Select Page

অস্কারে যাচ্ছে বাংলােদেশি নির্মাতার ‘ইন্টেরিয়র্স এন্ড এক্সটেরিয়র্স’

অস্কারে যাচ্ছে বাংলােদেশি নির্মাতার ‘ইন্টেরিয়র্স এন্ড এক্সটেরিয়র্স’

চেক রিপাবলিকে অনুষ্ঠিত জিলাভা ইন্টারন্যাশনাল ডকুমেন্টরি ফিল্ম ফেস্টিভালে শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য ডকুমেন্টরি ফিল্ম হিসেবে ক্রাটকা রাডস্ট (শর্ট জয়) পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতা আশিক মোস্তফার ‘ইন্টেরিয়র্স এন্ড এক্সটেরিয়র্স’।

‘শর্ট জয়’ পুরস্কারের অর্থমূল্য হিসাবে অনলাইন ডিস্ট্রিবিউশন এবং প্রচারণা বাবদ তিন হাজার ইউরো দেওয়া হবে নির্মাতাকে। এছাড়াও অস্কার মনোনীত ‘শর্ট জয়’ পুরস্কারপ্রাপ্ত ফিল্ম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডের স্বল্পদৈর্ঘ্য ডকুমেন্টরি বিভাগের জন্য মনোনিত হয় এটি। ২০১৮ সালের অস্কারের ৯১তম আসরের জন্য ছবিটি প্রতিযোগিতা করবে।

মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের সৃজনশীল ডকুমেন্টারির সর্ববৃহৎ এই উৎসবে প্রথাবিরোধী ও নিরীক্ষাধর্মী ভিন্ন ধারার চলচ্চিত্রকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়। উৎসবে চলচ্চিত্রটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার উপলক্ষ্যে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে গ্লিটজ’কে নির্মাতা আশিক মোস্তফা বলেন, “একসাথে এতো অসাধারণ সব চলচ্চিত্র দেখার সুযোগ আমার দৃষ্টিভঙ্গিকে আরো প্রসারিত করেছে। এই ধরণের চলচ্চিত্র নির্মাণে আমি এখন আরো বেশি অনুপ্রাণিত।’

নির্মাতার ভাষ্যে, “মোবাইল ফোনে ধারণকৃত জিরো-বাজেটে নির্মিত ‘ইন্টেরিয়র্স এন্ড এক্সটেরিয়র্স’ ঢাকা শহরের প্রতিদিনকার দেখা একটি আপাত সাধারণ দৃশ্যের সূক্ষ ও ব্যঞ্জনাময় উপস্থাপণ। একটি মাত্র শটে নেয়া ৮ মিনিটের এই চলচ্চিত্রটি যেন একটি চলমান স্থিরচিত্র, যেখানে একই ফ্রেমে প্রতিফলিত হয়েছে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক ধর্ম চর্চা ও শ্রেণি বৈষম্যের ভিতর-বাহিরের একটি চিত্র।”

খনা টকিজের সহপ্রতিষ্ঠাতা আশিক মোস্তফা নিউ ইয়র্কের ‘স্কুল অব ভিজ্যুয়াল আর্টস’ থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও ‘৭২০ ডিগ্রি’, ‘মেহেরজান’ ও ‘আন্ডার কন্সট্রাকশন’-এর মতো আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও পরিবেশনা করেছেন তিনি। বর্তমানে শূন্য-বাজেটে মোবাইল ফোনে ধারণ করা ‘ইনভেডিং প্রাইভেসি’ নামে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য ডকুমেন্টারি ছবির সম্পাদনার কাজ করছেন তিনি।

খনা টকিজের ব্যানারে ‘ইন্টেরিয়র্স এন্ড এক্সটেরিয়র্স’ ছবিটি প্রযোজনা করেছেন রুবাইয়াত হোসেন


মন্তব্য করুন