Select Page

অনুমতিপত্র ছাড়াই কি অনুদানে আবেদন করেন অমিতাভ?

অনুমতিপত্র ছাড়াই কি অনুদানে আবেদন করেন অমিতাভ?

অনুদানের প্রথম কিস্তি পাওয়ার পরও ‘পেন্সিলে আঁকা পরী’ থেকে সরে এসেছেন অমিতাভ রেজা। মূলত হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের ‘অপ্রত্যাশিত রয়্যালিটি ভ্যালু ও রেভিনিউ শেয়ার’-এর দাবির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারেননি তিনি।

এখন অনেকেই অনুমান থেকে বলছেন, তাহলে কি অনুমতিপত্র ছাড়াই অনুদানের জন্য আবেদন করেছিলেন ‘আয়নাবাজি’ নির্মাতা? আর অনুদান কমিটি কীভাবে দরকারি কাগজপত্র ছাড়াই অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে?

তারা অমিতাভকে এই বলে বিদ্ধ করতে চান যে, অমিতাভ অনুমতি ছাড়াই আবেদন করেছেন। কিন্তু অনুমতি ও রয়্যালিটির বিষয়টি যে আলাদা সময়ে আলোচনা হতে পারে, তা তারা হিসেবে রাখছেন না।

বাংলা মুভি ডেটাবেজকে একটি সূত্র জানায়, হুমায়ূন পরিবারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করেন অমিতাভ রেজা। এরপরই শর্ত জুড়ে দেন লেখকের সৃজনশীল কাজের সুবিধাভোগীরা। বিশেষ করে, তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়, যারা এ আলোচনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

একই বিষয়ে নিউজ বাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন অমিতাভ। তিনি বলেন, ‘পেন্সিলে আঁকা পরী উপন্যাস থেকে সিনেমা নির্মাণের লিখিত অনুমতি নিলেও সে সময় আমাদের কপিরাইট ভ্যালুর বাজেটিংটা করা হয়নি। এটা ভুল হয়েছে বলতে পারেন। সেসময়ই এটা নিয়ে কথা বলা উচিৎ ছিল।’

এ ছাড়া অনুমতি ছাড়া পাণ্ডুলিপি জমা দেওয়ার মতো কোনো সুবিধা নেননি। অনুদানের প্রস্তাব জমা দেয়ার শর্তের ৯ (খ) ধারায় বলা আছে- ‘দেশি গল্প/কাহিনির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট লেখক/সংস্থা/প্রকাশকের লিখিত সম্মতি/অনুমতি নিতে হবে। বিদেশি গল্প বা কাহিনির ক্ষেত্রে কপিরাইট আইনের আওতায় সংশ্লিষ্ট লেখক/সংস্থা/প্রকাশকের অনুমতি নিতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র দাখিল করতে হবে।’

এ বিষয়ে অমিতাভ বলেন, ‘লিখিত অনুমতি নিয়েই আমরা অনুদানের জন্য আবেদন করেছি।’

তবে সে সময় উপন্যাসটির কপিরাইট ভ্যালু নির্ধারণ করা হয়নি বলে জানান অমিতাভ।

তিনি আরও বলেন, ‘আর অনুদান কমিটি কি এটা জানবে না যে, আমি একটি অ্যাডাপটেড চিত্রনাট্য জমা দিয়েছি এবং আমাকে অনুদান দিতে গেলে তার লিখিত অনুমতি লাগবে? এটা তো খুব স্বাভাবিক। আর সেই লিখিত অনুমতি ছিল বলেই আমাকে অনুদান দেয়া হয়েছিল।’


Leave a reply