অস্থিরতা উইকেট পতনের কারণ : ফারুকী
সোমবার ঢাকায় এসেছেন বলিউডের দুই চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব— রমেশ সিপ্পি ও মুকেশ ভাট। তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার তারা তথ্যমন্ত্রণালয়ে বৈঠক করেন। সেখানে বাংলাদেশের কলা-কুশলীরা যৌথ প্রযোজনায় আগ্রহ দেখায়। অন্যদিকে বলিউডের আগ্রহ আমদানি-রফতানি। সভা শেষে জানা যায় দুই দেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে যৌথ টাস্কফোর্স গঠিত হয়েছে।
এ নিয়ে নন্দিত নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন। তা নিচে তুলে ধরা হলো—
টিভি স্ক্রলে দেখাচ্ছে “দুই দেশের চলচ্চিত্র উন্নয়নে যৌথ ভাবে কাজ করতে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ টাস্কফোর্স গঠিত”! কিউরিয়াস মাইন্ড ওয়ান্টস টু নো—
১. উন্নয়নটা কার দরকার? ভারতের না বাংলাদেশের? শিরোনাম দেখে মনে হচ্ছে দুই দেশেরই উন্নয়ন দরকার। ভারতের চলচ্চিত্র উন্নয়নে বাংলাদেশের সাহায্য দরকার এটা একটা নতুন জ্ঞান বটে।
২. আর যদি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র উন্নয়নের দায়িত্ব বলিউড নিয়ে থাকে সেটাও পৃথিবীর ইতিহাসে এক নতুন জ্ঞানই বটে। কখনো শুনি নাই এক দেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়ন আরেক দেশের পক্ষে ঘটানো সম্ভব।
আমি ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতায় পরিপূর্ণ ঈমান আনা একজন মানুষ। আমার বহু কাজের সঙ্গী ভারতের সরকারি প্রতিষ্ঠান এনএফডিসি। ভারতের নিউ ওয়েভের আমি সমর্থক এবং বন্ধু। আমরা নানাভাবেই একে অপরের সঙ্গে জড়িত। এই সম্পর্ক এবং সহযোগিতা সামনে আরো বাড়বে।
কিন্তু যখনই এইসব ছেলে ভোলানো কথা বলা হয় তখনই রাগ ধরে। আরে ভাই ভারতের ছবি বাংলাদেশে ঢোকাতে চান, সেটাতে সমস্যা তো নাই। আগে আমাদের জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালাটা হতে দেন। সেখানে নীতি ঠিক হোক কত শতাংশ আমদানি করা যাবে, স্থানীয় ছবি কত শতাংশ দেখাতে হবে, বিদেশী ছবির উপর কর কত শতাংশ হবে। কিছুদিন আগে আমরা অনেকেই নীতিমালার উপর মতামত দিয়ে এসেছিলাম। সেগুলো কি হলো এখনও জানি না। তো সেই নীতিমালা ঠিক হলে তো আর এইসব টাস্কফোর্স লাগছে না।
ভারতের বন্ধুদের বোঝার সময় এসেছে এই বিষয়টা যারা ডিল করছে, তারা চরম অপরিপক্কতা ও অস্থিরতার পরিচয় দিচ্ছে। এটা বাংলাদেশের তো নয়ই, ভারতেরও উপকার করবে না।
মনে রাখা প্রয়োজন, অস্থিরতা উইকেট পতনের কারণ।