Select Page

এমআর নাইন: ডু অর ডাই/ শিগগিরই ১০০ কোটি টাকা আয়ের আশা!

এমআর নাইন: ডু অর ডাই/ শিগগিরই ১০০ কোটি টাকা আয়ের আশা!

১০০ কোটি টাকায় নির্মাণের দাবি করে হাসির খোরাক হলেও এত টাকা আয়ের তথ্য দেয়নি বাংলা সিনেমার কোনো প্রযোজক। এবার সেই অর্জনের আশাবাদ নিয়ে এগিয়ে এলো জাজ মাল্টিমিডিয়া। তারা বলছে বাংলাদেশে ও যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লপের খাতায় নাম লেখানো ‘এমআর নাইন: ডু অর ডাই’ নাকি ১০০ কোটি টাকা আয়ের প্রথম বাংলাদেশি সিনেমা হতে যাচ্ছে। সেই সুখবর পেতে অল্প কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

মূলত আসিফ আকবর পরিচালিত ও এবিএম সুমন অভিনীত সিনেমাটির প্রযোজনা বহির্ভূত আন্তর্জাতিক বাজারে মুক্তির আগে এ দাবি করা হচ্ছে। কাজী আনোয়ার হোসেনের মাসুদ রানা সিরিজ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘ডু অর ডাই’। এ সিনেমা নিয়ে অনেক সমালোচনার একটি হলো এতে বাংলাদেশি স্পাই চরিত্রটি যথাযথ গুরুত্ব পায়নি। সম্প্রতি সিনেমাটি উত্তর আমেরিকা ভিডিও অন ডিমান্ড প্লাটফর্মে মুক্তি পেয়ে সাড়া পেয়েছে বলেও দাবি জাজ মাল্টিমিডিয়ার।

যাই হোক, ‘১০০ কোটি টাকার ক্লাবে প্রথম বাংলাদেশী সিনেমা’ দাবি করে’ শিরোনামের এক ফেসবুক পোস্টে আজ ১ মে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি দাবি করছে, ‘এমআর নাইন হতে যাচ্ছে প্রথম বাংলা সিনেমা যা কিনা ১০০ কোটি টাকার ক্লাবের দিকে যাচ্ছে , ইনশাল্লাহ এই গ্রীষ্ম শেষ হওয়ার আগেই এবিএম সুমন হতে যাচ্ছে বাংলার প্রথম নায়ক যার সিনেমা ১০০ কোটি টাকার ঘরে প্রবেশ করতে যাচ্ছে ।”

‘সিনেমাটি ইতিমধ্যে আমেরিকাতে টপ সেলিং মুভির লিস্টে আছে’ উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক বাজারের একটা তালিকা দেয়া হয়েছে।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল ‘ডু অর ডাই’-এর বাংলাদেশে ব্যর্থতার বিষয়টি স্বীকার করে নেয় জাজ।
‘এমআর নাইনের ব্যবসা প্রসঙ্গে’ শিরোনামের পোস্টে লেখা হয়, ‘এটা সত্য এমআর নাইন বাংলাদেশে ভালো ব্যবসা করে নাই । বাংলাদেশের দর্শক এর গল্প পছন্দ হয় নাই । মেকিং-অ্যাকশন সব ভালো লেগেছে, কিন্তু তাদের কাছে মাসুদ রানা বা রাহাত খান এর চরিত্র পছন্দ হয় নাই । আমরাও দর্শকের সাথে এক মত । কিন্তু একটা কথা মনে রাখতে হবে, এটা শুধুমাত্র বাংলাদেশের জন্য বানানো হয় নাই । শুধুমাত্র বাংলাদেশের দর্শকের কাছে মাসুদ রানা একটা পরিচিত নাম, একটা আবেগের নাম । কিন্তু বিশ্ববাসীর কাছে, একটা নতুন চরিত্র । আমেরিকার প্রযোজক এমন ভাবে গল্প সাজিয়েছে যেন সিনেমাটি আমেরিকাতে ব্যবসা করে । অন্য সব দেশে ব্যাবসা করে । বাংলাদেশ এ যদি খুব হিট হয়, তাহলে ২ কোটি টাকা আসবে । ফলে শুধু বাংলাদেশ হিট দিয়ে কিছু হবে না । আমেরিকার প্রযোজককে ভাবতে হয়েছে, কিভাবে মুল টাকা অন্য সব দেশ থেকে উঠে আসবে ।

আর এখানে সফল তারা । ঠিকই তারা টাকা তুলে ফেলেছে । এখন এমআর নাইন লাভে চলে গেছে । চলছে এমআর নাইন: স্কাই ড্যান্সারের শুটিংয়ের প্রস্তুতি।’

এছাড়া একই পোস্টের শুরুতে লেখা হয়, ‘বেশ কিছু দিন যাবত লক্ষ্য করছি, কিছু মানুষ আছে যারা খুব খুশি হয় যদি জাজ বন্ধ হয়ে যায় । কেন ? জাজ বন্ধ হলে তাদের খুশির কি কারণ ? জাজ বন্ধ হলে বছরে ৩-৪টা সিনেমা কম হবে । আবার নতুন নতুন নায়ক নায়িকা আসছে, সেটা বন্ধ হয়ে যাবে । আবার জাজ যে বাংলা সিনেমার বাণিজ্যকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেয়ার চেষ্টা করছে, সেটা হয়তো বন্ধ হয়ে যাবে । ২০১৯ থেকে ৪ বছর জাজ কোন সিনেমা মুক্তি দেয় নাই, ফলে সিনেমা হল ২৮৩ থেকে নেমে ১২৯ এ এসেছে । আবার বন্ধ করে দিলে হয়তো এটা আরও কমে যাবে । একটা কথা মনে রাখতে হবে, সিনেমা হল বাঁচিয়ে রাখে প্রযোজক । তাই জাজ কখনোই চায় না, ছোট হোক বড় হোক কোন প্রযোজক হারিয়ে যাক । ‘

উল্লেখ্য যে, শুরুতে দাবি করা হয়েছিল, ৮৫ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ‘এমআর নাইন: ডু অর ডাই’। পরে পরিচালক আসিফ আকবর জানান, বাজেট অতিক্রম করে গেছে নির্মাণ ব্যয়। এ হিসেবে লাভের মুখ দেখার জন্য ১০০ কোটি টাকা যথেষ্ট নয়। এছাড়া প্রেক্ষাগৃহ বহির্ভূত আয় দিয়ে হিট-ফ্লপ বিবেচনা করা হয় না। তবে বাংলাদেশে এখন যেকোনো দাবিই সম্ভব।


মন্তব্য করুন