Select Page

ঈদের ছবি

ঈদের ছবি

 

ঈদের ছবি সেকালেও মুক্তি পেত অাজও পায়। একাল-সেকালে তফাতটা বড়।

‘ঈদ মোবারক’ নামে একটা ছবি-ই ছিল জাফর ইকবালের। এ নামটা অনেকের অজানা থাকলেও থাকতে পারে।

এমনও বছর ছিল এক ঈদে ১১ টা পর্যন্ত ছবি মুক্তি পেয়েছিল। দর্শকের কাছে বাছাই করার সুযোগ ছিল অনেক।

১৯৯৩-র ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেয়েছিল সালমান শাহ-মৌসুমীর ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত। ‘নতুন জুটির এ সিনেমা সেবার ঝড় তুলেছিল বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে। সুপারহিট হয়েছিল। ১৯৯৫-র ঈদুল ফিতরে সালমান শাহ-মৌসুমী জুটির ‘দেন মোহর’ সিনেমা মুক্তি পায়। ভিন্ন উপস্থাপনায় রাজা-বাদশাহ সংস্কৃতির পারিবারিক বংশ মর্যাদার গৌরবে দুজন ছেলেমেয়ের প্রেম ও সংসার টিকিয়ে রাখার গল্পে অনবদ্য সিনেমা। ২০০১-এ ঈদে মুক্তি পায় ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ। ‘অাশ্চর্য হলেও সত্যি সেবার অনেক সিনেমার ভিড়ে এ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল এবং হিট হয়েছিল। শাবনূর-রিয়াজের রোমান্স দর্শককে সিনেমা দেখতে বাধ্য করেছিল। শাবানা-জসিম জুটির ‘হিংসা’ ছবিটি ছিল ঈদের ছবি। অসাধারণ ছবি। শাবানা-জসিম এর হিংসার সম্পর্ক, হুমায়ুন ফরীদি-র ‘পাশার ভাষা’ ডায়লগ অার অমিত হাসান-শাহনাজের প্রেম সব মিলিয়ে এনজয় করার জন্য পারফেক্ট ছবি। শাহনাজের লিপে বেবী নাজনীনের পরিচিত ও জনপ্রিয় গান ‘তুমি অামার বাড়ি’ এ ছবির সেরা গান। ‘কাজের বেটি রহিমা’ ছবিতে ঈদের দিন শাবানা তার ছোট দুটি ভাইবোনকে রক্ত বিক্রি করে সে টাকা দিয়ে সেমাই কিনে খাওয়ায়। মানবিক এ দিকগুলো তখনকার ছবিতে ছিল।

আরো কিছু ঈদের ছবি – স্বপ্নের পৃথিবী, গরিবের রাণী, আত্মত্যাগ, সুখের ঘরে দুখের আগুন, সুখের স্বর্গ, রূপসী রাজকন্যা, মিথ্যা অহংকার, শান্তি চাই, আজ গায়ে হলুদ, গোলাগুলি, পৃথিবী তোমার আমার, অগ্নিসাক্ষী, ঘাটের মাঝি, জজ সাহেব, আশা আমার আশা, এ বাঁধন যাবে না ছিঁড়ে, বিদ্রোহ চারিদিকে, গুণ্ডা নাম্বার ওয়ান, ফুল নেবো না অশ্রু নেবো, এই মন চায় যে, কিলার, বাস্তব, কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি, বউ শ্বাশুড়ির যুদ্ধ, যত প্রেম তত জ্বালা, ছোট্ট একটু ভালোবাসা, বাধা, মেহের নেগার, মাথা নষ্ট, ভালোবাসা ভালোবাসা, মনের সাথে যুদ্ধ, কুখ্যাত খুনী, আমি জেল থেকে বলছি, ঢাকাইয়া মাস্তান, রুস্তম, বিপদজনক, শত্রু শত্রু খেলা, স্বপ্নের বাসর, কুসুম কুসুম প্রেম, গুণ্ডার প্রেম, দানব, জীবনের চেয়ে দামি, উল্টাপাল্টা ৬৯, কাবিননামা, কি যাদু করিলা, তোমাকে বউ বানাবো, রঙিন সমাধি, পিতা মাতার আমানত, একবার বলো ভালোবাসি, টাইগার নাম্বার ওয়ান, জান কোরবান, বস নাম্বার ওয়ান, প্রিয়া আমার জান, কিং খান, সে আমার মন কেড়েছে, ঢাকার কিং, খোদার পরে মা, ডন নাম্বার ওয়ান, জিদ্দি মামা, মোস্ট ওয়েলকাম।

তখনকার ছবি বেশিরভাগই ছিল অভিনয়সমৃদ্ধ। দর্শক তৃৃপ্তি নিয়ে বের হত সিনেমাহল থেকে। দল বেঁধে তখন গ্রামের বড়দের সিনেমাহলে যেত। অশ্লীল সময়টা না থাকলে অাজও পরিবেশ তাই থাকত। আজও ঈদের ছবি মুক্তি পায়। ৩৫ মিলিমিটার থেকে আজ ডিজিটালে এসে দু’একটি ছবি বাদে নির্মাণ দেখে দর্শক হতাশ হয়। হতাশার সময় অাজও কাটেনি। সময় লাগবে।

ঈদ মোবারক।


Leave a reply