ঈদুল আজহায় খোলা থাকবে ২৫০ প্রেক্ষাগৃহ, যদি…
দুই বছর পর সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতরে নতুন ছবি মুক্তি পায় এবার। ধারণা করা হয়েছিল, সব মিলিয়ে শতাধিক প্রেক্ষাগৃহে ছবিগুলো মুক্তি পাবে। অবাক ব্যাপার, ঈদের ছবিগুলো মুক্তি পায় ১৭৩টির বেশি হলো। সঙ্গে পুরনো ছবি চলেছে প্রায় ২৫টি প্রেক্ষাগৃহে।
সেই ধারাবাহিতা থাকতে পারে ঈদুল আজহায়ও। কালের কণ্ঠের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলো ভালো ব্যবসা করায় আবার প্রেক্ষাগৃহ ব্যবসায় নজর দিচ্ছেন মালিকরা।
বাংলাদেশ হল মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি মিয়া আলাউদ্দিন ধারণা করছেন কোরবানির ঈদে সারা দেশে প্রেক্ষাগৃহ দাঁড়াবে ২৫০টির বেশি।
আলাউদ্দিন বলেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্প ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করছে। এখন মুক্তির পাইপলাইনে আছে একাধিক ছবি। জুনেই মুক্তি পাবে ছয়টি বড় ছবি। এই ছবিগুলো ভালো ব্যবসা করবে বলেও আশা করছি। কারণ দর্শক আবার হলে ফিরতে শুরু করেছে। এই ছয়টি ছবির মধ্যে যদি দুটি ছবিও ব্যবসাসফল হয় তাহলে হল মালিকরা আশাবাদী হবেন। তালা লাগানো হলের দরজা আবার খুলে দেবেন তারা। সে ক্ষেত্রে কোরবানির ঈদে সারা দেশে হলের সংখ্যা হবে অন্তত ২৫০টি।’
রোজার ঈদে নতুন করে চালু হয়েছে ঢাকার মধুমিতা হল। মুক্তি পেয়েছে ‘শান’। দর্শকও পেয়েছে। এই প্রেক্ষাগৃহের কর্ণধার ইফতেখার উদ্দীন নওশাদ বলেন, ‘তিন বছর পর আবার মধুমিতা হাউসফুল হয়েছে। এই দৃশ্য দেখতে খুব ভালো লেগেছে। কোরবানির ঈদে বড় বাজেটের আরো কয়েকটি ছবি মুক্তি পাবে। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রেক্ষাগৃহ মালিকদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাঁরা নতুন করে আশার আলো দেখছেন। অনেকে বন্ধ থাকা হলও চালু করতে চাইছেন। এটা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জন্য সুখবর। আমার মনে হয় রোজার ঈদের চেয়ে কোরবানির ঈদে আরো বেশি হল চালু হবে। আর সেটা হলে প্রযোজকদের জন্যও সুবিধা হবে।’
গত এক দশকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একের পর এক প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ হয়েছে। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ছিল ছবির সংকট। এরপর ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনার মহামারির কারণেও বন্ধ ছিল সব প্রেক্ষাগৃহ। লোকসান সামলাতে না পেরে অনেক প্রেক্ষাগৃহের মালিক অন্য ব্যবসায় মনোযোগ দিয়েছেন। এমনকি প্রেক্ষাগৃহকেও কেউ গুদাম ঘর বা আবাসস্থল বানিয়েছেন।