Select Page

হলে আসেনি দর্শক, ইউটিউবে ঝড়

হলে আসেনি দর্শক, ইউটিউবে ঝড়

নানাদেশের সিনে হিস্ট্রি ঘাটলে দেখা যাবে— অনেক সিনেমাই আছে যা হলে দর্শক টানেনি। কিন্তু পরবর্তীতে টেলিভিশন বা অন্য মাধ্যমে দর্শক টেনেছে। তেমনটাই ঘটল তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ‘অজ্ঞাতনামা’র ক্ষেত্রে।

বাংলাদেশ থেকে অস্কারে যাওয়ার জন্য অফিসিয়াল ঘোষণা পাওয়া সিনেমাটি মু্ক্তি পায় চলতি বছরের ১৯ আগস্ট।

হল তালিকায় ছিল বলাকা সিনেওয়ার্ল্ড (ঢাকা), শ্যামলী ডিজিটাল সিনেমা (ঢাকা), মতিমহল (ডেমরা), পূরবী সিনেমা (ময়মনসিংহ), মনিহার (যশোর), মাধবী (মধুপুর), সাগরিকা (চালা), গৌরী (শাহজাদপুর) ও কেয়া (টাঙ্গাইল)। অর্থাৎ, ঢাকার দুই মাল্টিপ্লেক্সের কোনোটাইতে প্রথম সপ্তাহে মুক্তি পায়নি। এ নিয়ে সমালোচনার অন্ত ছিল না। পরবর্তীতে স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পায়। কিন্তু ততদিনে দর্শক ফোকাস থেকে সরে যায় ‘অজ্ঞাতনামা’। সব মিলিয়ে, কোনো ধরনের ব্যবসায়িক কারিশমা দেখাতে ব্যর্থ হয়। সম্ভবত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইমপ্রেস টেলিফিল্মের তেমন কোনো লক্ষ্যই ছিল না।

প্রথম থেকেই পুরো ঘটনাটির জন্য দায়ি করা হয় ইমপ্রেসকে। কোনো ধরনের পাবলিসিটি ছাড়াই হুট করে প্রিমিয়ার করে সিনেমাটির মুক্তি দেওয়া। তৌকীর আহমেদ এ নিয়ে হতাশার কথাও জানান।

পরবর্তীতে সিনেমাটির প্রশংসাকারীরা বলেন, ভালো প্রচারণা থাকলে ‘আয়নাবাজি’র মতোই খেল দেখাতো। তবে এমন মন্তব্য চ্যালেঞ্জ অযোগ্য নয়। বাংলাদেশে বরাবরই ‘ভালো সিনেমা’র বাজার ভালো নয়। ‘ভালো সিনেমা’ যে মধ্যবিত্তকে উদ্দেশ্য করি নির্মিত হয়— তারা তেমন সাড়া দেন না। বরং ‘আয়নাবাজি’র মতো চাকচিক্যময় বাণিজ্যিক সিনেমায় আগ্রহ বেশি। তারা মূলত ঘরে বসেই অন্য ছবিগুলো দেখতে চান। সেটাই দেখা গেল ইউটিউবে।

এছাড়া ‘অজ্ঞাতনামা’ নিয়ে আমলে নেওয়ার মতো কোনো রিভিউও চোখে পড়েনি। ব্যবসা ও প্রশংসা মিললে সিনেমাটি হয়তো অনেক মেধাবী নির্মাতাকে আত্মবিশ্বাসী করত!

১০ ডিসেম্বর নতুন একটি পর্বে প্রবেশ করে ‘অজ্ঞাতনামা’। ওইদিন আনঅফিসিয়ালি ইউটিউবের একটি চ্যানেলে আপ করা হয় সিনেমাটি। ৫দিন না গড়াতেই দেখা হয়েছে ২ লাখের বেশিবার। এ সময়ের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিনেমাটির প্রশংসার ঝড় বইতে থাকে। যা একেবারেই অবিশ্বাস্য! অনেকে প্রশ্ন তোলেন— শুধু কি দায় নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের, দর্শকের কি কোনো দায় নেই!

দুঃখজনক হলো, ২ লাভ দর্শক পাওয়া ইউটিউব চ্যানেলটি ‘অজ্ঞাতনামা’র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। তাই শুধু প্রশংসাই যাচ্ছে নির্মাতার ঘরে। এছাড়া এত হৈচৈ সত্ত্বেও ইউটিউবে বেআইনিভাবে আপ করা চ্যানেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়াও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের উদাসীনতাকে তুলে ধরে।


মন্তব্য করুন