Select Page

কলকাতার সিনেমার ভরাডুবি, কী বলবেন উৎসাহীরা?

কলকাতার সিনেমার ভরাডুবি, কী বলবেন উৎসাহীরা?

বাংলাদেশের সিনেমা বাজার দিন দিন পড়তির দিকে, কয়েক বছরে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক সিনেমা হল। আর হল রক্ষায় বারবারই একটি মহল বলে আসছিল, ভারতীয় সিনেমা আমদানি করা হোক?

কয়েক বছর ধরে নানা প্রতিবাদের মুখে সাফটা চুক্তির আওতায় ভারতীয় সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। কিন্তু খুব কমই সিনেমা সফলতার মুখ দেখেছে। ভারতীয় বা যৌথ প্রযোজনা বলতে শাকিব খানের অভিনয়ই দর্শকের মন কেড়েছে। কিন্তু অতি সাম্প্রতিক রিলিজগুলো ততটা দর্শক সমাদর পায়নি।

চলতি বছরের শুরুতে জিতের ‘ইন্সপেক্টর নটি কে’, পড়ে শাকিবের ‘চালবাজ’ মুক্তি পেলেও তেমন সাড়া পায়নি।

জুলাইয়ের শেষ দুই সপ্তাহ ও আগস্টের প্রথম দুই সপ্তাহ মোট চারটি ভারতীয় সিনেমা মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশে। পরপর এতগুলো ভারতীয় সিনেমা মুক্তি একটি রেকর্ড। এর মধ্যে ছিল জিতের ‘সুলতান দ্য সেভিয়র’, শাকিবের ‘ভাইজান এলো রে’, যশ দাশগুপ্তের ‘ফিদা’ ও সোহম-শ্রাবন্তীর ‘পিয়া রে’।

‘বাদশা দ্য ডন’ দিয়ে বাংলাদেশের ঝড় তুললেও এরপর তেমন চমক দেখাতে পারেননি জিৎ। ‌‘ইন্সপেক্টর নটি কে’র চেয়ে সামান্য ভালো করলেও কিন্তু আশাব্যঞ্জক কোনো ফল আনেনি ‘সুলতান’। অন্যদিকে শাকিবের ‘ভাইজান এলো রে’ শুরুর দুইদিনের প্রত্যাশার আলো দেখালেও ছাত্র আন্দোলনের কবলে পড়ে। পরে আর সেই অবস্থার উন্নতি হয়নি।

এদিকে ভারতের চেয়ে এক সপ্তাহ পর ‘ফিদা’ ও একইদিন মুক্তি পায় ‘পিয়া রে’। এ দুটি সিনেমার অবস্থা বিপর্যয়করই বলা হয়।

‘সুলতান’ ও ‘ভাইজান এলো রে’ মুক্তির দুই-তিনদিন আমদানিকারকরা সিনেমাগুলো ভালো যাচ্ছে, ফেসবুকে এমন প্রচারণা চালান। কিন্তু কেউই ব্যবসার কোনো হিসেব দেননি। অন্যদিকে ‘ফিদা’ ও ‘পিয়া রে’ নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্যই নেই! তাদের ভালো করেই ভাবা উচিত, আসলে দর্শক কেন সিনেমা দেখে না?


মন্তব্য করুন