শিগগিরই মুক্তি পাচ্ছে না দরদ, এশা মার্ডার বা জংলি
গত কোরবানের ঈদের পর উল্লেখযোগ্য কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি দেশের সিনেমা হলে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ায় বর্তমানে সবকিছু নতুন করে সাজাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। সে প্রক্রিয়ায় রয়েছে সেন্সর বোর্ডসহ চলচ্চিত্র সংক্রান্ত বাকি কমিটিগুলো। এছাড়া বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের বড় একটি অংশের পুনরুদ্ধারের সঙ্গে মিলিয়ে প্রেক্ষাগৃহে বিরাজ করছে স্থবির অবস্থা। এ কারণে আলোচনায় থাকা বেশ কিছু সিনেমা আপাতত মুক্তি পাচ্ছে না।
সম্প্রতি অনন্য মামুনের ‘দরদ’, এম রাহিমের ‘জংলি’ ও সানী সানোয়ারের ‘এশা মার্ডার—কর্মফল’ ছবিগুলো প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কালের কণ্ঠ। সেখান থেকে বোঝা যাচ্ছে, দর্শকদের আগ্রহে থাকা তিন সিনেমা চলতি বছরে মুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছে।
শাকিব খান ও বলিউডের সোনাল চৌহান অভিনীত ‘দরদ’ ছবিটি বেশ আগেই শুটিং-ডাবিং শেষ হয়েছে। এফডিসিতে প্রিভিউও হয়েছে ছবিটির। মামুন প্রস্তুত সেন্সরে জমা দেওয়ার জন্য। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর এখনো সেন্সর বোর্ড তাদের কার্যক্রম শুরু করেনি।
মাঝখানে শোনা গিয়েছিল দুর্গাপূজায় ‘দরদ’ বাংলাদেশ ও ভারতে একসঙ্গে মুক্তি পাবে। তবে সেটাও সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন মামুন। তিনি বলেন, ‘বড় বাজেটের ছবি। অভিনেতা দেশের সবচেয়ে বড় সুপারস্টার। তাঁর ছবি মুক্তি দেওয়ার আগে এক মাস অন্তত প্রচারণায় থাকতে হবে। দুর্গাপূজা আর এক মাসও বাকি নেই। তা ছাড়া সেন্সর বোর্ডেও ছবিটি জমা দিতে পারছি না। কী করে মুক্তির বিষয়ে কথা বলব!’
অন্যদিকে আজমেরী হক বাঁধন অভিনীত ‘এশা মার্ডার—কর্মফল’ ছবিটির টিজার প্রকাশ পেয়েছে রোজার ঈদের আগেই। কথা ছিল, ঈদে ছবিটি মুক্তি পাবে। সেটা হয়নি দুই দিনের শুটিং বাকি থাকার কারণে। এখনো ছবিটি ঝুলে আছে একই কারণে। এ বিষয়ে ছবির সানী সানোয়ার বলেন, ‘আগস্টেই আমরা শুটিংয়ের পরিকল্পনা করেছিলাম। সেটা তো আর হলো না। এখন আবার নতুন করে অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে শিডিউল নিয়ে বসতে হবে। দুই দিনের শুটিং হলেও ১৪ জন শিল্পীকে লাগবে আমার। একসঙ্গে এতজনের শিডিউল মেলানোটা কিন্তু বেশ কঠিন। শুধু তা-ই নয়, আমি যদি আগামী মাসে শুটিং শেষও করতে পারি তার পরও দুই মাস লাগবে পোস্ট প্রোডাকশনে। সব মিলিয়ে এই বছর ছবিটা মুক্তি দিতে পারব না। আগামী বছরের শুরুর দিকে কিংবা কোনো উৎসবে ছবিটি মুক্তি দেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে।’
সিয়াম আহমেদ ও শবনম বুবলি অভিনীত ‘জংলি’ মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল কোরবানির ঈদে। তবে শুটিং শেষ না হওয়ায় তখন নির্মাতা মুক্তি দিতে পারেননি। মাঝখানে শোনা গিয়েছিল, অক্টোবরে ছবিটি মুক্তি পাবে। তবে সেটাও নিশ্চিত নয় বলে জানান পরিচালক এম রাহিম। তিনি বলেন, ‘আমরা তড়িঘড়ি করে ছবিটি মুক্তি দিতে চাই না। একটু সময় নিতে চাই। আমাদের টিমের সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেব ছবিটি মুক্তির বিষয়ে। সিদ্ধান্ত হলে জানাব।’