‘কেলোর কীর্তি’ মুক্তি পাচ্ছেই
আন্দোলন আর আইনি জটিলতা পেরিয়ে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে বাণিজ্যিকভাবে মুক্তি পাচ্ছেই ভারতীয় সিনেমা ‘কেলোর কীর্তি’। ২৯ জুলাই ঢাকাসহ সারাদেশের প্রেক্ষাগৃহে চলবে সিনেমাটি। এ নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট শীর্ষ সংগঠনের নেতারা।
চুক্তির নিয়ম যথাযথভাবে মানা হয়নি বলে ছবিটির প্রদর্শন বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে গত ১৮ জুলাই এসএফ ফিল্মসের প্রযোজক শরীফ হোসেন আদালতে রিট আবেদন করেন। এর পরদিন আদালত ছবিটির প্রদর্শনের ওপর ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দেন। পাশাপাশি এটি প্রদর্শন করা কেনো অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের রুল জারি করেন। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আরাধনা এন্টারপ্রাইজ আপিল বিভাগে আবেদন করে। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে দিয়েছেন ২৪ জুলাই। ফলে বাংলাদেশে ভারতের বাংলা ছবিটির মুক্তি ও প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনে আর কোনো বাধা রইলো না।
‘কেলোর কীর্তি’র মুক্তির খবরে হতাশা নেমে এসেছে এফডিসি ও কাকরাইলে চলচ্চিত্র পাড়ায়। মঙ্গলবার দুপুরে এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার বাংলানিউজকে বলেন, ‘এটা আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য দুঃসংবাদ। এতো প্রতিবাদের মুখেও ছবিটি মুক্তি দেওয়া হচ্ছে জেনে আমরা হতাশ হয়েছি। কিন্তু আমাদের আন্দোলন থামবে না।’
প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবিটি না দেখার জন্য দর্শকদের প্রতি অনুরোধ করেছেন গুলজার। তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, দর্শকরা ছবিটি বর্জন করবেন। কারণ তারা বাংলাদেশের ছবিকে ভালোবাসেন।’
পরিচালক সমিতির এই নেতা আরও জানান, আগামী ২৯ জুলাই ঢাকার বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহের সামনে তারা মানববন্ধন করবেন। এর মধ্য দিয়ে ‘কেলোর কীর্তি’ না দেখার জন্য দর্শকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে।
এর আগে ২২ জুলাই বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা ছিলো আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আরাধনা এন্টারপ্রাইজের।
এ ঘটনায় ফুঁসে ওঠে চলচ্চিত্র সমাজ। একপক্ষীয় ভারতীয় চলচ্চিত্র আমদানির ষড়যন্ত্র দাবি করে গত ঈদে কলকাতায় মুক্তি পাওয়া ‘কেলোর কীর্তি’র মুক্তি ও প্রদর্শন বন্ধ করার দাবিতে ২০ জুলাই মানববন্ধন করে ঢাকাই ছবির সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো। এর মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, চলচ্চিত্র উৎপাদন ব্যবস্থাপনা সমিতি, চলচ্চিত্র গ্রাহক সংস্থা, চলচ্চিত্র নৃত্য পরিচালক সমিতি, চলচ্চিত্র অ্যাকশন গ্রুপ ও সিডাবসহ কয়েকটি সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সূত্র : বাংলানিউজ টুয়েন্টিফোর।