Select Page

ওটিটির জন্য নির্মিত ‘৩৬-২৪-৩৬’ মুক্তি পাচ্ছে সিনেমা হলে

ওটিটির জন্য নির্মিত ‘৩৬-২৪-৩৬’ মুক্তি পাচ্ছে সিনেমা হলে

বাংলাদেশে টেলিফিল্ম বা সিরিজকে সিনেমা আকারে মুক্তি নতুন নয়। কিন্তু সেগুলো শুধু নামেই সিনেমা হয়েছে। ব্যতিক্রম হিসেবে চরকি প্রযোজিত ও গিয়াসউদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘গুণিন’-এর নাম নেয়া যায়। এবার একই প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ওটিটির বদলে মুক্তি পেতে যাচ্ছে প্রার্থনা ফারদীন দীঘি অভিনীত চলচ্চিত্র ’৩৬–২৪–৩৬’। সিনেমাটি ১৫ অক্টোবর বিকেলে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডে জমা দেয়া হয়েছে।

রেজাউর রহমান, কারিনা কায়সার ও মোনতাসির মান্নানের রচনায় এবং রেজাউর রহমানের পরিচালনায় সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে আরো অভিনয় করেছেন সৈয়দ জামান শাওন ও কারিনা কায়সার।

সম্পর্ক এবং অনুভূতির নানা দিক উঠে আসবে এ সিনেমায়। চরকির ’মিনিস্ট্রি অফ লাভ’ প্রজেক্টের পঞ্চম নির্মাণ এটি।

‘৩৬–২৪–৩৬’ ওয়েব ফিল্ম হিসেবে গত জুলাইতে সরাসরি মুক্তির কথা ছিল চরকিতে। তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তখন আর মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি। এখন সেটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হিসেবে ছাড়পত্র নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। তবে কি টেলিফিল্মকে ফিল্ম বানানোর প্রক্রিয়া নয় এটি! এ ব্যাপারে চরকির শীর্ষ কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি বলেন, ‘এটি সিনেমা হিসেবেই নির্মাণ করা হয়েছে। প্ল্যাটফর্মের কারণে আমরা এটাকে ওয়েব ফিল্ম বলছিলাম। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দিতে যে নির্মাণশৈলী, আয়োজন ও গল্প বলার ঢংয়ের প্রয়োজন হয়, তার কোনও কমতি নেই এতে। সেটি দর্শকরা দেখলেই বুঝতে পারবেন।’

এদিকে প্রথমবারের মতো বড়পর্দায় পৌঁছানোর সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত ‘৩৬–২৪–৩৬’-এর পরিচালক রেজাউর রহমান। এর আগে চরকি অরিজিনাল সিরিজ ‘ইন্টার্নশিপ’ নির্মাণ করে প্রশংসা পেয়েছেন তিনি।
 
রেজা বলেন, ‘সিনেমাটি খুবই কালারফুল ও বড় আয়োজনে নির্মাণ করতে চেয়েছি। মজা রাখার চেষ্টা করেছি সংলাপ ও ঘটনায়। এর মধ্যে থেকে দর্শকরা কিছু বার্তাও পাবেন বলে আশা করি।’

চরকি জানিয়েছে, ‘৩৬–২৪–৩৬’ সার্টিফিকেশন বোর্ডের ছাড়পত্র পেলেই ঘোষণা করা হবে মুক্তির তারিখ। 

সিনেমাটিতে আরো অভিনয় করেছেন গোলাম কিবরিয়া তানভীর, মিলি বাশার, মানস বন্দ্যোপাধ্যায়, শহীদুল আলম সাচ্চু, রোজী সিদ্দিকী, শামীমা নাজনীন, আবু হুরায়রা তানভীরসহ অনেকে।

এর আগে মিনিস্ট্রি অফ লাভ প্রজেক্টের আওতায় মুক্তি পেয়েছে ’সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’, ’মনোগামী’, ’কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’ এবং ’ফরগেট মি নট’।


মন্তব্য করুন