Select Page

চলে গেলেন চাষী নজরুল ইসলাম

চলে গেলেন চাষী নজরুল ইসলাম

Chashi-Nazrul-Islam

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও একুশে পদকজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ১১ জানুয়ারি ভোর ৬টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি লিভার ক্যান্সারে ভুগছেন।

দীর্ঘদিন ধরেই চলচ্চিত্র নির্মাণ থেকে দূরে ছিলেন এই পরিচালক। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে আলিশা-ইমনকে নিয়ে ‘অন্তরঙ্গ’ নামের সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু গতবছর মে মাসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন জানতে পারেন ক্যান্সারে আক্রান্ত তিনি।

১৯৪১ সালের ২৩ অক্টোবর বিক্রমপুরের সমষপুর গ্রামে চাষী নজরুল ইসলাম জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাবা-মায়ের বড় সন্তান। বাবা মোসলেহ উদ্দিন আহম্মদ ভারতের বিহারে টাটা আয়রন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।

তিন মাস বয়সে মায়ের সঙ্গে বাবার কর্মস্থল জামশেদপুরে গিয়ে চার বছর ছিলেন। এরপর কিছুদিনের জন্য বিক্রমপুরে ফিরে আসেন। এরপর আবারও জামশেদপুরে। চাষী নজরুল ইসলামের শৈশবের অধিকাংশ সময় কেটেছে এখানেই। জীবনের ১৮টি বছর তিনি কাটিয়েছেন এই জামশেদপুরে।

১৯৬১ সালে ফতেহ লোহানীর পরিচালনায় ‘আছিয়া’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে চাষী নজরুল ইসলামের চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। ১৯৬৩ সালে প্রখ্যাত সাংবাদিক ও চলচ্চিত্রকার ওবায়েদ-উল-হক সরকারের সহকারী হিসেবে ‘দুই দিগন্ত’ চলচ্চিত্রে কাজ করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর নির্মাণ করেন ‘ওরা ১১ জন’। এটি তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র।

চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে ওরা ১১ জন, সংগ্রাম, বাজিমাত, দেবদাস, চন্দ্রনাথ, বেহুলা লক্ষিন্দর, বিরহ ব্যথা, বাসনা, দাঙ্গা ফ্যাসাদ, পদ্মা মেঘনা যমুনা, শিল্পী, হাঙর নদী গ্রেনেড, হাছন রাজা, মেঘের পরে মেঘ, শাস্তি, সুভা, দুই পুরুষরঙিন দেবদাস

চাষী নজরুল ইসলাম চারবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। পরিচালনার স্বীকৃতি হিসেবে অর্জন করেন একুশে পদক (২০০৪), বাংলাদেশ সিনে জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশন এ্যাওয়ার্ড, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৮৬, ১৯৯৭), শের-ই-বাংলা স্মৃতি পুরস্কার, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইয়ুথ অর্গানাইজেশন ফেডারেশন এ্যাওয়ার্ড, স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু স্বর্ণপদক, জহির রায়হান স্বর্ণপদক, বিনোদন বিচিত্রা এ্যাওয়ার্ড ও জেনেসিস নজরুল সম্মাননা পদক।

 


Leave a reply