আবারও গান চুরি!
ভারতীয় গানের সুর নকলের অভিযোগ অনেক পুরাতন, দেশী গীতিকার-শিল্পীদের গান চুরির অভিযোগও পাওয়া যায় কখনো। সেন্সরবোর্ডে আটকে থাকা চলচ্চিত্র দি ডিরেক্টর এর পরিচালক কামরুজ্জামান কামু এবার গান চুরির অভিযোগ করেছেন শওকত আলী ইমন এবং গীতিকার কবির বকুলের বিরুদ্ধে। ফেসবুকে প্রকাশিত এক স্ট্যাটাসে তিনি এ অভিযোগ করেন।
কামু লিখেন, ‘শওকত আলী ইমন হইতে সাবধান! ইহা একটি নিম্নমানের চোর। অরূপ রাহী একদিন স্টেডিয়াম থেকে ছায়াছবির গানের একটা ডিভিডি কিনে আনলেন। শুনে আমি থ। অনেকদিন আগে আমি শওকতকে কয়েকটা গান দিছিলাম সালমার অ্যালবাম-এর জন্যে। একটা গান ছিল, ‘সুতা পরানে বান্ধিয়া…’। ডিভিডিতে দেখলাম, সেই গানের মুখ ঠিক রাইখা ভিতরে ফুংফাং কথা দিয়া একই সুরে একটা গান বানানো হইছে। গীতিকার কবির বকুল, সুরকার নাকি শওকত আলী ইমন! এরে এখন কী করা উচিৎ?’
কামু’র এই অভিযোগের জবাবে শওকত আলী ইমন বাংলামেইলকে জানিয়েছেন, ‘প্রায় ৮ বছর আগে কামুর বাসায় বসে আমি গানটির সুর করেছিলাম। মূলত সালমার জন্যে গানটির সুর করা হয়েছিল। তখন প্রযোজকও কামুকে তার পাওনা বুঝিয়ে দিয়েছেন। তারপর সেই গানটি একটি ছবিতে ব্যবহার করা হয়। চলচ্চিত্রে এভাবে গান ব্যবহারে রেওয়াজ দীর্ঘদিনের। এ ক্ষেত্রে আমার দোষ কোথায়। আমি তো শুধু সুর করেছি। কেন গানটিতে গীতিকার হিসেবে কামুর নাম ব্যবহার করা হলো না, তা পরিচালক কিংবা প্রযোজক ভালো বলতে পারবেন।’
একই বিষয়ে কবির বকুল জানিয়েছেন, ‘চলচ্চিত্রে আমি ফরমায়েশি গীতিকার হিসেবে কাজ করি। এ ক্ষেত্রে দেখা যায় ছবির প্রযোজক বা পরিচালক একটি গান নিয়ে এসে বলেন, ভাই গানটা আমার ছবির সিক্যুয়েন্সের সঙ্গে মিলিয়ে করে দেন। আমিও সেই কাজটি করে দেই। তিনি আরো বলেন, ‘চলচ্চিত্রে কারো গান ব্যবহার করলে অবশ্যই তার নামটি উল্লেখ করা উচিত। এ ক্ষেত্রে আমি কামুকে সমর্থন করি। তবে অডিও অ্যালবামে তার নাম না থাকার কারণ আমার জানা নেই। এটা অডিও প্রতিষ্ঠানটি ভালো বলতে পারবে।’
এদিকে কামু তার দ্বিতীয় স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন গান চুরি নিয়ে তিনি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।