
আরো ভালো হওয়া দরকার ছিল ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন ২’
‘সিন্ডিকেট’-এর পর ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ স্পিনঅফ অনেকটাই সারপ্রাইজিং ছিল, গল্পের মোড় অনুযায়ী সিজন টু ছিল এক্সপেক্টেড! ফ্লো ধরে রেখে শিহাব শাহীন এগিয়েছেন, চেষ্টাও খারাপ ছিল না। তবে সিজন টু’র স্টোরিলাইন ক্রাইটেরিয়া ও ফিনিশিং বিল্ড আপ ভাল হয় নাই।

অনেকগুলো জায়গায় বলতে হবে ‘আরো ভালো হওয়া দরকার ছিল’! তবে অনর্থক সিক্যুয়াল করে অনেকে মেজাজ খারাপ করে দেয়, এক্ষেত্রে সেটা হয় নাই। গল্পের এক্সটেনশন যৌক্তিক ছিল তবে ওয়েল ম্যানেজড না। একটা তাড়া ছিল বোঝা যায়, হতে পারে সেটা ‘দাগি’তে সময় দেয়ার জন্য।
প্রথম সিজনের শেষটা মর্মান্তিক ছিল, অ্যালেন স্বপনের ছেলেকে মেরে ফেলে বদু। ৪০০ কোটি টাকা নিজের করে যমজ ভাই শামসুর রহমানের বেশে নিজের আইডেন্টিটি হাইড করে স্বপন। সেখান থেকেই শুরু।
যাদুকে সমাহিত করতে গেলে স্বভাবতই স্ত্রী সন্দেহ করে তাকে। ভাইয়ের বউ শায়লা আড়ালে জানিয়েও দেয় স্বপনের শয়তানির কথা। স্বপন এসবে পাত্তা না দিয়ে পথের কাঁটা সরাতে থাকে আর ৪০০ কোটি কালো টাকা সাদা করার রাস্তা খুঁজতে থাকে। একদিন গ্যাংয়ের আরেক ব্ল্যাকমেইলার অ্যালেনের টাকার ট্রান্সজেকশন করতে গিয়ে দেখা পায় নতুন ‘বৈয়াম পাখি’র।
নাসির উদ্দিন খান এবারও দুর্দান্ত, অনেক ইনজয় করেছি তার ক্যারেক্টার। তবে আবারও অবাক করেছে রাফিয়াত রশীদ মিথিলা। এই শায়লা ক্যারেক্টারটা মিথিলা দারুণভাবে ক্যারি করলো শেষপর্যন্ত। এর বাইরে সুমন আনোয়ার, অর্ণব ত্রিপুরা ‘রাফ’ অ্যাক্টিংয়ে এক্সাইটমেন্ট ধরে রেখেছে। হতাশ করেছে গানের মানুষ জেফার। সে হয়তো মোস্তফা সরকার ফারুকীর প্রজেক্টটার (লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামি) জন্য ঠিক ছিল কিন্তু এখানে অনেক জায়গায় ফল করেছে। পাকা অভিনেত্রী কাউকে নিলে জমে যেতো স্বপনের সাথে তার জায়গাটা।
স্বপন ও দিশার প্লেসমেন্ট খুব কম ও প্রাগমেটিক। এখনো ‘বস’ আধারেই রয়ে গেছে, থার্ড সিজনও আসতে পারে।
খৈয়াম সানু সন্ধির মিউজিক ভালো হয়, এবারও হইছে। খুব এক্সপেরিমেন্টাল কিছু কানে আসে নাই ঠিকঠাক। কামরুল ইসলাম শুভর ক্যামেরার কাজ দারুণ। আগের সিজনে কিছু শুট করা ছিল, সেসব দিয়ে কিছু ক্যারেক্টার অফ করা হয়েছে। এর বাইরে অনেক প্রশ্ন উত্তরবিহীন রেখে শেষ করা হয়েছে। ওয়ান টাইপ বিঞ্জিংয়ের জন্য খারাপ না।
রেটিং: ৬.৫/১০