনে করেন তিনি। তবে ছবিটি এখন প্রযোজক-পরিবেশকের কাছে বলে তিনি পদক্ষেপ নিতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন। এজন্য আমি ইস্পাহানী সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগ করে আলোচনা করেছি। কিন্তু তিনি কোনও সমাধানে আসেননি। তাই এই আইনি পদক্ষেপ।’

মাকসুদুল হক আরও যোগ করে বলেন, ‘‘২০০৯ সালের ২১ জুন হাইকোর্ট রায় দেন- ‘জিয়া নন, বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতার ঘোষক’। সেই সঙ্গে আদালত জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক উপস্থাপন করে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, দলিলপত্র’-এর তৃতীয় খণ্ড বাতিল ঘোষণা করেছেন। জানানো হয়, যারা এরকম ইতিহাস বিকৃতির সঙ্গে জড়িত তারা সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। অথচ ‘বীর সৈনিক’ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের নজরে বিষয়টি আনার পরও তারা কোনও পদক্ষেপ নেয়নি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।’’

তিনি জানান, ছবিটিতে একজন অভিনেতা ৭ মার্চের প্রসঙ্গ আনার পর হুট করে সে দৃশ্যটি ফেলে দেওয়া হয়েছে। তাই এই দৃশ্য যোগ ও জিয়াউর রহমানকে উপস্থাপন করে বলা বিকৃত অংশের কর্তন চান তিনি।

এ দিকে কালের কণ্ঠ জানায়, পরিচালক ঝন্টুর সঙ্গেও এ নিয়ে কথা বলেছেন ইমু। ঝন্টু তাঁর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন ইমু। ইমু বলেন, ‘ঝন্টু নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধা। ছবিতে তিনি ৭ই মার্চের ভাষণ রেখেছিলেন। তৎকালীন সেন্সর বোর্ড অংশটুকু ফেলে দেয়। তবে এই মুহূর্তে ছবির প্রযোজক ছাড়া বিতর্কিত অংশটুকু ফেলে দেওয়া সম্ভব নয়।’

একই সংবাদমাধ্যম আরও বলছে, নোটিশ পেয়ে এরই মধ্যে এসআইএস মাল্টিমিডিয়ার ইউটিউব চ্যানেল থেকে বিতর্কিত অংশ ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চ্যানেলটির কর্ণধার এম এন ইস্পাহানী। তিনি বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের লোক। আমি শুধু ছবিটির স্বত্ব কিনেছি। জানতাম না এখানে বিতর্কিত বিষয় আছে। গতকাল জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে সে অংশটুকু ফেলে দিয়েছি।’

উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেলে লাভা মুভিজের ইউটিউব চ্যানেলে ছবিটি পাওয়া যায়নি।


Leave a reply