চারবছরে শাকিবের ২২ ফ্লপ
শাকিব খান মানে টিকিট কাউন্টারে ঝড়। একমাত্র এ নায়কের সিনেমা থেকে লগ্নি তুলতে পারেন প্রযোজক। এ ধরনের কথা বাজারে খুবই শোনা যায়। কিন্তু গবেষণাপত্র বলছে অন্য কথা। যা পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন। জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসে এফডিসিতে এক সেমিনারে তিনি গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করেন।
তিনি জানান, বাংলাদেশের সিনে ইন্ডাস্ট্রিতে ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালে মুক্তি পেয়েছে ২৫৪টি ছবি। এর মধ্যে মাত্র ১৭টি পুঁজি ঘরে তুলেছে। যার ১৩টি একক প্রযোজনা ও ৪টি যৌথ প্রযোজনার। এ সময়ে মুক্তি পায় যথাক্রমে ৫২, ৭৮, ৬৬ ও ৫৮টি ছবি।
২০১৩ সালে দেহরক্ষী, পোড়ামন, ভালোবাসা আজকাল, পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী ও জটিল প্রেম পুঁজি তুলে আনে। পরের বছর অগ্নি, রাজত্ব, আমি শুধু চেয়েছি তোমায়, হিরো দ্য সুপার স্টার ও অনেক সাধের ময়না সফলতা পায়। ২০১৫ সালে রোমিও বনাম জুলিয়েট, লাভ ম্যারেজ ও রাজাবাবু টাকা তুলতে পারে। সর্বশেষ বছরে শিকারি, বাদশা দ্য ডন, শুটার ও আয়নাবাজির প্রযোজক লাভের মুখ দেখেন।
এ সময়ের মধ্যে মুক্তি পেয়েছে শাকিব খান অভিনীত ৩০টি সিনেমা। যার মধ্যে মাত্র ৮টি পুঁজি ফেরত এসেছে। পরের অবস্থানে আছেন মাহি। তার ৫টি সিনেমা পুঁজি ফেরত এনেছে, মুক্তি পাওয়া সিনেমা ১৬।
ড. জাহাঙ্গীরের প্রতিবেদন অনুযায়ী এ চার বছরে গড়ে মুক্তি পায় ৬৩.৫টি ছবি। ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়েছে ৬.৬৯ শতাংশ। যার প্রায় অর্ধেকই শাকিব খানের ছবি। বাকি ৯৩.৩১ শতাংশ অর্থাৎ ২৩৭টি ছবির প্রযোজক পুঁজি ফেরত পাননি।