Select Page

চলচ্চিত্র পরিচালনায় শাওন

চলচ্চিত্র পরিচালনায় শাওন

1_28303চলচ্চিত্র পরিচালনায় আসছেন মেহের আফরোজ শাওন। আর এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নিচ্ছেন তিনি। প্রায় বছর খানেকের প্রস্তুতি প্রয়োজন শাওনের। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের শেষের দিকে নির্মাণ শুরু করবেন তিনি। শাওন বলেন, ‘আমার লম্বা প্রস্তুতির অন্যতম কারন আমার দুই ছেলে। ছোট ছেলে তো অনেক ছোট। তাই সময় নিচ্ছি। আমার হাতে দুটি পাণ্ডুলিপি আছে। যে কোনো একটি নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে হাত দেব।’

শাওন জানান, তার জন্য হুমায়ূন আহমেদ দুটি চলচ্চিত্রের পাণ্ডুলিপি তৈরি করে রেখে গেছেন। সেখান থেকে কোনটি নিয়ে তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণ করবেন তা নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন। ২০০৫ সালে হুমায়ূন আহমেদ নিজে লিখেছিলেন ‘নির্বাসন’ নামের একটি চলচ্চিত্র। এটি প্রথমে হুমায়ূন আহমেদরই নির্মাণ করার কথা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তা আর হয়ে ওঠেনি। এরপর অন্যান্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। তার সেই নির্মাণ না হওয়া পাণ্ডুলিপি রয়েছে শাওনের প্রথম পছন্দে। কারণ এতে প্রয়াত এই কলম জাদুকরের অসমাপ্ত স্বপ্নটি আলোর মুখ দেখবে। কিন্তু শাওনের দ্বিধার মূল কারণ দ্বিতীয় পাণ্ডুলিপি ‘গৌরিপুর জংশন’। এটি হুমায়ূন আহমেদ নিজের গল্প থেকে চিত্রনাট্য করিয়েছেন শীবব্রত বর্মণকে দিয়ে। চিত্রনাট্য করিয়েছেন শাওনের জন্য। এ পাণ্ডুলিপি দিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে শাওনকে সুযোগ দিতে চেয়েছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। এটা ২০০৮ সালের কথা। সবমিলিয়ে শাওন দ্বিধায় কোনটি নির্মাণ করবেন আগে।

শাওন বলেন, ‘দুটি পাণ্ডুলিপি থেকেই আমি চলচ্চিত্র নির্মাণ করব। কিন্তু কোনটি আগে নির্মাণ করব তা নিয়ে দ্বিধায় আছি। একটি [নির্বাসন] হুমায়ূন আহমেদের অসমাপ্ত কাজ। যেটিকে আমি আলোতে নিয়ে আসতে চাই। অন্যটি [গৌরিপুর জংশন] হুমায়ূন আহমেদ করেছেন আমার জন্য। তাই বুঝতে পারছি না কোনটা আগে করা উচিঁত। শীঘ্রই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করব।’

হুমায়ূন আহমেদের নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো দেশে ও  আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পুরস্কৃত ও সমাদৃত হয়। সে যাত্রা অক্ষুণ্ন রাখতে চান শাওন।


Leave a reply