স্টার সিনেপ্লেক্সে হলিউড-বলিউডকে ছাড়িয়ে গেল ‘তুফান’
শাকিব খানের ক্যারিয়ারের সাম্প্রতিক অর্জনগুলোর একটি সিঙ্গেল স্ক্রিন থেকে মাল্টিপ্লেক্সের তারকা হয়ে উঠা। ‘প্রিয়তমা’র পর ফের ‘তুফান’ দিয়ে দিলেন পর্দা কাঁপালেন তিনি। ২০২৪ সালে ব্যবসার নিরিখে মাল্টিপ্লেক্স চেইন স্টার সিনেপ্লেক্সে হলিউড-বলিউডকে ছাড়িয়ে গেছে রায়হান রাফী পরিচালিত ‘তুফান’। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশের প্রথম এই মাল্টিপ্লেক্স।
বছর শেষে সম্প্রতি স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্মকর্তা মেজবাহ আহমেদ জানিয়েছেন যে ১০টি সিনেমা সবচেয়ে বেশি চলেছে সিনেপ্লেক্সে। এর মধ্যে সবার প্রথমে আছে ‘তুফান’। শীর্ষ বাংলা সিনেমার মধ্যে এরই পর আছে শাকিব খান অভিনীত আরেক সিনেমা, হিমেল আশরাফের ‘রাজকুমার’। অন্য ছবিগুলো হলো ‘মোনা-জ্বিন ২’, ‘দেয়ালের দেশ’, ‘কাজলরেখা’, ‘ওমর’, ‘দরদ’, ‘৮৪০’, ‘প্রিয় মালতী’ ও ’৩৬-২৪-৩৬’।
অবশ্য মোট শো বা আয়ের তথ্য উল্লেখ করেনি স্টার সিনেপ্লেক্স। তবে অন্যভাবে আনুমানিক একটি হিসাব পাওয়া গেছে। মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমার টিকিট বিক্রির তথ্য অনলাইনে ট্র্যাক করে গ্রস আয় প্রকাশ করে বাংলা মুভি রিভিউ বা বিএমআর। ফেসবুকভিত্তিক মেটাডাটা সংগ্রহকারী এ পেজের তথ্য মতে, স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে ১৩ কোটি ১৫ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে ‘তুফান’-এর। শোনা যায়, এ চেইন থেকে টিকিটের মোট দামের ২০ শতাংশ পেয়ে থাকেন সিনেমার প্রযোজক। সে হিসেবে স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা নিট আয় করেছে ‘তুফান’-এর প্রযোজক। আর এ পরিমাণ আয় এসেছে ২ হাজার ৫৬১টি শো থেকে।
এছাড়া হলিউড, বলিউড ও ঢালিউড মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি আয় করা দশ ছবির তালিকায় ‘তুফান’-এর পর রয়েছে ডেডপুল এন্ড উলভারিন, ডানকি, গডজিলা এক্স কং, ক্রু, মোয়ানা ২, ভেনম দ্য লাস্ট ড্যান্স, কুংফু পান্ডা ৪, রাজকুমার ও দরদ। অর্থাৎ ব্যর্থ দুই সিনেমা ‘রাজকুমার’ ও ‘দরদ’ দর্শক দেখেছে মাল্টিপ্লেক্সে।
সব মিলিয়ে ২০২৪ সালে স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাওয়া দেশি-বিদেশি ছবিগুলোর মধ্যে সেরা দশে স্থান পাওয়া চারটি ছবি হলিউডের, তিনটি ছবি বলিউডের এবং বাকি তিনটি ছবি ঢালিউডের! ঢালিউডের তিন ছবির সবগুলোই শাকিব খান অভিনীত!
এ বিষয়ে মেজবাহ আহমেদ বলেন, ‘সিনেপ্লেক্সের এ বছরটা বলার মতো অতটা ভালো যায়নি। ওভারঅল ‘তুফান’ই একমাত্র সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করেছে। যা সিনেপ্লেক্সের গত ২০ বছরের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েছে। এমনকি বলিউডের সিনেমাও ফ্লপ গেছে। হলিউড আহামরি চলেনি, যা চলেছে সবই এভারেজ। সব মিলিয়ে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না, এ জন্য মানুষ কম সিনেমা দেখেছে।’