করোনার ঘরবন্দী সময়ে শাকিব খান পড়েছেন প্লেটো, বঙ্গবন্ধু, চালর্স ডিকেন্সের বই
করোনার মাঝেই তিনটি ছবিতে (নবাব এলএলবি, অন্তরাত্মা ও লিডার আমিই বাংলাদেশ) কাজ করেছেন শাকিব খান। আর বড় একটা সময় কাটিয়েছিলেন ঘরবন্দী অবস্থায়। তবে এ অবসরে নিজেকে নতুন করে সাজিয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানালেন চ্যানেল আই অনলাইনের নাহিয়ান ইমন। সেখানে ওঠে এসেছে অভিনেতা পড়া কিছু বই ও দেখা কিছু সিনেমার তালিকা।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত ১৫ বছরের তুলনায় শাকিবের মধ্যে সেই আন্তরিকতার ছাপ তুলনামূলক এখন বেশি। লম্বা পর্যালোচনা ও বিভিন্ন সময়ে আলাপে স্পষ্ট বোঝা গেছে, আসলেই বদলে গেছেন শাকিব খান। তার কোটি ভক্তরাও এমন শাকিবকেই চাইতেন। সেই বদলে যাওয়ার কিছু ঘটনার মধ্যে রয়েছে, শাকিব খানের নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন। ঘড়ির কাটার সঙ্গে তালমিলিয়ে চলেন তিনি।
কাক ডাকা ভোরেই শাকিবের দিন শুরু। পরে নিজ অফিসে দুই ঘণ্টা শরীর চর্চা করেন। পরের রুটিনটা আরও চমকপ্রদ। দেশ বিদেশের বিভিন্ন লেখকদের লেখা পড়েন। শাকিব খানের অফিসে বুক শেলফে সংগ্রহে রয়েছে দার্শনিক প্লেটোর ‘অ্যাপোলজি’, যেটি উপজীব্য অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কুফল ও যাপিত-জীবনের সুফল। এছাড়া চার্লস ডিকেন্সের ‘গ্রেট এক্সপেক্টেশন’, মারিও পুজোর ‘দ্য গডফাদার’, বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, সেলিনা হোসেনের ‘যাপিত জীবন’, জীবনানন্দ দাশের ‘কবিতাসমগ্র’, হুমায়ুন আহমেদ, সমরেশ মজুমদার, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের বহুমুখিতায় ও স্বপ্নচারিতায়সহ, সৈয়দ শামসুল হক, ইমদাদুল হক মিলন, রাবেয়া খাতুন, আনিসুল হক ও সমসাময়িক একাধিক লেখকদের অসংখ্য বই।
শাকিব খান জানান, দৈনিক বই পড়া তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। উপরের সবগুলো বই তিনি পড়েছেন।
সিনেমা সম্পর্কে বলা হচ্ছে, পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সিনেমা দেখা শাকিব খানের আরেকটি নতুন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। যেটি আগেও ছিল। শাকিবের কথা, লকডাউনে এই অভ্যাস আরও বেড়েছে। কিছু সিনেমার নাম উল্লেখ করে শাকিব জানান, টার্কিশ ‘মিরাকল ইন সেল নাম্বার সেভেন’, কোরিয়ান সিনেমা ‘স্প্রিং সামার ফল উইন্টার এন্ড স্প্রিং’সহ ইটারনাল সানশাইন অব এ স্পটলেস মাইন্ড, ক্যাপটেন ফিলিপ, চিলড্রেন অব মেন, ডেড পোয়েট সোসাইটি, দ্য ট্যাক্সি ড্রাইভার, সিরিজ ‘দ্য কুইন্স গ্যামবিট’ ছাড়া ওটিটি মাধ্যম থেকে বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার বিভিন্ন সিনেমা ওয়েব সিরিজ দেখেছেন।
সেই সঙ্গে দেশ, বিশ্ব অর্থনীতি ও রাজনীতি নিয়েও সোচ্চার শাকিব। সমকালীন রাজনীতি ও অর্থনীতি নিয়ে ভাবনাগুলো তার সঙ্গে আলাপ না করলে অনেকটা অবিশ্বাস্য মনে হবে!
এ ছাড়া দৈনিক রুটিনের মধ্যে আছে, এর পাশাপাশি দিনের একটা সময়ে রাজধানীর নিকেতন ও পূবাইলে শাকিব খান তার নতুন বিলাসবহুল বাড়ি তৈরির তদারকি করেন ভার্চুয়ালি। অন্যান্য ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর কারণে শাকিব তার মিটিংগুলো অফিসেই সারছেন। আর সিনেমা হলের বিকল্প হিসেবে ওটিটি মাধ্যম নিয়ে তিনি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন বলেও তার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে।
শাকিব জানান, তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসকে ফিল্মসের আসন্ন সিনেমাগুলোর প্রি-প্রোডাকশন চলছে। যেখানে তিনি নিজে নয়, কাজ করাবেন অন্য নায়ক-নায়িকারাদের দিয়ে। ‘এসকে এন্টারটেনমেন্ট’ নামে তার নতুন ডিজিটাল কনটেন্ট প্রযোজনার উদ্যোগ নিয়েছেন। যেখানে নতুন নতুন কনটেন্ট ও বিশেষ দিবসগুলোতে থাকবে আয়োজন।