Select Page

চলচ্চিত্র বাঁচাতে ৫০০ কোটি টাকার আবেদন

চলচ্চিত্র বাঁচাতে ৫০০ কোটি টাকার আবেদন

করোনাভাইরাসের কারণে দেশের অন্যান্য শিল্পের মতো চলচ্চিত্র বড় আকারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে কথা বিবেচনা করে সরকার ইতোমধ্যে অনুদানের চলচ্চিত্রের সংখ্যা দ্বিগুণের অধিক করে দিয়েছে। এতে ক্ষতি পুরোপুরি সমাধান হবে না। তাই চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৮টি সংগঠন বুধবার (১৫ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চারটি প্রস্তাব দিয়েছে এ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য। যার মধ্যে আছে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দের আবেদন। খবর সারা বাংলার।

বুধবার এফডিসির জহির রায়হান মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চলচ্চিত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রযোজক সমিতির সভাপতি ও পরিচালক সমিতির সভাপতি স্বাক্ষরিত লিখিত চিঠি পড়ে শোনা হয়। যেটি পড়েন পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার।

লিখিত বক্তব্যে গুলজার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপ এবং সহযোগিতা ছাড়া চলচ্চিত্র শিল্প রক্ষা করা কোন ভাবেই সম্ভব নয় বলে আমরা মনে করি। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুনির্দিষ্টভাবে কয়েকটি প্রস্তাব পেশ করছি।

১৮ টি সংগঠনের পেশ করা প্রস্তাবগুলো হচ্ছে—

১. দেশের অন্যান্য শিল্প এবং শিল্পের সাথে জড়িত কর্মীদের রক্ষার জন্য যেভাবে সরকারি প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে সেভাবে চলচ্চিত্র শিল্প এবং এই শিল্পের সাথে জড়িত কর্মীদের রক্ষা করার জন্য সরকারি প্রণোদনা দেয়া হোক।
২. আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পকে এই বিপর্যস্থ অবস্থা থেকে রক্ষা করতে সরকারি বাজেট থেকে কমপক্ষে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হোক। এ ৫০০ কোটি টাকা থেকে ১০০ কোটি টাকা বিএফডিসির মাধ্যমে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য দেয়া হোক। ১০০ কোটি দেয়া হোক যারা নিয়মিত চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন সেই সব প্রযোজকদের। বাকি ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হোক নতুন প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণ ও পুরানো প্রেক্ষাগৃহগুলো সংস্কারের জন্য।
৩. গভীরভাবে এই চলচ্চিত্র শিল্পকে জানেন, বোঝেন, ভালোবাসেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চলচ্চিত্রকে নিয়ে করা পরিকল্পনাকে আন্তরিকতা ও দক্ষতার সাথে যিনি বাস্তবায়ন করতে পারবেন এমন কাউকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হোক।
৪. স্বাস্থ্যবিধি মেনে অচিরেই সিনেমা হল খোলার অনুমতি প্রদান করার অনুরোধ। তাহলে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা প্রযোজকরা নতুন করে চলচ্চিত্র নির্মাণে আগ্রহী হয়ে উঠবেন।

গুলজার আরও বলেন, প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন হলে চলচ্চিত্র শিল্পের অন্ধকার দূর হয়ে যাবে। এ শিল্পের সাথে জড়িত হাজার হাজার মানুষ ও তাদের পরিবার বাঁচবে। এছাড়াও আমাদের চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে খ্যাতি, সম্মান ও পুরস্কার নিয়ে আসবে।

এ টাকা কীভাবে খরচ করা হবে, যদি সরকার দাবিগুলো মেনে নেয়? এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন, আর্থিক প্রণোদনা পেলে আমরা সবাই মিলে তালিকা করে দিবো সরকারকে। কিংবা সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বলে দিবে কীভাবে আবেদন করতে হবে প্রণোদনার টাকা পাওয়ার জন্য। তখন আমরা ওইভাবে কাজ করবো।

এছাড়া এ অর্থের বাইরের করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ প্রযোজকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি জানান খসরু।

একই সংবাদ সম্মেলনে মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানকে ‘বয়বটের’ ঘোষণাও দেওয়া হয়।


মন্তব্য করুন