ইয়েতি অভিযান : জাজ বলছে ভারতীয় ছবি, সৃজিতের দাবি যৌথ
দেব অভিনীত ও প্রযোজিত ‘ককপিট’কে যৌথ প্রযোজনা দাবি করেও দ্রুত ইউটার্ন করে জাজ মাল্টিমিডিয়া। এবার অনেকটা দেরি করেই জানালো সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত ‘ইয়েতি অভিযান’ যৌথ প্রযোজনা নয়। কেন?
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কাকাবাবু সিরিজের তৃতীয় বই পাহাড়চূড়ায় আতঙ্ক অবলম্বনে ‘ইয়েতি অভিযান’ হবে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায়—এমন খবরই শোনা গিয়েছিল। এতে ভারতের প্রসেনজিৎ, যিশু সেনগুপ্তের সঙ্গে থাকবেন বাংলাদেশের ফেরদৌস ও বিদ্যা সিনহা মিম। প্রথম আলো এক প্রতিবেদনে দেখায় এ নিয়ে পরস্পরবিরোধী তথ্য দিচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতীয় পক্ষ।
আগস্টে ভারতীয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্কটেশ ফিল্মস ছবির ট্রেলার প্রকাশ করে। ট্রেলারটি বাংলাদেশে অনেক আলোচনার জন্ম দেয়। যৌথ প্রযোজনার ছবির ট্রেলার, অথচ সেখানে বাংলাদেশের ফেরদৌস, মিমকে একেবারেই দেখা গেল না! এমনকি নেই বাংলাদেশের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির নামও।
এ নিয়ে জাজ মাল্টিমিডিয়ার চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ বললেন, ‘ইয়েতি অভিযান’-এর সঙ্গে তিনি আর নেই। জাজ মাল্টিমিডিয়া ছবিটি থেকে তাদের বিনিয়োগ সরিয়ে নিয়েছে।
তিনি বলেন বলেন, ‘মাস দুই আগেই আমরা ইয়েতি অভিযান থেকে বিনিয়োগ উঠিয়ে নিয়েছি।’ ট্রেলারে বাংলাদেশি শিল্পীদের না থাকার এই তবে কারণ? এই প্রযোজক বললেন, ‘হতে পারে। এখন তো আর ছবিটি যৌথ প্রযোজনার নয়। তাই হয়তো তারা তাদের মতো করে ট্রেলার বানিয়েছেন।’
চুক্তি থেকে সরে আসার কারণ হিসেবে দেখান— ‘এই ছবির যে গল্প, তাতে বাংলাদেশে শুটিং করার সুযোগ নেই। যৌথ প্রযোজনার নীতিমালা রক্ষা করতে আট দিনের শুটিং করার চেষ্টা করেছিলাম বাংলাদেশে। বড় একটি সেটে বরফের পাহাড় তৈরি করতে হবে। কিন্তু জায়গা পাইনি। তাই যৌথ প্রযোজনার ঝামেলা এড়াতে সরে এসেছি।’
তবে নির্মাতা সৃজিত বলেন, ‘হয়তো জাজ ছবিটির সঙ্গে আছে। যেহেতু যৌথ প্রযোজনার নীতিমালার ঝামেলার ব্যাপার আছে ওখানে, তাই বিষয়টি হয়তো গোপন রাখতে হচ্ছে তাদের। খোলামেলাভাবে ছবিটিতে যৌথ প্রযোজনা নেই, তাই এখন শুধু ভারতেই মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। পরে আমদানি-রপ্তানি নীতিমালার আওতায় বাংলাদেশে মুক্তি পাবে।’
আবদুল আজিজ বলেন, ‘মুক্তি দেওয়ার ইচ্ছা আছে। কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে ছাড়পত্র পেতে এত দীর্ঘ সময় লাগে, তত দিনে কলকাতায় ছবিটি পাইরেসি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।’