ওয়েবে অপরিহার্য হয়ে উঠেছেন শ্যামল মাওলা
টেলিভিশনে দীর্ঘ দিনের পথ চলা শ্যামল মাওলার। সেখানে খুব যে চমক দেখাতে পেরেছেন তা নয়। বরং গ্ল্যামার-নির্ভর নায়ক ও মোশাররফ করিমদের মতো জাত অভিনেতার ভিড়ে খানিকটা ম্লানই ছিলেন। কিন্তু ওয়েবে এখন তিনি অপরিহার্য। এমন কোনো আলোচিত প্রজেক্ট পাওয়া দায়— যেখানে দেখা যায়নি তাকে। এমনকি হালে নায়ক চরিত্রে সিনেমা পর্দায়ও হাজির হয়েছেন, তাও ওয়েবের খ্যাতি কল্যাণেই।
আজকাল তো অনেকেই শ্যামল মাওলাকে বাংলাদেশের রাধিকা আপ্তে বলছেন। ভারতের স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মটির শুরুর দিকে অভিনেত্রীর অন্যরকম ইমেজ দাঁড়িয়ে গিয়েছিল।
ওয়েবে সদ্য মুক্তি পাওয়া ‘হইচই’-এর ওয়েব সিরিজ মহানগর, কিংবা এর আগে জি ফাইভের কনট্রাক্ট, মাইনকার চিপায়, হইচইয়ের মানিহানি, কষ্টনীড়, বিঞ্জের সদরঘাটের টাইগার, আইফ্লিক্সের ক্যাশ প্রতিটি চরিত্রে তিনি দর্শককে মাতিয়ে রেখেছেন। বড়লোকের বখে যাওয়া ছেলে থেকে গোয়েন্দা অফিসার, সদরঘাটের মেকানিক, কবিসহ বিচিত্র চরিত্রে ধরা দিয়েছেন তিনি। হাতে আছে নামি নির্মাতাদের কিছু সিরিজ।
এর মধ্যে আছে বিঞ্জের জন্য মাহমুদ দিদার নির্মিত ‘পঁচিশ’। এখানে শ্যামল মাওলার সঙ্গে আছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল, ইয়াশ রোহান, সাঈদ বাবু প্রমুখ। করছেন পূজা চেরীর সঙ্গে সুমন ধরের ওয়েব সিরিজ ‘প্যারাসাইকোলজি’তে।
শ্যামলকে নিয়ে ভীষণ আশাবাদী নির্মাতারাও। এই যেমন ‘পঁটিশ’ এর পরিচালক মাহমুদ দিদার বাংলা মুভি ডেটাবেজকে বলছিলেন, ‘সে একেবারে প্রতাপশালী হয়ে উঠেছে। অভিনয়ে শক্তিমান। নিজেকে ভাঙ্গছে খুব। ভীষণ ভালো অ্যাক্টর।’
তারকাখ্যাতির দিক থেকে শ্যামল মাওলাকে এখনো আন্ডাররেটেড মনে করেন অনেকেই। এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘অভিনয় ভালো করা না করা আমার হাতে আছে। কিন্তু অন্য লোকের চিন্তা-ভাবনার ওপর আমার হাত নেই। তা ছাড়া খ্যাতি বাড়ানোর জন্য বাড়তি কোনো কিছু করার মানসিকতা আমার নেই। এক একটা মানুষ তো এক এক রকম হয়। আমি নিজেই একজন ডুব দেওয়া মানুষ। তাই আমার কাজগুলোও সেভাবে প্রকাশ পায়। তারকাখ্যাতি নিয়ে আমি ভাবি না। কাজটাই মন দিয়ে করতে চাই।’
তবে এটা ঠিক যে, ওয়েবে একজন তারকা দাঁড়িয়ে যাওয়া মানে মাধ্যমটির সম্ভাবনা নতুন করে হাজির হওয়া। সে দিক থেকে এটা নিশ্চিত, শ্যামল মাওলার পথ ধরে অনেকেই ওঠে আসবেন দর্শকের পছন্দের তালিকায়। ছোট ও বড়পর্দার বাইরে বাংলা ফিকশনের নতুন ঠিকানা হবে এটি। অনাবিস্কৃত গল্প বা চরিত্র বারবার ওঠে আসবে পর্দায়। তবে, হ্যাঁ, যদি গতানুগতিকতার মধ্যে আমরা হারিয়ে না যাই!