Select Page

বার্লিন ওয়ার্ল্ড সিনেমা ফান্ড
৭৫ লাখ টাকা সরকারি অনুদানের ‘সুরাইয়া’ পেল ৪০ হাজার ইউরো

<div class="post-subheading">বার্লিন ওয়ার্ল্ড সিনেমা ফান্ড</div>৭৫ লাখ টাকা সরকারি অনুদানের ‘সুরাইয়া’ পেল ৪০ হাজার ইউরো

২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ সরকার থেকে ৭৫ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছিল রবিউল আলম রবি পরিচালিত ‘সুরাইয়া’। এবার জার্মানির বার্লিন ওয়ার্ল্ড সিনেমা ফান্ড থেকে ৪০ হাজার ইউরো বা প্রায় ৫৭ লাখ টাকার তহবিল। এছাড়া আরো কয়েকটি নামি ফিল্মবাজারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ফজলে হাসান প্রযোজিত এ সিনেমা।

সুরাইয়া শিবব্রত বর্মনের একই নামের ছোটগল্প অবলম্বনে নির্মিত হবে। সিনেমাটির গল্প নিয়ে পরিচালক জানালেন, ‘সুরাইয়া’ প্রেমের গল্প, একটি ভাষা তৈরির গল্প, একটি অপরাধের গল্প।

‘সুরাইয়া’ রবিউল আলম রবি প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এর আগে ওটিটির জন্য ‘ঊনলৌকিক’, ‘ক্যাফে ডিজায়ার’ বানিয়ে প্রশংসা পেয়েছিলেন। এ দুটি কনটেন্টও শিবব্রতর লেখা থেকে নির্মিত।

বর্তমানে সিনেমাটির প্রি-প্রোডাকশনের কাজ চলছে। শুটিংয়ের পরিকল্পনা নিয়ে জানতে চাইলে পরিচালক জানান, পরিস্থিতি বুঝে আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলের দিকে সিনেমাটির শুটিং করতে চান। ‘সুরাইয়া’র সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে সহপ্রযোজক হিসেবে যুক্ত হয়েছেন মুশফিকুর রহমান ও নরওয়ের আর্নে ধার।

বার্লিন ওয়ার্ল্ড সিনেমা ফান্ডের জন্য এবার ৬৩টি দেশ থেকে ২৩৬টি সিনেমার প্রকল্প জমা পড়ে। এর মধ্যে তহবিল পাচ্ছে আটটি সিনেমা। এশিয়া থেকে পেয়েছে দুটি সিনেমা। ‘সুরাইয়া’ ছাড়াও এশিয়া থেকে তহবিলের জন্য নির্বাচিত আরেকটি সিনেমা হলো কম্বোডিয়ার ‘টু লিভ টু স্টে’। এটি নির্মাণ করবেন দানেচ সান।

‘সুরাইয়া’ এর আগে ২০২৩ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের এশিয়ান প্রজেক্ট মার্কেট, ফ্রান্সের থ্রি কন্টিনেন্ট ফেস্টিভ্যাল আয়োজিত প্রদিউর উ স্যুদ ধর্মশালা ল্যাব এবং ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে তাসভীর ফিল্ম মার্কেটে অংশ নেয়। এবার সিনেমাটির সঙ্গে যুক্ত হলো বার্লিন ওয়ার্ল্ড সিনেমা। প্রযোজক জানান, সিনেমা নির্মাণের জন্য তাঁরা এ সহায়তা পাচ্ছেন। একজন জার্মান প্রযোজক সিনেমাটির সঙ্গে যুক্ত হলে এ অর্থ পাবেন।

বর্তমানে নরওয়েতে রয়েছেন পরিচালক রবিউল আলম রবি। হোয়াটসঅ্যাপে প্রথম আলোকে রবি বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড সিনেমা ফান্ড পৃথিবীর অন্যতম প্রতিযোগিতামূলক একটি ফান্ড। শৈল্পিক ও নান্দনিক বিচারে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সম্ভাবনাময় ছবিগুলো এখানে প্রতিযোগিতা করে। ফলে এ ফান্ড ‘সুরাইয়া’র জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। নির্মাণ সহায়তার পাশাপাশি এর ফলে ছবিটির প্রতি বৈশ্বিক মনোযোগ সৃষ্টি হবে। যা ছবির বৈশ্বিক প্রদর্শন ও পরিবেশনার পথ সুগম করবে। এটা আমাদের দায়িত্বকে আরও বেশি বাড়িয়ে দিয়েছে।’

প্রযোজক ফজলে হাসান বলেন, ‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ইন্ডি ফিল্ম (স্বাধীন ধারার সিনেমা) নিজস্ব উদ্যোগে শুরু করতে হয়। দেশ থেকে তেমন কোনো লগ্নি মেলে না; বরং নানা কথা শুনতে হয়। সেখানে বার্লিনের মতো একটি বড় জায়গা থেকে আমাদের এ সহায়তা অনেক বড় ভরসার জায়গা তৈরি করে দিল। এটা আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন মনে হচ্ছে, আমাদের সিনেমার বৈশ্বিক শৈল্পিক মূল্য রয়েছে। এ ফান্ড আমাদের কাছে সাহসের নাম। মনে হচ্ছে, আমরা সিনেমাটি নিয়ে সঠিক পথেই রয়েছি।’


Leave a reply