অজ্ঞাতনামাঃ লাশের গল্পে রাজনৈতিক সিনেমা
তৌকির আহমেদের “অজ্ঞা্তনামা” দেখতে দেখতে আরো দুটো লাশকেন্দ্রিক সিনেমার কথা মনে পড়লো। মোরশেদুল ইসলামের শর্টফিল্ম “চাকা” এবং শ্রীলঙ্কান নির্মাতা প্রশন্ন ভিতানাগে (Prasanna Vithanage)’র Purahanda Kaluwara (Death on a Full Moon Day)।
চাকাকে বাংলাদেশের স্বাধীনধারার চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম পথিকৃৎ ধরা হয় (মোরশেদুল ইসলামের “আগামী”, তানভির মোকাম্মেল এর শর্টফিল্ম “হুলিয়া” এবং তারেক মাসুদের “নরসুন্দর” এর সাথে সাথে)। এটিও একটি নাম পরিচয়হীন (অজ্ঞাতনামা) লাশকে নিয়ে আবর্তিত হয়, যে লাশটি অতি আবশ্যকীয়ভাবেই ধর্ম-জাতের পরিচয়হীন। লাশটিকে তার গ্রামে পৌছানোর দায়িত্বে থাকা মুসলমান গারোয়ানের মধ্যে সেই নাম পরিচয়হীন ও ধর্মের পরিচয়হীন লাশের প্রতি যে মায়া তৈরি হয়, যে শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত হয় সেটিই চলচ্চিত্রটিকে আলাদা মাত্রা দেয়। সেলিম আল দীনের অসাধারণ একটি রচনা (কথানাট্য) থেকে বানানো এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি মাইল ফলক। এর বদৌলতে আন্তর্জাতিক পরিসরে GRAND PRIX পুরস্কার প্রাপ্তিও একটা উল্লেখযোগ্য ঘটনা বলতে হবে।
প্রশন্ন ভিতানাগে বাংলাদেশে এসেছিলেন শর্ট ফিল্ম ফোরামের ১৩ তম আন্তর্জাতিক স্বলদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসবে। আমার দায়িত্বে থাকা প্রথম সিনেমা ট্যালেন্ট ক্যাম্পাসের একটা সেশনে তিনি মাস্টারক্লাস নিয়েছিলেন তার সদ্য নির্মিত, আলোচিত- বিতর্কিত ও পুরস্কার প্রাপ্ত Oba Nathuwa Oba Ekka (With You, Without You) এর উপর। একসাথে এই সিনেমা দেখা, ঘন্টা খানেকের আলাপ-আলোচনা সব ছাপিয়ে সিনেমার বক্তব্যের মধ্যে প্রতিষ্ঠানকে- রাষ্ট্রকে আঘাত করার যে বলিষ্ঠ ভূমিকা পাই- সেটাই শ্রীলঙ্কান এই পরিচালকের প্রতি দারুন আকর্ষণ তৈরি করে দেয়। ফলে পরে একে একে ইউটিউবে প্রাপ্ত অন্যান্য সিনেমাগুলোও দেখে ফেলি- তার মধ্যে Death on a Full Moon Day বলতে গেলে বাকহারা করে দিয়েছিল। দক্ষিণ এশিয়ারই একটা দেশ, বাংলাদেশের মত থার্ড ওয়ার্ল্ড এরই একটা দেশে এরকম বোল্ড, এমন রাজনৈতিক, এমনভাবে রাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ করা মুভি যে তৈরি হতে পারে- সেটা আমার ধারণার বাইরে ছিল। আফসোস হচ্ছিল, বাংলাদেশে এদিক দিয়ে আমরা কত পিছিয়ে আছি …
Death on a Full Moon Day- এর নামের মধ্যেই মৃত্যুর ঘটনা আছে, এখানেও একটি লাশ আসে, এক সিপাহী সৈনিকের লাশ, এটাও সরকারী লাশ (চাকা – অজ্ঞাতনামাতেও “এটা সরকারী লাশ” বলে ধামকিও আছে), সরকার নিজ উদ্যোগেই লাশ পাঠায়, ১ লাখ রূপী অনুদানও দিতে চায়। এইখানে লাশের ফিজিকাল উপস্থিতি চাকা বা অজ্ঞাতনামার মত- অধিক সময়ের নয়। এখানে লাশ বা কফিন দ্রুতই কবরে চলে যায় ঠিকই- কিন্তু লাশ নাই হয়ে যায় না। লাশকে কেন্দ্র করেই গল্প এগুতে থাকে- লাশ তার সন্তানের না বলে অন্ধ বাবা দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে গেলে- এই কবরে যাওয়া লাশটিও অজ্ঞাতনামা হয়ে যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটা আর অজ্ঞাতনামা থাকে না- চাকা ও অজ্ঞাতনামা’তেও লাশ শেষ পর্যন্ত একটা পরিচয় পায়- সবচেয়ে বড় পরিচয়- মানুষের পরিচয়। কিন্তু এটিতে মানুষের পরিচয়ও তার জুটে না, জুটে ভিন্ন এক পরিচয়। যার মধ্য দিয়ে লাশটি অগণ্য হয়ে পড়ে- সরকার, রাষ্ট্র মূর্ত হয়ে আসে- রাষ্ট্রের যাবতীয় ধাপ্পাবাজি সমেত মূর্ত হয়ে আসে।
তৌকির আহমেদের অজ্ঞাতনামাও একটা লাশের জার্নির গল্প। এই লাশটা ঠিক চাকার লাশের মত পুরোপুরি অজ্ঞাত নয়, এর কিছুটা হলেও পরিচয় আছে। সেটি একজন প্রবাসী শ্রমিকের। এখানে লাশের জ্ঞাত ও অজ্ঞাত হওয়ার ঘটনা সাইনওয়েভের মত ওঠানামা করে। প্রথমে দেখা গেল যে নাম পরিচয়ের ব্যক্তির লাশ হিসেবে এটি দেশে আসছে- এটি তার নয়- ফলে এই লাশ হয়ে যায় অজ্ঞাত, কিছুক্ষনের মধ্যে সমাধান ঘটে- লাশটি জ্ঞাত হয়- কিন্তু লাশের পেছনকার শ্রমিক মানুষটির জীবিতাবস্থাতেই অজ্ঞাত পরিচয়ের হয়ে যাওয়ার কথা আমরা জানতে পারি। আবার একসময় দেখা যায়- লাশটি অন্য কারো, ফলে আবার সে হয়ে ওঠে অজ্ঞাতনামা। সন্তানহারা পিতা ধর্মের উর্ধে উঠে (বাস্তবে দেশ ও ধর্ম উভয়েরই উর্ধে উঠে) লাশকে গ্রহণ করে নেয়। চাকা ও Death on a Full Moon Day এর সাথে এখানে সে আলাদা হয়ে যায়- এটি আর একটি লাশের গল্প থাকে না- এটি অনেকগুলো অজ্ঞাতনামা লাশের গল্প হয়ে যায়- একই সাথে আমরা দেখি জীবিত প্রবাসী শ্রমিকরাও জীবিত অজ্ঞাত, তাদের নাম পরিচয়ই কেবল তারা হারায় না- এই রাষ্ট্র, এই সরকার, এই মন্ত্রণালয়, পুলিশ, এম্বাসী, কাস্টমস- সবার কাছেই এরা অজ্ঞাত, কি জীবিত অবস্থায়, কি লাশ হওয়ার পরে। ফলে, চাকার মত কেবল মানুষ হিসেবে পরিচয়টাই এখানে মুখ্য হয় না, বরং এই রাষ্ট্র- সমাজ- সরকার- প্রতিষ্ঠান- সকলকেই এই অজ্ঞাত শ্রমিকদের ভুলে থাকার, মানুষ হিসেবে গণ্য না করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়, বিদ্রোহ করে। রাষ্ট্রের দায়িত্বহীনতা, অযোগ্যতা, অমানবিকতা, দূর্ণীতি এবং ফাইজলামি এখানে প্রতি পদে পদে মূর্ত করা হয়েছে। Death on a Full Moon Day এর মত “অজ্ঞাতনামা”ও তীব্র রাজনৈতিক বক্তব্য হাজির করে, এবং এই চলচ্চিত্র নিজেও সুনির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক অবস্থান (position) নেয়।
তৌকির আহমেদের “অজ্ঞাতনামা” নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রশন্ন ভিতানাগের সিনেমার কথা আনায় একরকম তুলনার ব্যাপার চলে আসতে পারে, মেকিং এর নানাদিক নিয়ে কথা হতে পারে। ফলে প্রথমেই বলে নেই- আমি আসলে কোন ধরণের সিনেমাটিক কম্পারিজনে যেতে চাচ্ছি না বা চাই না। অন্তত দেশের বাইরের সিনেমাগুলোর সাথে। প্রশন্ন ভিতানাগে বা সেনেগালিজ ওসমান সেমবেন প্রমুখদের সিনেমা দেখলে মাঝেমধ্যে মাথায় আসে- ওদের দেশটাও কত পিছিয়ে, তাদেরও কত সমস্যা- তারপরেও কত দারুণভাবে তাদের দেশকে রিপ্রেজেন্ট করার মত বলিষ্ঠ পলিটিকাল মুভি তারা বানাতে পারছে, আমরা পারছি না বা পারিনি। ফলে- এটাকে ঠিক তুলনা বলার চাইতেও আফসোস বলা যেতে পারে। বরং আমি তুলনা করতে চাই- আজ পর্যন্ত নির্মিত বাংলাদেশী সিনেমাগুলোর মধ্যেই।
“অজ্ঞাতনামা“কে সেদিক দিয়ে বলবো- আজ পর্যন্ত আমার দেখা যাবতীয় বাংলাদেশী সিনেমাগুলোর মধ্যে অন্যতম সাহসী, সবচেয়ে রাজনৈতিক এবং রাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ জানানো পূর্ণাঙ্গ সিনেমা। শেখ নিয়ামত আলী ও মশিউদ্দিন শাকেরের ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’, শেখ নিয়ামত আলীর ‘দহন’ কিংবা তারেক মাসুদের ‘রানওয়ে’ কেও রাজনৈতিক সিনেমা বলি (‘সূর্য দীঘল বাড়ি’কে অবশ্য রাজনৈতিক ইতিহাসের সিনেমা বলি)। নির্মাণের দিক দিয়ে ‘অজ্ঞাতনামা’র চাইতে সেগুলোর মেকিং অনেক বেশি পরিপক্ক ও পূর্ণাঙ্গও বটে। কিন্তু ‘অজ্ঞাতনামা’ বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রকে যেভাবে ক্রিটিসাইজ করেছে, সেটা অনন্য।
আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি রেমিটেন্স আর গার্মেন্টস শিল্প। যাদের রক্ত পানি করা ঘামের উপর দাঁড়িয়ে আমাদের এই অর্থনীতি- তারা হচ্ছেন প্রবাসী শ্রমিক আর গার্মেন্টস শ্রমিক। অথচ- আমাদের সিনেমায় গল্পে সাহিত্যে তারা, তাদের জীবন, সংকট ভীষণভাবে অনুপস্থিত। তারেক মাসুদের ‘রানওয়ে’তে অল্প করে সংলাপের মধ্য দিয়ে গার্মেন্টস শ্রমিকদের কিছু প্রসঙ্গ এসেছে- কিন্তু সেটা মোটেও সিনেমাটির বিষয়বস্তু হয়ে উঠতে পারেনি। এর বিপরীতে তানভীর মোকাম্মেল তো “বস্ত্রবালিকা” নামে একটি দালালি নির্ভর প্রামাণ্যচিত্র উপহার দিয়েছেন- যেটার মূল বক্তব্য হচ্ছে, আমাদের গার্মেন্টসের আমদানিকারকরা যদি আরেকটু বেশি দামে বস্ত্র কিনতো- গার্মেন্টস শ্রমিকরা আরো সুন্দর দিন কাটাতে পারতো। সেদিক দিয়ে বলতে গেলে- “অজ্ঞাতনামা“কে বিপ্লবীই বলতে হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত টলে উঠতে পারে কি না- সেই চিন্তায় আপোষে তিনি যাননি। এই প্রবাসী শ্রমিকদের বিদেশ যাওয়ার প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে প্রবাসে তাদের পরিস্থিতি, যেকোন সময়ে লাশ মিছিলে শামিল হওয়ার সম্ভাবনাকে কেবল আঙুল দিয়ে দেখাননি, আমাদের রাষ্ট্রকে আগাগোড়া করে প্রশ্ন করে গিয়েছে, চ্যালেঞ্জ করে গিয়েছেন, রেমিটেন্সের টাকার উপরে দাঁড়ানো রাষ্ট্রের দায়িত্বহীনতা- অযোগ্যতা- অমানবিকতা সবই দেখিয়েছেন … আর সে কারণেই এই সিনেমাটির ত্রুটিগুলো (এখনও নাটকের প্রভাব বলয় থেকে পুরো বের হতে না পারা, লাশের বাবা আর বউ এর চরিত্র ছাড়া বাকি সব চরিত্রে ওভার-একটিং বিশেষ করে মোশাররফ করিমের বিরক্তিকর ও অমানানসই অভিনয়, তিন পুলিশেরই বেখাপ্পা চরিত্রায়ন ও সংলাপ, গ্রামীণ পরিবেশ নির্মাণে অপরিপক্কতা, পাওয়ারফুল ইমেজ তৈরিতে ব্যর্থতা, দুর্বল ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ও সাউন্ড, বাচ্চা ছেলেটাকে আরো স্ট্রংভাবে উপস্থাপনে দুর্বলতা, ডিউটি পুলিশ- দালালের মধ্যকার রসায়ন- হালকা রসাত্মক সংলাপ ইত্যাদি) তাই এই মুহুর্তে ইগনোরই করতে চাই। কেননা, তৌকির আহমেদ সিনেমায় গল্পটি সার্থকভাবে বলতে পেরেছেন এবং এমন একটি গল্প তিনি বলেছেন- যেটিকে আমি আপহোল্ড করতে চাই। তাই বলছি- #অজ্ঞাতনামা_আমাদেরসিনেমা, এবং অনেকদিন পরে মনে হলো, হ্যাঁ- এই সিনেমার জন্যেই যেন বসে ছিলাম।
শেষে আরেকটি সাম্প্রতিক সিনেমার কথা বলতে চাই। এটা ঠিক লাশের সিনেমা বলা যাবে না, তবে আমার মনে হয়- একে জিন্দা লাশের সিনেমা বলা যায়! ভেসে আসা ছেলেটা যেমন জিন্দা লাশ, আমাদের সমাজে নারীর অবস্থানও তো ঐ জিন্দা লাশই। হ্যাঁ, তরুন নির্মাতা Abu Shahed Emon এর “জালালের গল্প”এর কথা বলছি। এই নির্মাতার সাথেও পরিচয় শর্ট ফিল্ম ফোরামের ২০১৪ সালের চলচ্চিত্র উৎসবে, তার অসম্ভব পাওয়ারফুল একটা শর্টফিল্ম “কন্টেইনার” এর মাধ্যমে। ‘জালালের গল্প’ সিনেমাটির গল্পটাও এমন অদ্ভুত এবং এমন শক্তিশালী, এমন হৃদয়গ্রাহী ও জ্বালাময়ী যে, এরকমটি বাংলাদেশের সিনেমায় আমি খুব কমই পেয়েছি। কিন্তু, সিনেমাটি যতই দেখেছি- ততই আফসোস করতে হয়েছে, ততই অস্থির ও ছটফট লাগছিল- কেননা মনে হচ্ছিলো- এমন অসাধারণ এবং এরকম কঠিন একটা গল্প নিয়ে সিনেমা কেন এখনই বানাতে গেলেন নির্মাতা! আরো কয়েকটি সিনেমা বানানোর পরে ধরতে পারতেন এটি, আরো কয়েকটি বছর নাহয় আমরা অপেক্ষাই করতাম! চরিত্র নির্বাচন বা কাস্টিং, অভিনয়, সেট, সংলাপ কোন কিছুই গল্পের সাথে যায় না- এমন মনে হয়েছে … এমনকি অসংখ্য জায়গায় পেয়েছি- যত্নের অভাব, যেনবা তড়িঘড়ি করে, যেকোনভাবে বানানো হয়েছে। এত শক্তিশালী গল্পের জন্যে যে জিনিসটা খুব দরকার ছিল- পাওয়ারফুল কিছু ইমেজ, কিছু মোমেন্ট তৈরি- সেটারও অভাববোধ করেছি। তারপরেও, এতসব সমস্যা- সমালোচনার পরেও বলবো- গল্পটা অসাধরণ, এ কেবল কাঁদায়ই না- ভাবায়ও। এবং আশা করতে পারি যে, এমন গল্প যে নির্মাতা তার প্রথম সিনেমাতেই দিতে পারেন- সামনেও নিয়মিতভাবেই তিনি আরো দিবেন, ততদিনে- এই সিনেমার সমস্যা ত্রুটিগুলো থেকে মুক্ত হবেন নিশ্চয়ই। তাই বলছি- #জালালেরগল্প_আমাদেরসিনেমা এবং আমি এই সিনেমাকেও আপহোল্ড করতে চাই।
সিনেমার ইউটিউব লিংকঃ
১/ অজ্ঞাতনামাঃ পাইরেটেড লিংক শেয়ার করছি না। হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখুন, অন্যদের দেখতে বলুন। এরকম সিনেমা সিনেমাহলে উপচে পড়ে মানুষের দেখা উচিৎ। গ্রামে গঞ্জে প্রজেকশন টিম পাঠিয়ে পিঠে প্রজেক্টর নিয়ে এই সিনেমা দেখানো উচিৎ। এই কাজটি কেউ করতে আগ্রহী থাকলে- সাধ্যমত সহযোগিতা করতে রাজী আছি …
২/ জালালের গল্পঃ ঐ
৩/ চাকাঃ https://www.youtube.com/watch?v=SAg0Ao97ZkE
৪/ Purahanda Kaluwara (Death on a Full Moon Day): https://www.youtube.com/watch?v=K10FkjKakgQ