একুশে পদক পাচ্ছেন মাসুদ আলী খান
অভিনয়ে বিশেষ অবদান রাখার জন্য একুশে পদক পাচ্ছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা মাসুদ আলী খান। এ ছাড়া স্বীকৃতি পাচ্ছেন অভিনেত্রী শিমুল ইউসুফ, সংগীতে মনোরঞ্জন ঘোষাল, গাজী আব্দুল হাকিম, ফজল-এ-খোদা (মরণোত্তর) ও আবৃত্তিতে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়।
গতকাল রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব বাবুল মিয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সেখানে জানানো হয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য দেশের ১৯ জন বিশিষ্ট নাগরিক ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে ২০২৩ সালের একুশে পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
একুশে পদক বাংলাদেশের বেসামরিক নাগরিকদের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেয়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা। মহান ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে ১৯৭৬ সালে প্রথমবারের মতো একুশে পদক দেওয়ার প্রচলন শুরু হয়। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে একটি আঠারো ক্যারেটের স্বর্ণপদক, এককালীন অর্থ ও একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হয়।
কয়েক দশক ধরে নানা মাধ্যমে অভিনয়ে সক্রিয় থাকা মাসুদ আলী খান অনেক দিন ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে। বাড়িতেই কাটে তার সময়।
১৯৩১ সালের ১ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। পরে জগন্নাথ কলেজ ও স্যার সলিমুল্লাহ কলেজে পড়াশোনা করেন।
তিনি ছোটবেলায় ক্লাস টুতে পড়ার সময় স্বরসতী পূজায় ‘রানা প্রতাপ সিং’ নাটকে প্রথম অভিনয় করেন। ১৯৫৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময় তিনি ‘ড্রামা সার্কেল’র সঙ্গে যুক্ত হন। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র সাদেক খান পরিচালিত ‘নদী ও নারী’। সর্বশেষ তিনি প্রয়াত খালিদ মাহমুদ মিঠুর নির্দেশনায় ‘জোনাকীর আলো’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। অন্যান্য ছবির মধ্যে রয়েছে দীপু নাম্বার টু, দুই দুয়ারী, মাটির ময়না ও মোল্লা বাড়ীর বউ। তবে টেলিভিশনে তিনি ছিলেন নিয়মিত মুখ। অজস্র জনপ্রিয় নাটকে চরিত্রাভিনয় করে পেয়েছেন ভালোবাসা। উল্লেখযোগ্য হলো এইসব দিনরাত্রি, কোথাও কেউ নেই, সুখী মানুষ প্রজেক্ট, দিন চলে যায়, মধুর ঝামেলা, গুলশান এভিনিউ, সাদা কালো মন, শাপমোচন, ফিফটি-ফিফটি, পৌষ ফাগুনের পালা, প্যাভিলিয়ন, একান্নবর্তী ও ৬৯।
টিভি নাটক আর্টিস্ট অ্যান্ড প্লে রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশন (টেনাসিনাস) থেকে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন মাসুদ আলী খান।