অনুষ্ঠিত হলো ইটিভি-সিজেএফবি পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ডের ২৩তম আসর
জাতীয় গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন সাংবাদিকদের সংগঠন কালচারাল জার্নালিস্টস ফোরাম অব বাংলাদেশ (সিজেএফবি) এর ২৩তম পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে শনিবার। অনুষ্ঠানটির টাইটেল স্পন্সর হিসেবে যুক্ত ছিল একুশে টেলিভিশন। জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে রাজধানীর শেরাটন হোটেলে দেশের সঙ্গীত, চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ও ওটিটি মাধ্যমে ২০২৩ সালে প্রকাশিত কনটেন্টের বিভিন্ন বিভাগে সেরা পারফর্মারদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আজীবন সম্মাননা তুলে দেয়া হয় খ্যাতিমান সাংবাদিক ও সঞ্চালক শফিক রেহমানের হাতে। তুলে দেন নির্মাতা ও উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এরপর সঙ্গীত, সাংবাদিকতা, বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্র শিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য সিজেএফবি বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন যথাক্রমে ব্ল্যাক ডায়মন্ডখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী বেবী নাজনীন, যমুনা টিভির সিইও ফাহিম আহমেদ, বিজ্ঞাপন শিল্পের পুরোধা মোহাম্মদ হানিফ এবং অভিনয়শিল্পী জয়া আহসান। এসময় মঞ্চে ছিলেন সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা তামিম হাসান, সভাপতি এনাম সরকার, সাধারণ সম্পাদক এম এস রানা এবং একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম।
এরপর দিলারা হানিফ পূর্ণিমা ও এফ এস নাঈমের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় ২০২৩ সালে প্রকাশিত সংগীত, চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন মিডিয়ার বছর সেরা পারফর্মারদের হাতে ক্রেস্ট, মেডেল ও সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়। এর ফাঁকে চলতে থাকে শীর্ষ তারকাদের অংশগ্রহণে চোখ ধাঁধানো সব স্টেজ পারফরম্যান্স।
সিজেএফবি’র ২৩তম আসরের বিভিন্ন শাখায় পুরস্কার বিজয়ী ও মনোনীতরা হলেন:
সঙ্গীত
সেরা গায়ক
রিয়াদ – “ঈশ্বর”
তানজীব সারোয়ার – “গাঁ ছুঁয়ে বলো”
হাবিব – “হাওয়া বদলায়”
সেরা গায়িকা
ন্যান্সি – “চাঁদের আলোতে নয়”
কোনাল – “সুরমা সুরমা” “
আতিয়া আনিসা – “হোক বারবার”
সেরা সঙ্গীত পরিচালক
প্রিন্স মাহমুদ – “ঈশ্বর“
ইমরান – “মেঘের নৌকা”
হাবিব – “হাওয়া বদলায়”
সেরা গীতিকার
আসিফ ইকবাল – “মেঘের নৌকা”
জাহিদ আকবর – “সুরমা সুরমা”
সোমেশ্বর অলি – “চাঁদের খোপা”
সেরা সঙ্গীতশিল্পী (সমালোচক)
কোনাল – “মেঘের নৌকা“
অবন্তি সিঁথি – “কষ্টের বাহার”
জেফার – “ঝুমকা”
সেরা গীতিকার (সমালোচক)
মাহমুদ মানজুর – “আপনজন”
আনোয়ার হোসেন আদর – “তোমার প্রেমের মত”
সোমেশ্বর অলি – “চাঁদের খোপা”
চলচ্চিত্র
সেরা চলচ্চিত্র
‘প্রিয়তমা‘
‘লিডার আমিই বাংলাদেশ’
‘সুড়ঙ্গ’
সেরা পরিচালক
তপু খান – ‘লিডার আমিই বাংলাদেশ‘
রায়হান রাফী – ‘সুড়ঙ্গ’
হিমেল আশরাফ – ‘প্রিয়তমা’
সেরা অভিনেতা
শাকিব খান – ‘প্রিয়তমা‘
আফরান নিশো – ‘সুড়ঙ্গ’
সিয়াম আহমেদ – ‘অন্তর্জাল’
সেরা অভিনেত্রী
পরীমনি – ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন‘
বিদ্যা সিনহা মিম – ‘অন্তর্জাল’
ববি হক – ‘পাপ: প্রথম চাল’
সেরা অভিনেতা (সমালোচক)
সিয়াম আহমেদ – ‘অপারেশন সুন্দরবন‘
আফরান নিশো – ‘সুড়ঙ্গ’
ফজলুল হক – ‘সাঁতাও’
সেরা অভিনেত্রী (সমালোচক)
নুসরাত ইমরোজ তিশা – ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা‘
তমা মির্জা – ‘সুড়ঙ্গ’
পরীমনি – ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’
টেলিভিশন
সেরা নাটক
‘বিদেশ’ – কাজল আরেফিন অমি
‘কাজলের দিনরাত্রি’ – ভিকি জাহেদ
‘কাছের মানুষ’ – ইমরাউল রাফাত
সেরা পরিচালক
কাজল আরেফিন অমি – ‘কিডনি’
ইমরাউল রাফাত – ‘সেকেন্ড লাভ’
ভিকি জাহেদ – ‘পুনর্জন্ম’
সেরা অভিনেতা
জিয়াউল হক পলাশ – ‘কিডনি’
অপূর্ব – ‘পথে হলো দেরী’
ইয়াশ রোহান – ‘যে প্রেম এসেছিলো’
সেরা অভিনেত্রী
তানজিন তিশা – পুতুলের সংসার
তাসনিয়া ফারিণ – ‘শব্দ প্রেম’
মেহজাবীন চৌধুরী – ‘কাজলের দিনরাত্রি’
সেরা অভিনেতা (সমালোচক)
ফারহান আহমেদ জোভান – ‘প্রবাসীর কান্না’
অপূর্ব – ‘কাছের মানুষ’
মুশফিক আর ফারহান – ‘নীল অপরাজিতা’
সেরা অভিনেত্রী (সমালোচক)
অর্চিতা স্পর্শিয়া – ‘লাল মাংসের ঝোল’
সাফা কবির – ‘পারুল’
সাবিলা নূর – ‘সারপ্রাইজ’
সেরা সম্ভাবনাময় অভিনেতা
সাইদুর রহমান পাভেল – ‘কিডনি’
জাহের আলভী – ‘সুখের সংসার’
শাশ্বত দত্ত – ‘সময় সব জানে’
সেরা সম্ভাবনাময় অভিনেত্রী
পারসা ইভানা – ‘কিডনি’
তানজিম সাইয়ারা তটিনী – ‘পথে হলো দেরী’
সামিরা খান মাহি – ‘রাতের রানী’
ওটিটি
সেরা ওয়েব সিরিজ
‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন‘ ‘
‘মহানগর ২”
‘আমি কী তুমি’
সেরা ওয়েব ফিল্ম
‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি‘
‘বাবা সামওয়ান’স ফলোয়িং মি’
‘বোধ’
সেরা পরিচালক
আশফাক নিপুন – ‘মহানগর ২’
শঙ্খ দাশগুপ্ত – ‘গুটি’
শিহাব শাহীন – ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’
সেরা অভিনেতা
এফ এস নাঈম – ‘মিশন হান্টডাউন’
মাহফুজ আহমেদ – ‘অদৃশ্য’
শ্যামল মাওলা – ‘আমি কী তুমি’
সেরা অভিনেত্রী
তাসনিয়া ফারিণ – ‘নিকষ’
নুসরাত ইমরোজ তিশা – ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ ‘
রুনা খান – ‘আন্তঃনগর’
সেরা অভিনেতা (সমালোচক)
সজল – ‘দ্য সাইলেন্স‘
নাসির উদ্দিন খান – ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’
মোশাররফ করিম – ‘মহানগর ২’
সেরা অভিনেত্রী (সমালোচক)
মেহজাবীন চৌধুরী – ‘আমি কী তুমি’
নুসরাত ইমরোজ তিশা – ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’
মিথিলা – ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’
সিজেএফবি জুরি পুরস্কার
ওটিটিতে সেরা অভিনয় – বাঁধন (‘গুটি’)
সেরা সঙ্গীত পরিচালক – শওকাত
বাংলা ব্যান্ডে সেরা পরিবেশনা – ইকবাল আসিফ জুয়েল
বিদেশে বাংলা সংস্কৃতির প্রচার – ফখরুল ইসলাম স্বপন
নৃত্য পরিচালনা – কবিরুল ইসলাম রতন
টেলিভিশন প্রতিবেদন – শাকিরা আরজু
ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট – স্বপন চৌধুরী (অন্তর শোবিজ)