Select Page

টিকিটের অর্থ ভাগাভাগি নিয়ে প্রযোজক ও স্টার সিনেপ্লেক্সের সমঝোতা

টিকিটের অর্থ ভাগাভাগি নিয়ে প্রযোজক ও স্টার সিনেপ্লেক্সের সমঝোতা

প্রেক্ষাগৃহের টিকিটের টাকার ন্যায্য বণ্টনের প্রশ্নে সমঝোতায় পৌঁছেছেন সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ ও প্রযোজকেরা, এ তথ্য দিলেন দুইপক্ষ।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা সিটি শাখায় এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। মাল্টিপ্লেক্সটির জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক (বিপণন) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বসে সুরাহা করেছি। বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে।’

বৈঠকে স্টার সিনেপ্লেক্সের নির্বাহী পরিচালক খালেদ আহমেদ, প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল, প্রযোজক রেদওয়ান রনি, ‘বরবাদ’ প্রযোজক শাহরিন সুমী, ‘জংলি’ প্রযোজক জাহিদ হাসান অভি, ‘ইনসাফ’ প্রযোজক আবুল কালাম উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের পর তোলা একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে ‘তুফান’, ‘দাগি’র প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল লিখেছেন, ‘বাংলা চলচ্চিত্রের স্বার্থে প্রযোজকবৃন্দ ও স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ আলোচনা করে ন্যায্যতার ভিত্তিতে একমত হয়ে আগামীতে সিনেমা প্রর্দশনীর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

শাকিলের ভাষ্য, ‘চলচ্চিত্রের অগ্রগতিতে এ সিদ্ধান্ত ইন্ডাস্ট্রিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে, এ আশাবাদ সবার।’

এ দিকে প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এখন থেকে স্টার সিনেপ্লেক্স একজন প্রযোজককে কাউন্টার সেলের ওপর প্রথম সপ্তাহে ৩১ শতাংশ, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে ৩০ শতাংশ, চতুর্থ সপ্তাহে ২৭ শতাংশ এবং পঞ্চম সপ্তাহ থেকে যত দিন সিনেমাটি চলবে, তত দিন ২৫ শতাংশ করে শেয়ার মানি দেবে। হল মেইনটেন্যান্স চার্জ বা এসি চার্জ, সরকারি ট্যাক্সসহ অন্য সব খরচ এখন থেকে হল কর্তৃপক্ষ বহন করবে। আগে টিকিটের নেট মূল্যের ওপর শেয়ার মানি নির্ধারণ করত স্টার সিনেপ্লেক্স।

গত ১৪ মে প্রেক্ষাগৃহ থেকে ন্যায্য হিস্যা পাওয়ার প্রশ্নে ঐকমত্যে আসেন ঢাকাই সিনেমার প্রযোজকদের একটি অংশ। বৈঠক নিয়ে প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল বলেন, ‘প্রযোজকের স্বার্থরক্ষার প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। প্রেক্ষাগৃহের মানি শেয়ারিংয়ের ন্যায্য হিস্যা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’

এর আগের দিন প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন নিয়ে তুমুল শোরগোল শুরু হয়। সেখানে বলা হয়, ৬০০ টাকার টিকিটে এসি রক্ষণাবেক্ষণের নামে ২২২ টাকা কেটে রাখে স্টার সিনেপ্লেক্স। টিকিটপ্রতি প্রায় ৩৭ শতাংশ। এত টাকা কেটে নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রযোজকেরা। শুধু স্টার সিনেপ্লেক্স নয়; ব্লকবাস্টার সিনেমাস, লায়ন সিনেমাস, শ্যামলী, মধুমিতাসহ দেশের শীতাতপনিয়ন্ত্রিত সব প্রেক্ষাগৃহেই এসি রক্ষণাবেক্ষণের নামে কেটে নেওয়া হয় নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ।

এরপর বৈঠকে এসি রক্ষণাবেক্ষণের বিল কমানোর প্রস্তাব দেন প্রযোজকেরা। টিকিট বিক্রির অর্থের নায্য হিস্যা চান তারা।


Leave a reply