Select Page

আরিফিন শুভ ফ্যাক্ট – ২

আরিফিন শুভ ফ্যাক্ট – ২

আরেফিন শুভ ফ্যাক্ট  Arefin Shuvo Fact

একজন মানুষের জীবনে সবচেয়ে অাকর্ষণীয় সময় কোনটি?
– তারুণ্য
একজন মানুষের বৃদ্ধকালে তার সবচেয়ে মিস করা সময় কোনটি?
– তারুণ্য
নজরুলের ‘যৌবনের গান’ প্রবন্ধটি অনেকেরই পড়া অাছে জানি। এ প্রবন্ধে তারুণ্যকে জাতির সবচেয়ে বড় শক্তি বলা হয়েছে। সুকান্ত যেমন বলেছেন-‘এদেশের বুকে অাঠারো অাসুক নেমে। ‘ভাবছেন অারিফিন শুভকে ‘অাঠারো বছর বয়সী’ ভেবে ফেললাম! অারে না, বলছি প্রসঙ্গ ধরে।তারুণ্যের প্রসঙ্গে। যে তারুণ্যটা নজরুল, সুকান্তরা বলেছিলেন কাব্যে তাঁদের কথার মধ্যে প্রাণশক্তির অাভাস অাছে। ঐ প্রাণশক্তি একটা বড় সময় পরে দেখা গেলে মানুষ নতুন করে অাশাবাদী হয়। সে অাশাটা নতুন কোনো স্বপ্ন দেখায়।স্বপ্নের সে জায়গাটা নানা ক্ষেত্রে হতে পারে। সিনেমার যে বর্তমান ক্ষেত্র অাছে সেখানে অারিফিন শুভ একটা নতুন স্বপ্ন।

ভেঙে বলা দরকার কেমন সে স্বপ্নের, অাশার রূপ। অারিফিন শুভর অাগমন এমন সময় হয়েছে যখন একটা স্টেরিওটাইপ সময় বয়ে যাচ্ছিল। একই স্টাইল, একই জুটি, একই মুখের বারবার অাগমন এসব দর্শককে বোর করে দিচ্ছিল। সেখানে একটা মেজর পিরিয়ডে শাকিব খানের সিনেমা অপু বিশ্বাসের সাথে সারভাইভ করতে করতে টাইপড বৈশিষ্ট্য ধরা পড়ে। এরপর ডিজিটাল সময়কে কেন্দ্র করে আরো যাদের আগমন ঘটেছে তাদের মধ্যেও নানা স্টেরিওটাইপ বৈশিষ্ট্য দেখা গেছে, দেখা যাচ্ছে। শাকিব খানের ঘাড় বাঁকা করে হাঁটা, ভালো সিনেমা করে দর্শকের অাস্থা এনে মাঝখান থেকে অাবারও খারাপ সিনেমার সিলেকশন এগুলো দর্শকের মধ্যে বারবার মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। প্রতিভার অপব্যবহারটা দর্শক যার কাছে অাশা করে না তার কাছেই যখন বারবার সেটা পায় অবস্থাটা স্বাভাবিক থাকে না। দর্শককে মেজাজ খারাপের মতো বাড়তি টেনশনে রাখে। পাশাপাশি বাপ্পির মতো চাইল্ডিশ ভয়েস ও ইমম্যাচিউর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যও দর্শককে বিরক্তির মাত্রায় নিয়ে যায়। কেউ কেউ অাবার নায়ককেন্দ্রিক বৈশিষ্ট্যের কিছু না থেকেও নায়ক হয়ে ‘নায়ক’ এর অবমাননা করে তারাও ইন্ডাস্ট্রিতে দাপুটে স্বভাবে অবস্থান করে। দর্শক সব সহ্য করে।

আরও পড়ুন: আরিফিন শুভ ফ্যাক্ট

এসব টেম্পার লুজিং এর পর্যায় দর্শক কাটিয়ে তোলার যে নতুন পথটা খুঁজেছিল তার একটা উপাদানের নাম অারিফিন শুভ। তার দাঁড়ানো, তার হাত দুটো নায়িকার উদ্দেশে বাড়িয়ে দেয়া, তার হাসি বা কিউটনেস, তার ব্যক্তিত্বপূর্ণ দৌড় বা বডি মুভমেন্ট এসব একে একে ‘স্বপ্নেই ভেসে গেলে’, ‘অালতো ছোঁয়াতে’ হয়ে আজকের ‘প্রেমী ও প্রেমী‘ পর্যন্ত ঠেকেছে। অারিফিন শুভর এক্সপ্রেশন বা অভিনয়ের জায়গাটাতে একটা সূত্র প্রধান সেটা তার সচেতনতা। তার পরের কাজটা অাগের থেকে ভালো হয়। তার মানে অাগেরগুলো ভালো ছিল না তা নয়। অাগেরগুলোর থেকে ভালো করার চেষ্টা তার মধ্যে প্রবল। ভালোর তো শেষ নেই তারই মধ্যে একটা ভালোকে অারিফিন শুভ দেখাতে চায় তার দর্শকদের। তারুণ্যের প্রাণটা তার মধ্যে মেলে।আজকের ‘প্রেমী ও প্রেমী’ সিনেমার টাইটেল সংটা সেটাই মিন করে। অারিফিন শুভ এ ধারাটা অব্যাহত রাখতে ‘ভালো থেকো, মৃত্যুপুরী‘ এগুলোতেও সচেতন থাকবে সেটা তার দর্শকরা অাশা করে অার সেও জানে তার দর্শক সেন্টিমেন্ট।

দর্শক ভালো, অাধুনিক বা দিন বদলের তারকাকে সবচেয়ে বেশি গ্রহণ করে তাদের চাহিদামতে। অারেফিন শুভ ঐ জায়গাটাতে অাছে। সেটা এখন অালাদা ফ্যাক্টর সামনের দিনগুলোর জন্য।দর্শক সবসময় গ্রেট জায়গায় থাকে, দর্শকের চাহিদাই গ্রেট বানায় দর্শককে।অারেফিন শুভ অাগামী দিনগুলোতে দর্শককে ঐ গ্রেটনেস দিক। এ ফ্যাক্টর-টা চ্যালেন্জিং। চ্যালেন্জ নিতে শিখুক ছেলেটা। শিখুক।


Leave a reply