আমদানি ও দেশীয় সিনেমা বৃদ্ধির দাবিতে ১২ এপ্রিল থেকে সব সিনেমা হল বন্ধ
বিদেশি ছবি আমদানি করার ক্ষেত্রে সহজ নীতিমালা ও দেশীয় ছবি নির্মাণ বাড়ানোর বিষয়ে সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও উদ্যোগ না নিলে আগামী ১২ এপ্রিল থেকে দেশের সব প্রেক্ষাগৃহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি।
আজ বুধবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলন এ সিদ্ধান্ত নেন প্রদর্শক সমিতির নেতারা।
সম্মেলনে বক্তারা জানান, দায়িত্বশীলদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকের পরও সুনির্দিষ্ট সিনেমা হলগুলোকে বাঁচানোর, দেশের ছবির উৎপাদন বাড়ানোর এবং উপমহাদেশের ছবি আমদানির বাঁধাগুলো অপসারণে কোনো কার্যকর পথ নির্দেশ দেয়নি। তাই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে সিনেমা হলের সংখ্যা ১ হাজার ২৩৫ থেমে ১৭৪-এ নেমে এসেছে। দেশের ছবি নির্মাণের সংখ্যা বছরে ৩৫ থেকে ৪০-এ এসে ঠেকেছে। ছবি আমদানি করা হলে পরিচালক-শিল্পীদের রোজগার কমে যাবে এমন অজুহাত দেওয়া হচ্ছে।
সিনেমা হলের সঙ্গে জড়িত ৫০ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে আছে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে হল ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল। চলচ্চিত্রের বাজার নষ্ট হচ্ছে। নতুন বিনিয়োগ ও মেধা সম্পন্ন নির্মাতা আসছে না।
সিনেমা হলগুলো লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে। যখন থেকে ছবি আমদানি করা হচ্ছে তখন থেকে প্রদর্শক সমিতিকে আশ্বাস দেয়া হচ্ছে, ভালো নির্মাতা আসছেন, দেশের চলচ্চিত্র ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু তা হয়নি।
প্রদর্শক সমিতি এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আগামী ১২ এপ্রিল থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার আমলে নেওয়ার আগ পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদিপ্ত কুমার দাস, মিয়া আলাউদ্দিন, সভাপতি ইফতেখার নওশাদসহ অনেকেই।