![অনুদান পাওয়ার সাত বছর পর মুক্তি পাচ্ছে ‘আজব কারখানা’](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2024/06/ajob_karkhana1_bmdb_image.jpg?resize=150%2C150&ssl=1)
পুলিশ কর্মকর্তা চরিত্রে যেভাবে প্রস্তুত হচ্ছেন বাঁধন
আক্ষরিক অর্থে আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ বদলে দিয়েছে আজমেরী হক বাঁধনকে। কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসিত হওয়ার পর থেকে একদম বেছে বেছে কাজ করছেন। প্রস্তুত ছাড়া নামছেন না মাঠে। নতুন সিনেমা ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’-এর জন্য প্রস্তুত নিচ্ছেন আটঘাট বেঁধে।
![](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2023/12/esha_murder_azmeri_haque_bhadon_bmdb_image.jpg?resize=1024%2C571&ssl=1)
সত্য ঘটনা অবলম্বনে সানী সানোয়ার নির্মাণ করছেন ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’। একটি খুন ও সেই রহস্য উদ্ঘাটনের গল্প দেখা যাবে এতে। এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো পুলিশ কর্মকর্তার ভূমিকায় অভিনয় করছেন বাঁধন। সম্প্রতি তিনি দেখা করতে গিয়েছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণখান জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার রাকিবা ইয়াসমিনের সঙ্গে। সারা দিন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে থেকে পরামর্শ নিয়েছেন চরিত্রটি ঠিকভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য।
বাঁধন বলেন, ‘এশা মার্ডার সিনেমায় পুলিশের একজন তদন্ত কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করব। এর আগে পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করিনি। নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য গত দেড়-দুই মাস এই প্রজেক্ট নিয়েই আছি। এখন তো পুলিশের ট্রেনিং নেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, এটা সময়ের ব্যাপার। তাই চেষ্টা করছি নারী পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার। এই ব্যাপারে পরিচালক সানী ভাই অনেক সহায়তা করছেন।
সম্প্রতি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণখান জোনের এসি রাকিবা ইয়াসমিনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। এই জোনে এই পদে তিনিই প্রথম নারী কর্মকর্তা। আমার চরিত্রের সঙ্গে তাঁর অনেক মিল আছে। এই কারণেই তাঁর সঙ্গে আলাদা করে দেখা করা। অন্যান্য কর্মকর্তার সঙ্গেও কথা বলেছি। কেউ অভিযোগ নিয়ে এলে তার সঙ্গে কীভাবে কথা বলা হয়, সেটা জানার চেষ্টা করেছি। এ ছাড়া সানী ভাইয়ের অফিসে একজন নারী কর্মকর্তা আছেন, তাঁর সঙ্গে আমার চরিত্রটি নিয়ে কথা বলেছি।’
বাঁধন আরও বলেন, ‘চরিত্রটি হয়ে উঠতে নিয়মিত ফাইট ডিরেক্টর এডওয়ার্ডের সঙ্গে কাজ করছি। তিনি মার্শাল আর্ট জানেন। তাঁর সঙ্গে ট্রেনিংটা খুব কাজ লাগবে মনে হচ্ছে। বাকিটা নির্ভর করছে শুটিংয়ের সময় আমি কতটা করতে পারব। তবে সানী ভাইয়ের ওপর আমার বিশ্বাস আছে। তিনি যেহেতু পুলিশে আছেন, তাই আমাদের সবারই চরিত্র হয়ে উঠতে সুবিধা হবে। আশা করছি, একটি ভালো কাজ শেষ করে আমরা ঢাকায় ফিরতে পারব।’
এদিন বাঁধনের সঙ্গে আরও ছিলেন ফারুক আহমেদ, সরকার রওনক রিপন, হাসনাত রিপন ও তানভীর মাসুদ। কপ ক্রিয়েশন ও বিঞ্জ প্রযোজিত এশা মার্ডারে আরও আছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, মিশা সওদাগর, শতাব্দী ওয়াদুদ, সুষমা সরকার, সুমিত সেনগুপ্ত, শরীফ সিরাজ প্রমুখ।
চলতি মাসের ৮ তারিখ থেকে জামালপুরে শুরু হওয়ার কথা এশা মার্ডার সিনেমার শুটিং। আগামী রোজার ঈদে সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে যৌথভাবে দুই খণ্ডের ‘মিশন এক্সট্রিম’ পরিচালনা করেছিলেন সানী সানোয়ার। এবার নতুন ধরনের থ্রিলারকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন তিনি। খবর আজকের কাগজ।