সুনিপুণ নিপুণ
অভিনয়ে সুনিপুণ নিপুণ এখন আর দেশের গন্ডির মধ্যে নেই। দেশের বাইরের চলচ্চিত্রেও কাজ করছেন তিনি। দেশেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কাজ করছেন।
নিপূণ উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেই পাড়ি জমান সাদা বরফে ঢাকা মস্কো শহরে। রাশিয়ায় পড়াশোনা শেষে ২০০৪ সালে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখান থেকে ঘরে ফিরে ২০০৬ সালে হঠাৎ করেই নাম লেখান চলচ্চিত্রে। কাজ শুরু ‘রত্নগর্ভা মা’ নামে একটি ছবিতে। কিন্তু প্রথম চলচ্চিত্রটি আজো মুক্তি পায়নি। দ্বিতীয় ছবি ‘পিতার আসন’ মুক্তির পরপরই তার কাছে আসতে শুরু করে একের পর এক নতুন ছবির অনুরোধ।
এ বছরের শুরুতে নিপূণ অভিনীত শাহিন কবির টুটুলের এইতো ভালোবাসা, রকিবুল আল রকিবের জান তুমি প্রাণ, অহিদ্দুজ্জামান ডায়মন্ডের অর্ন্তধানসহ বেশ কিছু ছবি মুক্তি পায়।
এই বছর কলকাতায় প্রসেনজিতের সাথে অভিনয় করলেন ‘পরিচয়’ চলচ্চিত্রে।
সম্প্রতি নিপূণের ব্যস্ততা আবারও বেড়ে গেছে। একসঙ্গে তিনটি ছবিতে কাজ শুরু করছেন নিপূণ। এর মধ্যে শাহ আলম কিরণ পরিচালিত সরকারি অনুদানের ছবি ‘একাত্তরের মা জননী’র প্রায় অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে। ছবিতে একজন নারী মুক্তিযোদ্ধার চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিপূণ।শান্তি চৌধুরী পরিচালিত ‘মায়ানগর’ ছবিতে একজন র্যাম্প মডেলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিপূণ। যে মডেলিংয়ের প্রশিক্ষণ নিয়ে সাধারণ মেয়ে থেকে হয়ে ওঠেন বর্ণিল জগতের বাসিন্দা। অন্যদিকে এমএ আওয়াল পরিচালিত ‘কাদের শত্রু’ ছবিটির শ্যুটিং এরই মধ্যে শেষ করেছেন নিপূণ। ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপন চিত্রের শ্যুটিংও শেষ করেছেন। বাপ্পী সাহা পরিচালিত ‘মডার্ন টেক্সটাইল’-এর বিজ্ঞাপনটি আগামী মাস থেকে বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারিত হবে।
কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ দুই বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন এ অভিনেত্রী। প্রথমবার ২০০৬ সালে শাহ আলম কিরণের ‘সাজঘর’ ছবিতে প্রধান চরিত্রে সেরা অভিনয়ের জন্যে এবং দ্বিতীয় বার ২০০৯ সালে মোহাম্মদ হোসেনের ‘চাঁদের মতো বউ’ সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে সেরা অভিনয়ের জন্যে।
সূত্র: বাংলামেইল২৪.কম