জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৮৭-১৯৮৯)
১৯৮৭ : এই বছর সেরা চলচ্চিত্র,পরিচালক সহ মোট ১৭ টি শাখায় পুরস্কার প্রদান করা হয়:
১.সেরা চলচ্চিত্র- রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত
২.সেরা পরিচালক- এ জে মিন্টু(লালু মাস্তান)
৩.সেরা কাহিনীকার- কাজী হায়াত(দায়ী কে)
৪.সেরা চিত্রনাট্যকার- দিলীপ বিশ্বাস(অপেক্ষা)
৫.সেরা সংগীত পরিচালক- আলম খান(স্যারেন্ডার)
৬.সেরা অভিনেতা (যৌথভাবে)- এটিএম শামসুজ্জামান(দায়ী কে) ও আলমগীর(অপেক্ষা)
৭.সেরা অভিনেত্রী- শাবানা(অপেক্ষা)
৮.সেরা সহ অভিনেতা (যৌথভাবে)- আবুল খায়ের(রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত) ও আনোয়ার হোসেন(দায়ী কে)
৯.সেরা সহ অভিনেত্রী- দিতি(স্বামী স্ত্রী)
১০.সেরা শিশু শিল্পী (যৌথভাবে)- রাসেল ও সুবর্না শিরীন(রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত)
১১.সেরা গায়ক-এন্ড্রু কিশোর(স্যারেন্ডার)
১২.সেরা গায়িকা- সাবিনা ইয়াসমিন(রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত)
১৩.সেরা চিত্রগ্রাহক (সাদাকালো)- আবুল খায়ের(সেতুবন্ধন)
১৪.সেরা চিত্রগ্রাহক(রঙ্গীন)- মাহফুজুর রহমান খান(সহযাত্রী)
১৫.সেরা সম্পাদক- আমিনুল ইসলাম মিন্টু(অপেক্ষা)
১৬.সেরা শিল্প নির্দেশক-শরিফুদ্দিন ভূঁইয়া(হারানো সুর)
১৭.সেরা শব্দগ্রাহক- মফিজুল হক(সন্ধি)
স্বনামধন্য চলচ্চিত্রকার দিলীপ বিশ্বাসের সিনেমা ‘অপেক্ষা’ সর্বোচ্চ ৪টি শাখায় পুরস্কার লাভ করে।প্রখ্যাত পরিচালক এ জে মিন্টু ‘লালু মাস্তান’ সিনেমার জন্য প্রথমবারের মত সেরা পরিচালকের পুরস্কার অর্জন করেন,যদিও সিনেমাটি আর কোনো শাখায় পুরস্কৃত হয় নি।জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা দিতির প্রথমদিকের ক্যারিয়ারে এই জাতীয় পুরস্কার তাঁর চলচ্চিত্র জীবন আরো গতিশীল করে,তবে পরবর্তীতে উনি আর জাতীয় পুরস্কার পান নি।সেরা সংলাপ রচয়িতা ও গীতিকার শাখায় পুরস্কার দেওয়া হয় নি।
১৯৮৮ : এই বছর সেরা চলচ্চিত্র,পরিচালক সহ মোট ১৮ টি শাখায় পুরস্কার প্রদান করা হয়:
১.বিশেষ পুরস্কার (মরনোত্তর)- ফিরোজা রহমান টিনা
২.সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র- আবর্তন
৩.সেরা চলচ্চিত্র- দুই জীবন
৪.সেরা পরিচালক- আব্দুল্লাহ আল মামুন(দুই জীবন)
৫.সেরা চিত্রনাট্যকার- আব্দুল্লাহ আল মামুন(দুই জীবন)
৬.সেরা সংগীত পরিচালক- আলাউদ্দিন আলী(যোগাযোগ)
৭.সেরা অভিনেতা- রাজ্জাক(যোগাযোগ)
৮.সেরা অভিনেত্রী- রোজিনা(জীবনধারা)
৯.সেরা সহ অভিনেতা- রাজিব(হীরামতি)
১০.সেরা সহ অভিনেত্রী- সুবর্না শিরীন(বিরাজ বউ)
১১.সেরা শিশু শিল্পী- তুষার(আগমন)
১২.বিশেষ শাখায় সেরা শিশু শিল্পী- জয়া(ভেজা চোখ)
১৩.সেরা গীতিকার- মনিরুজ্জামান মনির(দুই জীবন)
১৪.সেরা গায়িকা- সাবিনা ইয়াসমিন(দুই জীবন)
১৫.সেরা চিত্রগ্রাহক- রফিকুল বারী চৌধুরী(হীরামতি)
১৬.সেরা সম্পাদক- আতিকুর রহমান মল্লিক(দুই জীবন)
১৭.সেরা শিল্প নির্দেশক- আব্দুল খালেক(আগমন)
১৮.সেরা শব্দগ্রাহক- মফিজুল হক(যোগাযোগ)
যাত্রার প্রিন্সেস খ্যাত ফিরোজা রহমান টিনাকে মরনোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয়।প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার আব্দুল্লাহ আল মামুনের জনপ্রিয় সিনেমা ‘দুই জীবন’ ৬ টি শাখায় পুরস্কার লাভ করে।প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ আলম খান,রুনা লায়লা ওএন্ড্রু কিশোরের ক্যারিয়ারের অন্যতম মাইলফলক ছিল দুই জীবন ছবিটি।অথচ উনারা কেউই এই ছবির জন্য পুরস্কার পান নি।সেরা গায়ক শাখায় কাউকেই পুরস্কৃত করা হয় নি।কবরী(দুই জীবন),ববিতা(বিরাজ বউ) এর সাথে প্রতিদন্ধিতা করে প্রথমবারের মত সেরা অভিনেত্রী শাখায় পুরস্কার জিতেন লাস্যময়ী চিত্রনায়িকা রোজিনা।সেই সময় রাজ্জাকের পুরস্কার নিয়েও কথা উঠেছিল,কারন এই বছর সেরা অভিনেতা শাখায় যোগ্য প্রতিদন্ধী ছিলেন ফারুক(বিরাজ বউ),বুলবুল আহমেদ(বিরাজ বউ)।জনপ্রিয় চিত্র অভিনেতা রাজীব প্রথমবারের মত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
১৯৮৮ : এই বছর সেরা চলচ্চিত্র বাদে মোট ১৬ টি শাখায় পুরস্কার প্রদান করা হয়:
১.সেরা পরিচালক- এ জে মিন্টু(সত্য মিথ্যা)
২.সেরা চিত্রনাট্যকার- এ জে মিন্টু(সত্য মিথ্যা)
৩.সেরা সংলাপ রচয়িতা- ছটকু আহমেদ(সত্য মিথ্যা)
৪.সেরা সংগীত পরিচালক- আলী হোসেন(ব্যাথার দান)
৫.সেরা অভিনেতা- আলমগীর(ক্ষতিপূরণ)
৬.সেরা অভিনেত্রী- শাবানা(রাঙ্গা ভাবী)
৭.সেরা সহ অভিনেতা- ব্ল্যাক আনোয়ার(ব্যাথার দান)
৮.সেরা সহ অভিনেত্রী- খালেদা আক্তার কল্পনা(জ্বিনের বাদশা)
৯.সেরা শিশু শিল্পী- জয়সন(সত্য মিথ্যা)
১০.সেরা গীতিকার- মনিরুজ্জামান মনির(চেতনা)
১১.সেরা গায়ক- এন্ড্রু কিশোর(ক্ষতিপূরণ)
১২.সেরা গায়িকা- রুনা লায়লা(এক্সিডেন্ট)
১৩.সেরা চিত্রগ্রাহক- অরুন রায়(ভাইজান)
১৪.সেরা সম্পাদক- মুজিবুর রহমান দুলু(সত্য মিথ্যা)
১৫.সেরা শিল্প নির্দেশক- আব্দুস সবুর(বিরহ ব্যাথা)
১৬.সেরা শব্দগ্রাহক-মফিজুল হক(ক্ষতিপূরণ)
প্রখ্যাত পরিচালক এ জে মিন্টুর ‘সত্য মিথ্যা’ সর্বোচ্চ ৫ টি শাখায় পুরস্কার অর্জন করে।এই বছর মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে জুরি বোর্ড যোগ্য মনে না করায় সেরা চলচ্চিত্র শাখায় পুরস্কার দেওয়া হয় নি।এই বছর সবচেয়ে বিতর্ক হয় ইকরাম বিজুর চলচ্চিত্র ‘স্ত্রী’র জন্য।এই সিনেমার জন্য ইকরাম বিজু ও অভিনেত্রী সুবর্না মুস্তফার নাম পুরস্কারের জন্য ঘোষিত হলেও,পুরস্কার প্রদানের আগের দিন অজানা কারনে তাদের পুরস্কার বাতিল করা হয়।সুবর্না মুস্তফার বদলে শাবানা পুরস্কৃত হন।জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনয় শিল্পী ব্ল্যাক আনোয়ার ও খালেদা আক্তার কল্পনা একবারই জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন,সেটা উনারা এই বছরই অর্জন করেন।বাংলা চলচ্চিত্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় সংলাপ রচয়িতা ছটকু আহমেদ প্রথমবারের মত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।