
চলতি সপ্তাহে (১৭ অক্টোবর ২০২৫) কি দেখবেন, কোথায় দেখবেন?
চলতি সপ্তাহে (১৭ অক্টোবর ২০২৫) মুক্তিপ্রাপ্ত নতুন চলচ্চিত্র, ওয়েব ফিল্ম ও ওয়েব সিরিজ কোথায় ও কীভাবে দেখবেন?

চলচ্চিত্র: ডাইরেক্ট অ্যাটাক
সমাজের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের গল্পে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘ডাইরেক্ট অ্যাটাক’ ১৭ অক্টোবর শুক্রবার দেশের ৩০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। ছবিটি পরিচালনা করেছেন সাদেক সিদ্দিকী।
এই ছবি দিয়ে দীর্ঘ ছয় বছর পর বড় পর্দায় ফিরছেন চিত্রনায়িকা পপি। ২০১৯ সালে তার অভিনীত সর্বশেষ ছবি ‘দি ডিরেক্টর’ মুক্তি পেয়েছিল। পপির বিপরীতে রয়েছেন চিত্রনায়ক আমিন খান। পপির মত তিনিও অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন। তারও সর্বশেষ ছবি ‘অবতার’ ও ‘ফরায়েজী আন্দোলন’ ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল। ছবিটিতে আরও অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমন, চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা, আনিক রহমান অভি, রিপা, হেলাল খান, রেবেকা, আমির সিরাজী, সাগর সিদ্দিকী প্রমুখ।

ওয়েব ফিল্ম: গ্যাড়াকল
প্রেম, অপরাধবোধ আর নিয়তির গ্যাড়াকলে জড়িয়ে থাকা মানুষের গল্প নিয়ে নির্মিত ফ্ল্যাশ ফিকশন ‘গ্যাড়াকল’ ১৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে চরকিতে মুক্তি পেয়েছে। এটি পরিচালনা করেছেন নবীন নির্মাতা রাকায়েত রাব্বি। এর গল্প ও সংলাপ লিখেছেন নাজিম উদ দৌলা, চিত্রনাট্য করেছেন নির্মাতা নিজেই।

রহস্য–থ্রিলার ঘরানার গল্পে দেখা যাবে তিনটি চরিত্র—রিমি, অনিক ও মোশতাককে। ছুটি কাটাতে রিমি ও অনিক বেরিয়ে পড়ে ভ্রমণে। সেখানে দেখা হয় চিত্রশিল্পী মোশতাকের সঙ্গে। ধীরে ধীরে তাদের সম্পর্কের মধ্যে তৈরি হয় এক অদৃশ্য জট। রিমি–অনিকের সম্পর্ক ভেঙে পড়তে থাকে, আর দর্শক ভাবতে থাকেন—কোনটি সত্য? চোখে দেখা নাকি অদেখা কোনো বাস্তবতা?
রিমি চরিত্রে অভিনয় করেছেন সামিরা খান মাহী, অনিক চরিত্রে আবু হুরায়রা তানভীর এবং মোশতাক চরিত্রে ইন্তেখাব দিনার। মোশতাকের স্ত্রীর ভূমিকায় আছেন সুষমা সরকার।
ওয়েব সিরিজঃ গিরগিটি
অপরাধ, দুর্নীতি ও বিশ্বাসঘাতকতার জটিল সম্পর্কের গল্প নিয়ে নির্মিত ওয়েব সিরিজ ‘গিরগিটি’ ১৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে বঙ্গতে মুক্তি পেয়েছে। এটি পরিচালনা করেছেন লস্কর নিয়াজ মাহমুদ। আ স ম রাহাত মেহেদি হকের গল্প থেকে গিরগিটির চিত্রনাট্য করেছেন জ্যোতির্ময় রায়। এতে অভিনয় করেছেন আশীষ খন্দকার, ইরফান সাজ্জাদ, মোহনা মিম, নাদের চৌধুরী, শতাব্দী ওয়াদুদ, গোলাম ফরিদা ছন্দা ও মিলন ভট্টাচার্য।

গল্পে দেখা যায় একসময়ের শান্ত শহর বিরলপুর এখন মাদকের আখড়া। শহরের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী চৌধুরী সাহেব করপোরেট ঢঙে ড্রাগ র্যাকেট চালায়। কিন্তু হঠাৎ তার তিন ঘনিষ্ঠ লোক খুন হলে সবকিছু ওলটপালট হয়ে যায়। গোয়েন্দা মারুফ জামানের ওপর তদন্তের দায়িত্ব পড়ে, বিয়ের উদ্দেশ্যে যে পাশের শহরে এসেছিল। একে একে খুন হতে থাকে আরও কয়েকজন, এমনকি থানার ভেতরও ঘটে হত্যাকাণ্ড। খুনি কি পুলিশেরই কেউ? নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে আরও গভীর কোনো ষড়যন্ত্র?