Select Page

আমি সাধু সন্যাস, রচি কাঁথা উপন্যাস।

আমি সাধু সন্যাস, রচি কাঁথা উপন্যাস।

ইদানিং বলিউড হলিউডের সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে আমাদের ঢালিউডের নায়িকারাও তাদের নাদুশ-নুদুশ শরীরটা ও কূপতুল্য নাভীটা দেখিয়ে বেড়ানোকে তাদের ক্যারিয়ার প্রমোটের মাধ্যম মনে করে।

আর আমাদের কিছু পরিচালক আছেন যারা নায়িকাদের অগোচরে বা তাদের সায়ে শরীরকে ক্যামেরাবদ্ধ করে।
শুধু কি তাই??

ফেইসবুক গ্রুপগুলো এবং ওয়েবসাইটগুলোর অবস্থা এমন, যদি কেউ এসব লুল মার্কা অশ্লিলতার বিরুদ্ধে লেখে… কিছু লুলা পাবলিকের বক্তব্য এমন থাকে ” এহ কাঁথার নিচে বইসা ঠিকই দেহে, আর এইখানে সাধুগিরী দেহায়”

কথা হলো আজ পর্যন্ত বাংলার কোনো মুভি কি এসব নোংড়া অশ্লিলতার জোরে হিটের খেতাব পেয়েছে?? বরংচ ঢালিউডের কিছু বছরকে কলঙ্কিত আখ্যা দেওয়া হয় এই অশ্লিলতার কারণে।
শত শত হল বন্ধ হয়েছে এই অশ্লিলতার কারণে।
তাহলে কেনো আবার অশ্লিলতা??

কিছু লুলা পাবলিকদের যুক্তি… পৃথিবীর সব ইন্ডাস্ট্রী যখন আধুনিকায়নে/ফ্যাশন চেতনায় পরিপূর্ণ সেখানে আমরা কেনো পিছিয়ে থাকবো??
দেখুন…..

পৃথিবীর সব ইন্ডাস্ট্রীর ক্ষেত্রে উক্ত ইন্ডাস্ট্রী প্রধান দেশের সংস্কৃতি, সামাজিক অবস্থার বড় ভুমিকা থাকে অর্থাৎ উক্ত দেশের সামাজিক অবস্থার যতো অবক্ষয় হবে তাদের ইন্ডাস্ট্রীর সিনেমার অবস্থা সে অনুযায়ীই অবক্ষয়ের দিকে এগুবে।
আজ হলিউড প্রধাণ দেশগুলোর অবস্থা কি??

সবচেয়ে ঘৃণিত অবস্থা এতোটুকুই তারা ফ্রী সেক্সে বিশ্বাসী। তাহলে তাদের সিনেমা তো সেরকমই হবে তাইনা??
বলিউড/টলিউড প্রধান দেশকে বলা হয় পর্নগ্রাফির সবচেয়ে বড় বাজার… সেখানেই অবস্থিত ধর্ষনের শহর। সে দেশেই জন্ম দিয়েছে সবচেয়ে বড় পর্ন তারকাকে।

তাহলে??

তাহলে তাদের সিনেমা তো সেরকমই হবে… সেক্সহীন, কিসহীন,অশ্ললতাহীন, মুভি কল্পনা করাও কষ্টকর, এমনকি তারা এনালগ কাহিনী সম্মলীত মুভিতেও কিসকে প্রাধান্য দেয়।

ঐ দেশের মানুষগুলো তা মেনে নিতে পারে কারণ তাদের সামাজিক অবস্থা সেরকম পরিস্থিতি তৈরী করে দিয়েছে।

কিন্তু এই বাংলাদেশ?? এই আমার দেশের সামাজিক অবস্থা তো এরকম যে….
তারা সিনেমা হলের পাশে বাসা ভাড়া করতে চায়না।
তারা পরিবার মিলে একটা রোমান্টিক দৃশ্য দেখতে গেলেও উশখুশ করে।
তারা রাস্তা দিয়ে হাটার সময় সিনেমা হলের দিকে সরাসরি তাকাতে লজ্জাবোধ করে।
তারা নিজে মুভি দেখলেও কখনই চায়না যে আমার ছোটো ভাইটা হলে গিয়ে মুভি দেখুক।
নিজেরা মুভি দেখে পরিবারকে না জানিয়ে বা তাদের থেকে লুকিয়ে।

ঐসব পাবলিক যাদের মুখে কাঁথা সমাচার শোনা যায়, বুকে হাত রেখে বলুক তারা তাদের ছোট্ট ভাইকে হলে যাওয়ার ক্ষেত্রে দিধাহীন সম্মতি দেবে কিনা?

কাঁথার নিচে দেখাটা বৈক্তিক অবক্ষয়….

তুমি কাঁথার নিচে বসে দেখলে সেটা তোমার ব্যাপার কিন্তু একটা মুভিতে অশ্লিলতা মানে সামাজিক অবক্ষয়ের দিকে আগানো।
তুমি নিজে খারাপ হও বা আমি নিজে খারাপ হই কিন্তু অপরজনকে খারাপে টানার ঘৃণ্যতা কোথা থেকে আসে???

তুমি নিজে কাঁথার নিচে দেখো ভালো কথা তাই বলে পরিবার নিয়ে দেখার একটা ফিল্মে তুমি অশ্লিলতা ঢুকাইতে সাপোর্ট করবা???

তুমি বাপের বেটা হইলে তোমার কাঁথার নিচের ভিডিওটা তোমার পরিবার নিয়ে দেখো।
তারপর এটাকে সাপোর্ট করো।

আজ পর্যন্ত অশ্লিলতার জোরে কোনো মুভি হিট হয়নি হবেও না, বিগত দিনের মতো এদেশের মানুষ তা পরিহার করবেই।
তুমি যতই নিজের আধুনিকতা দেখাও তোমার পরিবার এখনও ততোটা আধুনিক হয়নি।
যেদিন তোমার মতো আধুনিক তোমার পরিবার হবে সেদিন এদেশে আশ্লিলতা হিট হবে।

যেসব নায়িকারা শরীর দেখানোতে ব্যাস্ত তারা হয়তো কিছু মানুষের রিপুর তৃপ্ততার উপকরণ হবে।
কখনই তারা গ্রহণযোগ্যতা পাবেনা।
যেসব পরিচলকরা এটাকে পূজি ভাবে তারা সবসময়ই অশ্লীল বলে পরিচিতি পাবে।

ঢালিউড হোক অশ্লিলতা মুক্ত এই কামনায়।
আলবিদা।


Leave a reply