সেন্সর বোর্ডের নাম-নিয়ম বদল
বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড। শুধু নিয়ম-কানুনই নয়। নামসহ বদলে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পরিবর্তিত নাম হচ্ছে- বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড। চালু হচ্ছে গ্রেডেশন। অনুমতি ছাড়া কোনো মাধ্যমে ট্রেলার, টিজার প্রদর্শন করা যাবে না। এছাড়া টেলিফিল্মকে সিনেমার সনদ দেওয়া হবে না। খবর যুগান্তর।
চলচ্চিত্র সশ্লিষ্টদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সেন্সর বোর্ডকে পুনর্গঠন করার জন্য এরই মধ্যে একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করে তথ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চিত্রকর্মীদের দাবি, সেন্সর নয়, বরং সিনেমার জন্য গ্রেডেশন পদ্ধতি চালু করা হোক। যেখানে বিভিন্ন ধরনের ছবি নির্মিত হবে এবং সে সব ছবিকে গ্রেডিংয়ের আওতাভুক্ত করে প্রদর্শনের অনুমতি দেয়া হবে। থাকবে দর্শকদের বয়স অনুযায়ী ছবি দেখার অনুমতি।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড এরকম একটি নীতিমালা তৈরি করে তথ্য মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য জমা দেয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। এ সব পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে- সংস্থার নাম পরিবর্তন, নতুন নীতিমালা প্রণয়ন, চলচ্চিত্র নির্মাণ ও প্রদর্শনের ক্ষেত্রে দিক নির্দেশনা, গ্রেডেশন অনুযায়ী সনদপ্রাপ্তিসহ আরও বেশকিছু নিয়ম-কানুন।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী বেশকিছু ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপের বিধানও সংযোজন করা হচ্ছে। এ সব কড়াকড়ির মধ্যে রয়েছে- অনুমোদন ছাড়া সিনেমা হল, ইউটিউবসহ কোথাও ট্রেইলার প্রদর্শন করা যাবে না। যদিও বর্তমান নীতিমালায় চলচ্চিত্রের পোস্টার, ডায়াগ্রাম, স্কেচ, হ্যান্ডবিল প্রিন্ট-ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারের জন্য সেন্সর বোর্ডের অনুমোদনের বাধ্যবাধকতা ও শাস্তির বিধান রয়েছে। কিন্তু বছর কয়েক ধরে নির্মাতা কিংবা প্রযোজকরা এ সব নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা করছেন না। নিজেদের ইচ্ছা মতো ট্রেইলার, পোস্টার বানিয়ে ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজাকি যোগাযোগের মাধ্যম ও ইন্টারনেটে বোর্ডের বিনা অনুমতিতে প্রচার করছেন। এ জন্য পরিবর্তিত আইনে এ সব বিষয়ের উপর কড়াকড়ি আরোপসহ শাস্তির বিধান রাখা হচ্ছে।
পাশাপাশি চালু হচ্ছে গ্রেডিং সিস্টেম। এতে অনুমোদনপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র দেখার জন্য দর্শকের বয়স নির্ধারণ করে দেয়া হবে। যাতে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নির্মিত ছবি কোনো অপ্রাপ্তবয়স্ক দেখতে না পারেন।
এ ছাড়াও টেলিফিল্মের মতো বড় কোনো নাটককেও সিনেমার নামে সনদ দেয়া হবে না। শিগগিরই নীতিমালাটি তথ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হবে বলে বোর্ড সূত্র জানিয়েছে।
সরকারের অনুমোদন পাওয়ার পরপরই নতুন নীতিমালা ও আইন অনুযায়ী পরিবর্তিত নাম ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড’ নিয়ে কার্যক্রম শুরু করবে বর্তমান সেন্সর বোর্ড।
Finally they got their sense back…..
But there are much more to do….