Select Page

অন্ধকারে পড়ে থাকা বাণিজ্যিক চিত্রায়ন

অন্ধকারে পড়ে থাকা বাণিজ্যিক চিত্রায়ন

অন্ধকার জগত – The Dark World
ধরন : গ্যাংস্টার-এ্যাকশন-ড্রামা
পরিচালক : বদিউল আলম খোকন
প্রযোজনা : এসজি প্রডাকশনস
কাস্ট : ডি.এ তায়েব (কাঙাল), আলেকজান্ডার বো (রাজা), মাহিয়া মাহি (শবনম চৌধুরী), মিশা সওদাগর (সুলতান বাবা/বাজান), মৌমিতা মৌ (দোলন), বড়দা মিঠু (আসলাম ভাই), আনহা তামান্না (রাজা’র স্ত্রী), বাসেদ শিমন (জাফর), আনোয়ারা (কাঙালের মা), মারুফ আকিব (ডি.এম.পি অফিসার) প্রমুখ।
মুক্তি : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

নামকরণ : গল্পের মূল বিষয়বস্তু অন্ধকার জগতের ৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীকে ঘিরে, যারা ত্রাসের শাসন কায়েম করে পুরো ঢাকায় রাজ করতে থাকে। প্রতিপক্ষ হিসেবে প্রশাসন তো দূর, কোনো বড় গ্যাংস্টার কিংবা মাফিয়া তাদের সামনে পাত্তা পায় না। পরবর্তীতে বোঝাপড়ার ভুলে এবং স্বার্থে আঘাত লাগায় নিজেদের মধ্যেই তারা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে।

নাম হিসেবে ‘অন্ধকার জগত’ মোটামুটি ঠিকঠাক লেগেছে, তবে এমন গল্পের জন্য আরো আকর্ষণীয় নাম রাখা যেতো।

কাহিনী, চিত্রনাট্য সংলাপ : সুলতান বাবা (মিশা) হলেন ঢাকার মস্ত বড় এক ডন, সবাই তাকে সম্মান করে ‘বাবা’ বলে ডাকে। রাস্তায় পড়ে থাকা অনেক অনাথ শিশুকে তিনি তুলে এনে কোলেপিঠে মানুষ করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম দুজন হলেন কাঙাল (তায়েব) এবং রাজা (আলেক), যারা বর্তমানে সুলতান বাবার যথাক্রমে ডান এবং বাম হাত। সুলতান বাবার আদেশে তারা দুজন পুরো ঢাকা শহরকে নিজেদের দখলে রাখে, অন্য কোনো গডফাদার তাদের সামনে দাঁড়ানোর সুযোগ পায় না। তবে এদের মধ্যে একজন একটু আলাদা। সে হলেন আসলাম ভাই (বড়দা মিঠু), যিনি একসময় সুলতান বাবার ছায়াতলেই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়েছে। সে বিভিন্নভাবে সুলতান বাবাকে কুপোকাত করার ফন্দি আটতে থাকে, কিন্তু দিনশেষে কাঙাল-রাজার সাহসিকতার সামনে সবকিছুই ব্যর্থ হয়।

অন্যদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ পুরো গ্যাং টাকে ধরার জন্য দিনের পর দিন কলুর বলদের মতো খেটে যাচ্ছে, কিন্তু কোনো কিছুতেই লাভ হচ্ছে না। পরবর্তীতে পুলিশ কমিশনার চট্টগ্রামে কর্মরত ‘বাঘিনী কন্যা’ খ্যাত পুলিশ অফিসার শবনম চৌধুরীকে (মাহি) ঢাকায় স্থানান্তর করে আনার সিদ্ধান্ত নেন। অতীতে তিনি বহু ভয়ংকর অপরাধচক্র ভেঙে চুরমার করেছেন, যার জন্যই তার এই উপাধি এবং পুলিশ ডিপার্টমেন্টের ভরসা অর্জন করা। এরপর শবনম চৌধুরী এবং তার টিম কীভাবে এই অপরাধ চক্রকে নষ্ট করেন, আদৌ তিনি সুলতান বাবা-কাঙাল-রাজাদের বিরুদ্ধে সফল হতে পারেন কিনা.. সে গল্পই বড়পর্দায় দেখা যায়।

বাণিজ্যিক ছবি হিসেবে ছবির গল্পটিকে বেশ ভালো বলা যায়। পাশাপাশি চিত্রনাট্যে বেশকিছু ছোট-ছোট টুইস্ট রাখা হয়েছে যেগুলো কিছুটা হলেও সবাইকে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য করবে। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়।

প্রথমত, সেই নব্বই দশকের বিশালাকার ডায়ালগ। তবে ভালো কিছু পাঞ্চলাইন আছে যেগুলো ছবির কোয়ালিটি বাড়িয়েছে। বিশেষ করে মিশা সওদাগরের মুখে এই পাঞ্চলাইনগুলো বেশি ফুটেছে। ‘আমার কাঙাল হইলো শাঁখের করাত! যাইতেও কাটে, আবার আইতেও কাটে!’, ‘আমার বাম হাতে ক্যান্সার ধরছে, কাঙাল তুই আমার হাতটা কাইটা ফেল!’ এমন ডায়ালগে হলভর্তি দর্শক তালি মেরেছে। কিন্তু ড্রামাটিক সিচ্যুয়েশনে ইয়া বড় বড় আকারের ডায়ালগ মাঝেমধ্যে ঘুমের উদ্রেক করেছে। বিশেষ করে, যিনি পুলিশ অফিসার ছিলেন (নামটি সঠিক খেয়াল নেই) তার কথা বেশ মনে পড়ছে। তাকে হয়তো কেউ নির্দেশনা দিয়েছিল সংলাপগুলো এক নিঃশ্বাসে বলতে হবে, তাই তিনি দুই-তিন লাইন একত্রে বলছিলেন। এমন আরো অনেক ছোটছোট চরিত্রকে দেখা গেছে বড় বড় ডায়লগ বলতে।

অংশ পাবে ১০০ তে ৫০

পরিচালনা অভিনয় : বদিউল আলম খোকন খুবই অভিজ্ঞ একজন পরিচালক। ৩৫ মি.মি এর যুগে তিনি বহু হিট ছবি উপহার দিয়েছেন। আবার ডিজিটাল সময়ে এসেও হিট ছবি দিয়েছেন, তবে সেগুলোর মেকিং ছিল মাত্রাতিরিক্ত দূর্বল। মেকিং দেখে মনেই হবে না এই পরিচালক একসময় এম.এম সরকার, নাসির খানদের সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন; যারা সালমান শাহের আমলে দাপটের সাথে কাজ করতেন।

‘অন্ধকার জগত’ দেখেই সেই একই উপলব্ধি আবার হলো। পার্থক্য শুধু একটাই, এর আগে প্রতিবারই তিনি চুরি করা গল্পে ছবি বানিয়েছেন। আর এবার মৌলিক গল্পে। হ্যাঁ.. উত্তম আকাশ, রাজু চৌধুরী, শাহীন সুমন, শাহাদাত হোসেন লিটন প্রমুখদের তুলনায় তার পরিচালনা ভালো। কিন্তু মোটেও সন্তোষজনক নয়, চমকপ্রদ তো নয়-ই! বাণিজ্যিক ছবি হিসেবে গল্প যতটা ভালো, তার উপস্থাপনা ছিল আরো বেশি দূর্বল।

অভিনয়ে সবচেয়ে বড় দূর্বলতা ছিলেন ডি.এ তায়েব। অনন্ত জলিলকে না দিলেও তাকে ‘বাংলার রোবট স্টার’ উপাধি দেওয়াই যায়। চেহারা দেখে বোঝার উপায় নেই রাগের অভিনয় করছেন না কষ্টের। আর যদি সানগ্লাস পড়ে থাকেন তবে তো কথাই নেই! তার মেদভুঁড়িও চোখে লেগেছে। সব মিলিয়ে ‘কাঙাল’ চরিত্রটির জন্য তিনি একদমই মানানসই ছিলেন না।

ছবির ৫ মিনিট ব্যাপ্তির ট্রেইলারে মাহিকে ভালো না লাগলেও ছবিতে তাকে ডিবি পুলিশের চরিত্রে  উচ্চতা এবং ফিটনেস মানানসই লেগেছে। তাকে বেশকিছু এ্যাকশন চরিত্রে দেখা গেছে, ভালোই ছিল সেগুলো। তবে এই প্রথমবার আমি কোনো কর্মরত পুলিশ অফিসারকে জাম্প বুট কিংবা স্যু এর পরিবর্তে হাই হিল পড়তে দেখলাম। এক-দুই জায়গায় না, পুরো ছবিতেই হাই হিল পড়ে তিনি কর্তব্যরত ছিলেন।

প্রায় তিন বছর পর আলেকজান্ডার বো বড়পর্দায় ফিরলেন। এছবির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে তিনি মোটামুটি ভালো অভিনয় করেছেন, পর্দায় তার বাইকে চড়ে হিরোয়িজম এন্ট্রি দর্শক চিৎকার এবং শিস বাজিয়ে গ্রহণ করেছে। অভিনয়ের দিক থেকে তিনি ভালো, কিন্তু স্বাস্থ্যে তিনি তায়েব ভাইয়ের চেয়েও এক কাঠি সরেষ। আশা করবো তিনি খুব দ্রুতই ওজন কমিয়ে ফিট হতে পারবেন এবং বড়পর্দায় নিয়মিত হবেন।

নিঃসন্দেহে মিশা সওদাগর এছবির সেরা অভিনেতা, যদিও তিনি তায়েব, মাহির তুলনায় স্ক্রিনে কিছুটা কম সময় ছিলেন। কিন্তু পুরো ছবিই তিনি তার লাউড এবং একইসাথে আন্ডারটোন এ্যাকটিং এর সাহায্যে জমিয়ে রেখেছিলেন। গল্পের অনেকখানি টুইস্ট তাকে ঘিরেই হয়েছে। চরিত্রের জন্য একদম পারফেক্ট কাস্টিং ছিলেন তিনি।

মৌমিতা মৌ এছবিতে তার স্বাভাবিক অভিনয়টা দেখানোর মতো চরিত্র পেয়েছিলেন, এর আগে কখনোই তাকে ভালো কোনো চরিত্রে দেখা হয়নি। মোটামুটি ভালো করেছেন। অন্য আরেক নবগতা নায়িকা আনহা তামান্না তেমন একটা সুযোগ পাননি। তাই এই স্বল্পসময়ে তার বাছ-বিচার করা ঠিক হবে না।

বড়দা মিঠু এবং আনোয়ারা বাদে বাকি যারা ছিলেন তাদের অভিনয় আমার কাছে তেমন ভালো লাগেনি, সবার মধ্যেই কেমন যেনো আনাড়ি-আনাড়ি ভাব। মজা পেয়েছি কমেডিয়ান সীমান্ত আহমেদকে দেখে। তার অভিনয়ে না, তাকে যা করতে দেওয়া হয়েছে সেটা দেখে। দৃশ্যটি ছিল একটি সিনেমাহলের সামনে, যেখানে ইফতেখার চৌধুরীর ‘ওয়ান ওয়ে’ (২০১৬) ছবিটি চলছে। এই ছবিতে সীমান্ত নিজেও একটি চরিত্রে ছিলেন, আবার তিনিই সিনেমা হলের সামনে দাড়িয়ে সুন্দরী মেয়েদের টিজ করে হলে নিয়ে যেতে চাচ্ছিলেন। এমন একটা ভুল কীভাবে তারা করে সেটাই বুঝলাম না। হয়তো তারা মনে করেছিল তিন বছর আগের সিন দর্শক ভুলে গেছে..

অংশ পাবে ১০০ তে ৩০

 কারিগরি : আমরা গরিব, আমাদের ওতো পয়সা নেই, আমাদের ওতো ভালো ক্যামেরা নেই, তত ভালো সেট নেই… এমন যেনতেন অজুহাত সেই বহুকাল থেকেই এফডিসির পরিচালকদের দিয়ে আসতে দেখা যায়। সমস্যাটা মোটেও বাজেটের না, সমস্যা হলো দক্ষতায়। ক্যামেরা ধরে শুধু শ্যুট করা আর বিভিন্ন আঙ্গিকে ক্যামেরা ধরে শ্যুট করার মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ। এগুলোই মূলত একটা ছবি ভালো না খারাপ তার পার্থক্য গড়ে দেয়। গত বছরের ‘পোড়ামন ২’ ডিজিটাল বাণিজ্যিক ছবির জন্য একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে। গৎবাধা, পরিচিত, পুরোনো এক‌টি গল্পকে সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে তুলে আনা হয়েছে শুধুমাত্র কারিগরি দক্ষতার জোরে। এটা অবশ্যই মনে রাখা উচিত, ছবিটি শাকিব খানের ৩ ছবির সাথে ক্ল্যাশে জড়িয়েও ঐ ঈদের সর্বোচ্চ আয় করেছিল।

এতো অপ্রাসঙ্গিক কথা বলছি, কারণ এছবির কোনো কারিগরি দিক আমার ভালো লাগেনি। সবকিছুতেই নব্বই দশকের দৈন্যদশা খুঁজে পাওয়া যায়। সিনেমাটোগ্রাফি, এডিটিং, কালার গ্রেডিং সবকিছুই মান্ধাতার আমলের এ্যাকশন ছবির কথা মনে করিয়ে দেয়। আর বরাবরের মতো এ ছবিতেও অনলাইন থেকে ডাউনলোড করেই ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বসানো হয়েছে। বেশিরভাগ মিউজিক নেওয়া হয়েছে তেলেগু ছবি ‘ভাদরা’ (২০০৫) ও ‘তাদাখা’ (২০১৩) থেকে।

 অংশ পাবে ১০০ তে

বিনোদন সামাজিক বার্তা : ছবির প্রথমার্ধ বিনোদনে ঠাসা; নাচ-গান, মারামারি, গন্ডগোল, ক্লাইম্যাক্স মিলিয়ে কখন যে ছবির প্রথমার্ধ শেষ হয়ে যায়, তা টের-ই পাওয়া যায়না। বিরক্ত লাগার সুযোগ একদমই নেই।

বিরক্ত হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে ছবির দ্বিতৗয়ার্ধ। মূলত এখানে গল্পের রাস্তা ঘুরিয়ে অন্যদিকে মোড় নেওয়া হয়েছে। কাঙালের অতীত কিংবা কাঙাল-রাজার বন্ধুত্বের ওপর বেশি জোর না দিয়ে জোর দেওয়া হয়েছে কাঙাল-শবনমের প্রেমের ওপর। এখানেই ছবিটি খেই হারিয়েছে, একটা এ্যাকশন নির্ভর ছবিতে জোর করে মেলোড্রামা এবং রোম্যান্স ঢোকানো হয়েছে। গল্পের গতি তো কমেছেই, উল্টো বেহুদা ছবির দৈর্ঘ্য বেড়েছে। ছবির দ্বিতীয়ার্ধ প্রায় ১১০ মিনিটের! আমি জানি না বাংলা ছবির ইতিহাসে এর থেকে বড় দ্বিতৗয়ার্ধ আছে কিনা।

ছবিতে মোট গান রয়েছে ৪ টি। এর মধ্যে শুধুমাত্র রোমানা রোমা’র গাওয়া ‘রোমিওর খোঁজে জুলিয়েট’ গানটি ভালো লেগেছে। এইগানে আলী আকরাম শুভর সঙ্গৗতায়োজন বেশ ভালো ছিল, যার দরুন উপভোগ করেছি। তবে গানের কিছু ডান্স স্টেপ হিন্দি ছবি ‘ভুমি’(২০১৭) এর ‘ট্রিপি ট্রিপি’ থেকে কপি মারা হয়েছে। হিন্দি গানটা বেশ জনপ্রিয়, যে কেউ চাইলে মিলিয়ে দেখতে পারেন। এছাড়াও এছবির ‘নাচুনে বুড়ি’ নামক আইটেম গানটির সুর বেশ খানিকটা কপি করা হয়েছে হিন্দি ছবি ‘রাউডি রাঠোর’ (২০১২) এর ‘আ রে প্রিতাম পেয়ারে’ নামক গানটি থেকে। শুভ্রদেব-ন্যানসির গাওয়া গানটি কিছুটা ক্লাসিক ঢঙের, এছাড়া অন্য গানটি ততটা ভালো লাগেনি।

ছবিতে যে শুধু বিনোদন দেওয়া হয়েছে তেমনটি না, শেষের দিকে এসে সামাজিক বার্তাও দেওয়া হয়েছে। অপরাধ জগৎ খুবই খারাপ একটা জায়গা। এই জায়গায় যে পা বাড়ায়, তার ফিরে আসা খুবই কঠিন এবং কষ্টসাধ্য। অনেক সময় নিজের জীবন বাজি রেখে তবেই ফিরে আসতে হয়।

অংশ পাবে ১০০ তে ৪০

ব্যক্তিগত : ছবিটি নিয়ে তেমন প্রত্যাশাই ছিল না। হলে ঢুকে বিপুল পরিমাণে দর্শক দেখে মন ভালো হয়ে গেলো, হাতেগোনা কয়েকটা সিট ফাঁকা ছিল। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের মাঠ পর্যায়ের প্রমোশন যে কাজে লেগেছে এতো দর্শক সমাগম সেকথাই বলে।

আগেই বলেছি, ছবির প্রথমার্ধ অনেক উপভোগ্য, পয়সা উসুল না হলেও একদম সময় নষ্ট হওয়ার মতো না। কিন্তু ছবির দ্বিতৗয়ার্ধ বেহুদা সময় নষ্ট করেছে। কম হলেও দ্বিতৗয়ার্ধের দৈর্ঘ্য ১৫/২০ মিনিট কমানো যেতো। সবমিলিয়ে বাণিজ্যিক ছবি হিসেবে গল্প মোটামুটি ভালো, কিন্তু মেকিং এবং পরিচালনা একদম যাচ্ছেতাই।

রেটিং : ৪.৫/১০

ছবিটি কেন দেখবেন : এ ছবিটি সম্পূর্ণ মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষদের জন্য, যাদের আমরা ‘মাস ওডিয়েন্স’ বলি। এর পাশাপাশি মাহি ভক্তদের এছবি অনেক ভালোলাগবে। সময় হলে একবার দেখে আসতে পারেন।


Leave a reply