Select Page

আমদানি করা কলকাতার সিনেমা দেখছে না দর্শক

আমদানি করা কলকাতার সিনেমা দেখছে না দর্শক

ইদানিং পরপর মুক্তি পাচ্ছে আমদানি করা কলকাতার সিনেমা। কিন্তু দর্শকরা এই সব ছবি দেখছে না বলে জানান হল মালিকরা। তাদের মতে, শুধুমাত্র হল সচল রাখতেই বাধ্য হয়ে ভারতীয় ছবি চালাচ্ছেন।

চ্যানেল আই অনলাইনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ১২ জুলাই দেবের নতুন ছবি ‘কিডন্যাপ’ বাংলাদেশের ৫৮টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। কিন্তু দর্শকেরা ছবিটি গ্রহণ করেননি। রাজধানী ও রাজধানীর বাইরের হলগুলোতেও দর্শক খরা তীব্র। এর আগে মুক্তি পাওয়া ‘ভোকাট্টা’ তো একদমই ফ্লপ গেছে।

স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘কিডন্যাপ’-এর রীতিমত ভরাডুবি হয়েছে বলে জানান বিপণন বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক মেজবাহ উদ্দিন। তিনি অনলাইন সংবাদমাধ্যমটিকে জানান, কিডন্যাপে শুক্র-শনি-রবি এই তিনদিনে দর্শকের উপস্থিতি শতকরা ২২ ভাগ। তিনদিনে মোট ১২ শো চলেছে। এ যাবৎকালে সবচেয়ে কম টিকেট বিক্রি হয়েছে ‘কিডন্যাপ’ ছবির।

বলাকা সিনেমার ম্যানেজার সাজিদ আহমেদ বললেন, আশানুরূপ ব্যবসা হচ্ছে না। বলাকায় জিতের ছবি যেভাবে চলে সে তুলনায় দেবের এই ছবি দর্শক দেখছে না।

দর্শক না আসার অন্যতম কারণ হিসেবে সঠিক প্রচারণার অভাব এবং প্রতিকূল আবহাওয়াকে দায়ী করলেন বলাকা সিনেমার হলের এই কর্মকর্তা। তার ভাষ্য, প্রতি শো এভারেজ ২০-৪০ জন দর্শক নিয়ে চালাতে হচ্ছে। এর বেশি রেসপন্স নেই।

মিরপুরের পূরবী সিনেমা হলে ‘কিডন্যাপ’-এর ৪টি করে শো চললেও সেখানকার দায়িত্বে থাকা পরেশ দত্ত জানান, খুব খারাপ অবস্থা এই ছবির। মানুষই একেবারেই দেখছে না। হল চালু রাখতে বাধ্য হয়েই ‘কিডন্যাপ’ চালাচ্ছি।

গাজীপুরের বর্ষার বুকিং এজেন্ট তরিকুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার ভালো চলেছিল। এরপর থেকে দর্শক নেই হয়ে গেছে। কারণ, বৃষ্টি। এর আগে ‘ভোকাট্টা’ চালিয়েছিলেন। ওই ছবিও চলেনি। বলেন, কলকাতার যতবড় স্টারের ছবি হোক না কেন, এদেশের কেউ না থাকলে ওই ছবি দর্শক গ্রহণ করেনি।

কিন্তু যৌথ প্রযোজনার ছবিগুলো আবার বাম্পার ব্যবসা করেছিল বলে জানান বুকিং এজেন্ট তরিকুল ইসলাম।

শোনা যাচ্ছে, জিৎ-দেবের সিনেমাও আজকাল কলকাতায় আর ভালো বিকোচ্ছে না। শুধু টিভি টিআরপি বেশি থাকায় এখনো তারা ছবি নির্মাণ করে যাচ্ছেন।

সর্বশেষ ঈদে ‘কিডন্যাপ’-এর সাথে মুক্তি পাওয়া জিতের ‘শেষ থেকে শুরু’ও বাংলাদেশে মুক্তি পাবে বলে শোনা যাচ্ছে। পরিবেশক সেই শাপলা মিডিয়া।


Leave a reply