Select Page

‘বেদের মেয়ে জোসনা’র রেকর্ড ভাঙা কেন অসম্ভব?

‘বেদের মেয়ে জোসনা’র রেকর্ড ভাঙা কেন অসম্ভব?

beder-meye-joshna

বেদের মেয়ে জোসনা’র রেকর্ড ভাঙার গল্প গত কয়েক বছর ধরে দর্শক শুনছেন। সত্য হলো রেকর্ড ভাঙা তো দূরের কথা— গত বিশ বছরেও কোনো সিনেমা ১০ কোটি টাকা আয় করেনি, সেখানে আলোচিত সিনেমাটির আয় ২০ কোটি টাকা! এবং নানা বিচারে এ সিনেমার রেকর্ড ভাঙা প্রায় অসম্ভব!

এটা ঠিক তোজাম্মেল হক বকুল পরিচালিত ‘বেদের মেয়ে জোসনা’র একটা রেকর্ড ভাঙা সম্ভব। সেটা হলো সিনেমাটি প্রথম সপ্তাহে খুব বেশি হলে মুক্তি পেয়েছে এমন না। কারণ কেউ ভাবেনি সিনেমাটি মারমার কাটকাট ব্যবসা করবে। ঢাকার বাইরের কিছু হলে মুক্তি পায়। তাই প্রথম সপ্তাহ হাউসফুল হলেও আয় অনেক বেশি হওয়ার কথা না। কিন্তু এরপর তো ইতিহাস।

আর ওই সময় দেশে হল ছিল ১২০০ এর বেশি। সব হলেই ঘুরে ঘুরে ইলয়াস কাঞ্চন ও অঞ্জু ঘোষ অভিনীত সিনেমাটি চলেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে একাধিকবার চলেছে। বর্তমানে হল সংখ্য ৩০০ বা এর বেশি। আর সিনেমার লাইফটাইম কম হওয়ায় এ মাস পর হলে খুঁজে পাওলা দুস্কর হয়ে পড়ে যদি না হিট হওয়ার সম্ভবনা থাকে। আর হাউসফুল হওয়া তো দূরের কথা।

বাংলাদেশে এখনো বক্স অফিস প্রথা গড়ে উঠেনি। তাই কোনো সিনেমার আসল আয় ও কতদিনে কত আয় করেছে তা বলা মুশকিল। কিন্তু ‘বেদের মেয়ে জোসনা’র একটা প্রমাণ সহজেই দেওয়া যায়।

প্রমাণ হিসেবে দেখানো যায়, ৬৭তম সপ্তাহে পত্রিকায় প্রকাশিত ‘বেদের মেয়ে জোসনা’র বিজ্ঞাপন। সেখানে দেখা যায় অবিশ্বাস্য ঘটনা। কী?

ঢাকায় ৬৭তম যৌথ সপ্তাহে সিনেমাটি প্রদর্শিত হচ্ছিল ১৯টি হলে। খুলনায় ৫৮তম যৌথ সপ্তাহ হিসেবে পায় ৩টি হল। যশোরে মনিহারে তখন টানা ১০তম সপ্তাহ চলছিল তখন, রাজশাহীর উপহারে ১৭তম সপ্তাহ ও সিলেটের অবকাশে ১৩তম সপ্তাহ। ১০ম সপ্তাহে চলছিল আরো ৯টি হলে। ৩য় সপ্তাহে আরো ৫টি ও দ্বিতীয় সপ্তাহে চলছিল চট্টগ্রামের বনানী কমপ্লেক্সে।

‘বেদের মেয়ে জোসনা’ মুক্তি পায় ১৯৮৯ সালে। অর্থাৎ, তখন টাকার মান ছিল এখনকার চেয়ে বেশি, আবার মফস্বলে টিকিটের দাম খুব যে পরিবর্তিত হয়েছে এমনও না। এবার তবে হিসাব মেলান!

ঢাকায় ৬৭তম যৌথ সপ্তাহে সিনেমাটি প্রদর্শিত হচ্ছিল ১৯টি হলে। খুলনায় ৫৮তম যৌথ সপ্তাহ হিসেবে পায় ৩টি হল। যশোরে মনিহারে তখন টানা ১০তম সপ্তাহ চলছিল তখন, রাজশাহীর উপহারে ১৭তম সপ্তাহ ও সিলেটের অবকাশে ১৩তম সপ্তাহ। ১০ম সপ্তাহে চলছিল আরো ৯টি হলে। ৩য় সপ্তাহে আরো ৫টি ও দ্বিতীয় সপ্তাহে চলছিল চট্টগ্রামের বনানী কমপ্লেক্সে।

এছাড়া এ সিনেমার সবচেয়ে অভিনব ব্যাপার ছিল নানা স্তরের জণগণের সাড়া। বিশেষ করে নারী দর্শকদের আগ্রহ। পাশাপাশি এ সিনেমায় জনগণের মনস্তত্বের গভীর দিক প্রকাশ হয়েছিল- তা ফোক সিনেমা ছাড়া সাধারণত বোঝা যায় না। তাই সিনেমাটি আজো সিনে বিশেষজ্ঞ ও পণ্ডিতদের আগ্রহের খোরাক।

এটা ঠিক একটা বক্সবাস্টার সিনেমা ঘুরিয়ে দিতে পারে একটা ইন্ডাস্ট্রির চাকা। সে বিবেচনায় আসুক ‘বেদের মেয়ে জোসনা’র রেকর্ড ভাঙা কোনো সিনেমা।


Leave a reply