কানের ফিপরেস্কিতে বিচারক বাংলাদেশের রীতি
ফ্রান্সের কান চলচ্চিত্র উৎসবের ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফিল্ম ক্রিটিকসের (ফিপরেস্কি) বিচারক হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়েছেন বাংলাদেশের সাদিয়া খালিদ রীতি। এবারের ৭২তম আসরে নির্বাচিত ছবিগুলো দেখে সেরা নির্বাচনের গুরুদায়িত্ব থাকবে তার কাঁধে।
১৪ মে শুরু হবে বিশ্ব চলচ্চিত্রের মর্যাদাসম্পন্ন এই আয়োজন।
কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা ছবিগুলোকে আয়োজকদের পাশাপাশি মুক্ত কয়েকটি সংগঠনও পুরস্কার দিয়ে থাকে। এর মধ্যে ফিপরেস্কি অন্যতম। প্রতিযোগিতা বিভাগ ও আঁ সার্তে রিগার আর ইন্টারন্যাশনাল ক্রিটিকস উইকের মধ্য থেকে সেরা একটি করে ছবিকে এটি দেবে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফিল্ম ক্রিটিকস।
বাংলাদেশ ছাড়াও এবার ফিপরেস্কির বিচারক প্যানেলে আছেন ফ্রান্সের দুইজন আর পর্তুগাল, ডেনমার্ক, নরওয়ে, যুক্তরাষ্ট্র, বেলজিয়াম ও ইসরায়েলের একজন করে চলচ্চিত্র সমালোচক।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেসে পড়াশোনা করেছেন সাদিয়া খালিদ রীতি। ফিপরেস্কির বাংলাদেশ শাখা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশে (আইএফসিএবি) ২০১৪ সাল থেকে সক্রিয় এই চলচ্চিত্রকর্মী। এর দুই বছর পর ফিপরেস্কিতে যুক্ত হন তিনি।
চলচ্চিত্র সমালোচক হিসেবে অনেক লেখা আছে রীতির। ইউল্যাব, পাঠশালা, শিল্পকলা ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে (বিসিটিআই) ফিল্ম বিষয়ে পড়ান তিনি।
গত বছর থেকে বিচারক হিসেবে বেশকিছু উৎসবে অংশ নেন রীতি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইতালির রিলিজিয়ন টুডে, ভারতের শিলিগুড়ি শর্টস অ্যান্ড ডকুমেন্টারি, নেপালের হিউম্যান রাইটস, ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব প্রভৃতি।
কান উৎসবে ফিপরেস্কির জুরি হওয়ার জন্য আবেদন করেন রীতি। সেখানে সফল হওয়া নিয়ে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কান চলচ্চিত্র উৎসবে বিচারক হয়ে যেতে পারা অনেক সম্মানের ব্যাপার। এর মাধ্যমে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করার পাশাপাশি নারী চলচ্চিত্রকর্মীদের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করছি।’
এর আগে বাংলাদেশ থেকে কেবল আহমেদ মুজতবা জামাল ফিপরেস্কির বিচারক হতে পেরেছেন। ২০০২ সালে তিনি প্রথমবার এই সম্মান পেয়েছেন। এরপর ২০০৫ ও ২০০৯ সালে আরও দু’বার ফিপরেস্কির বিচারকের আসনে দেখা গেছে তাকে।