আর্থিক জটিলতায় ‘স্বপ্নজাল’র দীর্ঘসূত্রিতা
‘মনপুরা’র মতো অলটাইম ব্লকবাস্টার উপহার দিয়েও সিনেমা নির্মাণে দীর্ঘ বিরতি নেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম। অর্ধযুগ পর ‘স্বপ্নজাল’ নিয়ে ফিরেন সিনে দুনিয়ায়। আর্থিক জটিলতায় এক বছর ধরে ধাপে ধাপে সিনেমাটি নির্মাণ করতে হয় সেলিমের।
২০১৬ সালে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় ‘স্বপ্নজাল’র। অক্টোবরের শেষে গোটা ইউনিট যায় কলকাতায়। টানা ১২ দিন শুটিং হয় সেখানে। কলকাতার বেশ কয়েকটি স্পটে ক্যামেরাবন্দি হয় ছবিটির গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্য। ওইখানকার স্থানীয় বেশ কয়েকজন অভিনেতা-অভিনেত্রীও অংশ নেন। ৭ জানুয়ারি চাঁদপুরে শুরু হয় শেষ লটের শুটিং।
এ প্রসঙ্গে ইত্তেফাককে গিয়াসউদ্দিন সেলিম বলেন, ‘মাঝে কিছু আর্থিক জটিলতার কারণেই বন্ধ ছিল। তবে এখন শুটিং-এর কাজ শেষ। বাকি কিছু মিউজিক আর ডাবিং। আমি নির্মাতা হিসেবে তো আশাবাদী থাকবোই আমার ‘স্বপ্নজাল’ নিয়ে। তাই আশা করছি আমার দর্শকরাও হতাশ হবেন না। চাঁদপুর ও কলকাতায় শুটিং চলাকালীন সেখানকার মানুষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই।’
তিনি আরো বলেন, ‘বছরের শেষদিকে রিলিজ দেওয়ার প্ল্যান করছি। এর ভেতরে দেশে গ্রীষ্ম-বর্ষা সবকিছু হয়ে যাক, তারপরই না হয় স্বপ্নজাল শুরু করি।’
সিনেমাটির প্রধান চরিত্রে আছেন পরী মনি। তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন নবাগত ইয়াশ রোহান।