
কর্ণাটকে সব মাল্টিপ্লেক্সে টিকিটের সর্বোচ্চ দাম ২০০ রুপির প্রস্তাব
সিঙ্গেল স্ক্রিনে সংস্কৃতি প্রায় উঠতেই চলছে। এর বিপরীতে জায়গা করে নিচ্ছে মাল্টিপ্লেক্স। কিন্তু অতিরিক্ত খরচের কারণে মধ্যবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে অনেকে মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমা দেখতে যেতে পারেন না। বাংলাদেশে তো ৫০০ টাকার নিচে টিকিই পাওয়াই ভার। অন্যদিকে সব শ্রেণির দর্শকের কথা মাথায় রেখে টিকিটের দাম নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল ভারতের কর্ণাটক সরকার। সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে স্থানীয় সব মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমা দেখা যাবে ২০০ রুপিতে।

সম্প্রতি একটি খসড়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ভারতের কর্ণাটক সরকার, যেখানে রাজ্যের সব ধরনের সিনেমা হলে টিকিটের সর্বোচ্চ মূল্য ২০০ রুপি নির্ধারণের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। শুধু আঞ্চলিক ভাষার সিনেমা নয়, যেকোনো ভাষার সিনেমার টিকিটের দাম হবে ২০০ রুপি। এই দামের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে আয়কর। ২০১৪ সালের কর্ণাটক সিনেমা (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালায় সংশোধন এনে এই প্রস্তাব রাখা হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, সব ভাষার সিনেমা ও সব ধরনের থিয়েটারের জন্য এই সীমা কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, খসড়াটি এখন জনগণের মতামতের জন্য প্রকাশ করা হয়েছে এবং ১৫ দিনের মধ্যে আপত্তি বা পরামর্শ জেনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদি এটি অনুমোদিত হয়, তাহলে ১ আগস্ট থেকে রাজ্যজুড়ে তা কার্যকর হবে।
এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর সিনেমাপ্রেমীদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। অনেক সিনেমাপ্রেমী এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন। অনেকেই বলছেন, এবার মধ্যবিত্তের আওতায় প্রেক্ষাগৃহের টিকিট। তবে অন্য প্রশ্নও উঠেছে। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, টিকিটের দাম কমলেও প্রেক্ষাগৃহের খাবার, যেমন পপকর্ন ও কোমল পানীয়ের যে আকাশচুম্বী দাম, তা কমবে নাকি আরও বাড়বে? কেউ কেউ আবার দাবি করছেন, শুধু সিনেমার টিকিটের দাম নয়, বাস, অটোর টিকিটের দামও কমাতে হবে, তবেই সাধারণ মানুষের জন্য সিনেমা দেখাটা সহনীয় হবে।
সিনেমা-বাণিজ্য বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, নতুন এই নিয়ম যদি কার্যকর হয়, তাহলে স্বল্প বাজেটের সিনেমা লাভবান হবে। কিন্তু ভবিষ্যতের বড় বাজেটের সিনেমা নির্মাণে সংকট তৈরি হবে। খবর আজকের পত্রিকা