এগিয়ে ‘শাকিব-ববি’
ঈদে মুক্তি পাচ্ছে চারটি চলচ্চিত্র। এগুলো হল-মালেক আফসারীর ‘ফুল এন্ড ফাইনাল‘, সাফিউদ্দীন সাফির ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী‘, রকিবুল আলম রকিবের ‘প্রেমিক নাম্বার ওয়ান’ এবং শাহ মো. সংগ্রামের ‘কি প্রেম দেখাইলা’।
প্রথম তিনটির মুখ্য অভিনয় শিল্পী হলেন শাকিব খান–ববি, শাকিব খান-জয়া আহসান–শুভ এবং শাকিব খান-অপু বিশ্বাস। চতুর্থ চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন বাপ্পী ও আঁচল।
চলচ্চিত্রপাড়া, বুকিং এজেন্সি, প্রেক্ষাগৃহ মালিক ও দর্শকদের মতে ঈদের চলচ্চিত্রের সাফল্যের দৌড়ে এগিয়ে প্রথম স্থান দখল করে নেবে মালেক আফসারীর ‘ফুল এন্ড ফাইনাল’। আফসারীর চলচ্চিত্র মানেই বিশাল বাজেট, অ্যারেঞ্জম্যান্ট আর দক্ষ নির্মাণ। এছাড়া এই ছবিতে প্রথমবারের মতো শাকিব খান ও ববিকে এক সাথে দেখা যাবে। সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা ‘ফুল এন্ড ফাইনাল’ দেখার পর মন্তব্য করেছেন ‘দীর্ঘদিন শুধু টেলিছবিই দেখে আসছিলাম, অনেকদিন পর মনে হল সত্যিই একটি চলচ্চিত্র দেখলাম।’ এসব কারণে চলচ্চিত্রটির প্রতি প্রেক্ষাগৃহ মালিকদের প্রচণ্ড আগ্রহ দেখা দিয়েছে। তাই এই প্রথম শতাধিক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ‘ফুল এন্ড ফাইনাল’।
নির্মাতা মালেক আফসারী বলেন, আমার চলচ্চিত্র সম্পর্কে সবারই ধারণা আছে। দর্শক যেমনটি চায় ঠিক তেমনি ব্যতিক্রমী গল্প না হলে চলচ্চিত্র নির্মাণ করি না। এবারের গল্পের মূল ম্যাসেজ হলো- প্রেমে পড়ার চেয়ে যুদ্ধে যাওয়া শ্রেয়। কারণ যুদ্ধে গেলে হয় বাঁচব নয়তো মরব, কিন্ত প্রেমের ক্ষেত্রে বাঁচা-মরা অনিশ্চিত। তিনি বলেন, আমি হলিউড, বলিউড কিংবা অন্য কোনো ছবির নকল করি না। দর্শক গ্রহণযোগ্যতার মূল মন্ত্র আমার জানা আছে। এর প্রমাণ এই ঈদের চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে প্রেক্ষাগৃহ মালিকরা আমার চলচ্চিত্রের প্রতি বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে বলে শতাধিক প্রেক্ষাগৃহে ‘ফুল এন্ড ফাইনাল’ মুক্তি পাচ্ছে।
দর্শকদের মাঝে আলোজনায় শীর্ষে এবং হল বুকিংয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে সাফিউদ্দীন সাফির ‘পূর্ণদের্ঘ্য প্রেম কাহিনী’। তাদের মতে এ ছবির মূল আকর্ষণ হলো ছোট পর্দার নায়ক শুভর অভিনয়। কারন বড় পর্দায় তার কাজ দেখতে দর্শক দীর্ঘদিন অপেক্ষায় ছিল। ফলে শহরের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে ভালো চলতে পারে এ চলচ্চিত্রটি। বলা হচ্ছে এ চলচ্চিত্রের নেগেটিভ দিক হলো জয়ার অভিনয়। এতে জয়ার নাচ, লিপসিং এবং এঙ্প্রেশনের দৈন্যতার কারণে গানগুলো নিষ্প্রাণ হয়ে গেছে। পাশাপাশি তার বয়সের ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এর ফলে শাকিব তো বটেই শুভর পাশেও জয়াকে বেমানান লেগেছে। ফলে এ চলচ্চিত্রের সাফল্যের ব্যাপারে এর নির্মাতা ও খোদ জয়া আশাবাদী হলেও চলচ্চিত্রকাররা দেখছেন বিপরীত চিত্র। তাই ভরসা শুধু শাকিব-শুভ। তারা যদি ছবিটিকে টেনে নিতে পারে তাহলে দ্বিতীয় সপ্তাহেও সাফল্য পাবে ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী’।
চলচ্চিত্রকারদের হিসাব অনুযায়ী তৃতীয় অবস্থানে থাকতে পারে বাপ্পী-আঁচলের ‘কি প্রেম দেখাইলা’ চলচ্চিত্রটি। কারণ শাকিব খানের একসঙ্গে তিনটি চলচ্চিত্র মুক্তি পাওয়ায় দর্শক ‘চোখের আরাম’ পেতে এ চলচ্চিত্রটি দেখতে যাবে। একের পর এক শাকিবের তিনটি চলচ্চিত্র দেখার ধৈর্য্য দর্শকের নাও থাকতে পারে। তাছাড়া শাকিবের ‘প্রেমিক নাম্বার ওয়ান’ চলচ্চিত্রটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল বেশ কবছর আগে। তাই ছবিটি মানসম্মত হয়নি।