Select Page

কাজী আনোয়ারের থিম চুরি করে ‌‘ভালোবাসার রঙ’

কাজী আনোয়ারের থিম চুরি করে ‌‘ভালোবাসার রঙ’

valobashar-rong

‘আমরা মৌলিক গল্প নিয়ে কাজ করতে চেযেছি। কিন্তু মৌলিক গল্প যেগুলো পছন্দ হয় সেগুলো আমরা পাই না। যেমন হুমায়ূন স্যারের গল্পগুলোর রাইট আমাদের দিবে না। কাজী আনোয়ার হোসেনের মাসুদ রানা সিরিজের গল্পগুলো নিয়ে ছবি নির্মাণ করতে চেয়েছি, সেগুলো তারা দেয়নি। ভালোবাসার রঙ কিন্তু কাজী আনোযার হোসেনের একটা গল্প থেকেই নেওয়া। উনি রাইট দিতে চাননি। পরে আমরা গল্পের থিম চুরি করে বানিয়ে ফেলেছি। এখন মৌলিক গল্প পাবো কোথায়?’— কথাগুলো জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আব্দুল আজিজের।

সম্প্রতি প্রিয় ডটকমকে দেওয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে বর্তমান বাংলা চলচ্চিত্রের নানা বিষয়ে কথা বলেন তিনি। এর মধ্যে উঠে আছে নকল গল্পের প্রসঙ্গটি। তিনি জানান, দুই-একটি মৌলিক গল্প ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির বাকি সিনেমা কপি রাইট নিয়ে নির্মিত।

নায়ক-নায়িকা গড়ে তুলছেন কিন্তু পরিচালক, স্ক্রিপ্ট রাইটার তৈরি করছেন না। এক্ষেত্রে আপনারা কোন উদ্যোগ নিচ্ছেন না কেন?— এমন প্রশ্নের জবাবে আজিজ বলেন, ‘চেষ্টার কোনো ত্রুটি করা হয় নাই। মানুষকে মাসের পর মাস সময় দিয়েছি।এদিকে ফারুক হোসেনকে অনেক চেষ্টা করে দাঁড় করিয়েছিলাম। কিন্তু ও তো মারা গেল। সিনেমার স্ক্রিপ্ট রাইটার হতে হলে তাকে সিনেমা বুঝতে হবে। সিনেমার প্যাশন থাকতে হবে। সিনেমার স্ক্রিপ্ট লেখা সহজ না। নায়ক-নায়িকা কি করবে, কোথায় শুটিং হবে, বাজেট কত হবে এগুলোও তাকে বুঝতে হবে। স্ক্রিপ্ট লেখার পর তাকে বুঝতে হবে যে সে কত টাকার স্ক্রিপ্ট লেখছে।এগুলো বোঝার জন্য তাকে আগে একজন সিনিয়ররের সঙ্গে কাজ করতে হবে।অনেক মিউজিক ডিরেক্টরকে আমরাই প্রমোট করেছি। প্রত্যেকটা মিউজিক ডিরেক্টরই সিনিয়রদের সঙ্গে কাজ করছে। সিনেমার প্রতিটি সেকশনই হচ্ছে গুরুবিদ্যা। সিনেমায় নতুন যারা আসতেছে, তারা সবাই মনে করছে আমরা সবকিছুই জানি। তারা সবাই ভরা কলস হয়ে আসতেছে। ফলে তাদেরকে স্থান দেওয়া যায় না। সিনেমায় যদি তারা আসতে চায় তাহলে ভরা কলসটা খালি করে আসতে হবে।’

abdul-aziz-jaaz

জাজের প্রথম সিনেমা ‘ভালোবাসার রঙ’ মুক্তি পায় ২০১২ সালের ৫ অক্টোবর। শাহীন সুমনের পরিচালনায় অভিষেক ঘটে বাপ্পীমাহির।

 


Leave a reply